চাচাতো বোন যখন বস
লেখক - Writers Rifat Ali Sayed
Part - 05
![]() |
Writers Rifat Ali Sayed |
★★★ [ কপি করা নিষেধ অনুমতি ছাড়া] ★★★
আমি ভিতরে ঢুকলাম
আমি : জী স্যার বলুন
স্যার: দাঁড়িয়ে কেন বসো আগে
আমি : জী স্যার ( একটা চেয়ারে বসলাম ) । এখন বলুন কি জন্য ডেকেছেন
স্যার : ????????
!
!
_____________________________________
তখনি
একজন : স্যার ভিতরে আসবো ( আমি পিছনে ঘুরে দেখি ম্যানেজার সাহেব )
স্যার : হ্যাঁ এসো
ম্যানেজার : রিফাত ভাই কেমন আছো
আমি : আলহামদুলিল্লাহ ভালো । কেমন আছো তুমি
ম্যানেজার : আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ।
স্যার : বসো
ম্যানেজার : জী স্যার ( আমার পাশে চেয়ারে বসলো )
স্যার : আমার তো বয়স হয়েগেছে । এবার আমি অবসর নিতে চাচ্ছি । আর আগামীকাল থেকে আমার মেয়ে এই অফিস দেখাশোনা করবে । আসা করি তোমরা আমার মতো আমার মেয়েকেও কাজে সাহায্য করবে ।
ম্যানেজার + আমি : জী স্যার অবশ্যই করবো
স্যার : তোমাদের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে । আর তার সাথে একটু সাবধানে চলাচল করবে কারণ সে একটু রাগি । এমনি থেকে শেষ অনেক ভালো । প্রথম প্রথম হয়তো কড়া হতে পারে । তাই তোমরা একটু মেনেজ করে নিও ।
আমি : ঠিক আছে স্যার । এসব নিয়ে আপনি চিন্তা করবেন না ।
স্যার : হুম
তারপর স্যার এর স্যার এর সাথে অফিসের বিষয়ে কিছু কথা বললাম ।
ম্যানেজার : স্যার আমরা তাহলে এখন আসি
স্যার : হ্যাঁ এখন যাও । প্রয়োজন হলে ডাক দিব
আমি : আচ্ছা স্যার
তারপর স্যারের রুম থেকে বের হলাম আমরা ।
ম্যানেজার : রিফাত ভাই । আমার তো ভয় করতেছে
আমি : কেন , তোমার আবার কি হলো
ম্যানেজার : স্যারের মেয়ে নাকি রাগি । আমাদের তো হালুয়া টাইট করে দিবে
আমি : তুমি ম্যানেজার হয়ে যদি ভয় পাও । তাহলে আমার মতো অসহায় মানুষের কি হবে । আমার দিকটাও একটু ভেবে দেখুন ( মুসকি হেসে 😁)
ম্যানেজার : ধুর মিয়া মজা বাদ দেন ।
আমি : পরের বেপার পরে দেখা যাবে । চলেন তো । আমার কাজ বাকি আছে
ম্যানেজার : হুম চলো
তারপর আমি আমার জায়গায় এসে বসলাম আর নিজের কাজে মন দিলাম ।
কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে গেল । খেয়ালি করি নাই ।
মায়া : এই যে কারো কতক্ষন কাজ কবে । ল্যান্স এর সময় হয়ে গেছে ।
আমি : একটু পরেই করতেছি । তুমি খেয়ে নাও
মায়া : তোমাকে খুব ভালো করেই চিনি । একটু একটু করতে করতে পরে ল্যান্স ই করবে না আর । চলো ( টানতে লাগলো )
আমি : আচ্ছা বাবা । যাচ্ছি চলো
অফিসের নিচে একটা রেস্টুরেন্টে আছে ওখানে গেলাম দুজনে । তারপর দুজনে খাওয়া শেষ করলাম । তারপর উপরে এসে দুজনেই কাজে মন দিলাম
৫ টার সময় অফিস ছুটি হলো
বাসায় যাওয়ার সময় মায়া বলে উঠলো
মায়া : কালকে থেকে নাকি স্যার এর মেয়ে অফিসে বসে
আমি : হ্যাঁ । আর স্যার মেয়ে নাকি খুব রাগী ।
মায়া : ও । তাহলে তো আমাদের অবস্থা শেষ মনে হয়
আমি : কাল আসুক তারপর দেখা যাবে ।
মায়া : হুম
তারপর বাসায় চলে এলাম । বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম । কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আন্টির সাথে দেখা করতে গেলাম ।
আমি : আসসালামুয়ালাইকুম আন্টি
আন্টি : ওয়ালাইকুমুস সালাম । কেমন আছিস
আমি : ভালো আছি । তুই কেমন আছিস
আমি : ভালো আছি ।
তারপর কিছুক্ষণ কথা বলে আমি আমার ফ্লাটে চলে আসলাম । মাগরিব এর নামাজ এর সময় হয়ে গেছে তাই । ওযু করে নামাজ আদায় করে নিলাম ।
রাতে খাওয়া শেষ করে বসে আছি ।
ছাদে চলে গেলাম ভালো লাগছে না তাই ।
আজকে চাঁদ উঠেছে । খুব লাগতেছে চাঁদ টা কে । কিছুক্ষণ ধরে চাঁদ টার দিকে এক ধ্যানে মগ্ন হয়ে তাকিয়ে আছি । হঠাৎ
পিছন থেকে : এতো রাতে ছাদে একলা একলা কি করো ।
পিছন ফিরে দেখি মায়া
আমি : ও মায়া । ঘুমাও নাই এখন
মায়া : না । ঘুম আসছে না তাই ছাদে আসলাম । এসে দেখি তুমি দাঁড়িয়ে আছো ।
আমি : ও আচ্ছা
মায়া : বললে না যে , তুমি এখানে কি করছো
আমি : এমনি । ভালো লাগতেছে না তাই ছাদে আসলাম
মায়া : ও ভালো
কিছুক্ষণ মায়ার সাথে কথা বলে আমি আমার ফ্লাটে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম ।
সকালে ঘুম ভাঙ্গে গেল আজানের ধ্বনিতে
তাড়াতাড়ি করে উঠে ওযু করে নামাজ আদায় করে নিলাম ।
তারপর একটু রাস্তা হাঁটতে বের হলাম । কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে ফ্লাটে চলে এলাম ।
ফ্লাটে এসে গোসল করে নিলাম তারপর রান্না করে খেয়ে নিলাম । তারপর অফিসের জন্য রেডি হচ্ছি তখনি কে যেন কলিং বেল বাজালো
আমি : এখন আবার কে এলো
দরজা খুলে দেখি মায়া
মায়া : দরজা খুলতে এতোক্ষণ লাগে
আমি : আজকে এতো তাড়াতাড়ি রেডি
মায়া : আজকে অফিসে নতুন ম্যাডাম আসবে । তাই একটু তাড়াতাড়ি রেডি হলাম
আমি : ভালো । আচ্ছা তুমি দাঁড়াও আমি রেডি হয়ে নেই
মায়া : আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারবো না । আমি বসলাম । ( বলে ছোপায় বসে পরলো )
আমি : আরে দাঁড়িয়ে থাকা তো কথার কথা । যাই হোক তোমার সাথে আবার পেঁচাল পারতে দেরি হয়ে যাবে
মায়া : আমার সাথে তোমাকে কে কথা বলতে বলছে কে । রেডি হও যাও
আমি : হুম
আমি রেডি হয়ে নিলাম । তারপর দুজনে অফিসে দিকে রওনা হলাম
অফিসে গিয়ে সবাই ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি নতুন বস কে বরণ করে নেওয়ার জন্য
আমি : আরে ভাই আর কতক্ষন অপেক্ষা করতে হবে মহারানীর জন্য ( বিরক্ত হয়ে + কানে কানে বললাম )
ম্যানেজার : আমি কি করে বলবো ভাই । একটু তো অপেক্ষা করুন ( ফিস ফিস করে )
কিছুক্ষণ পর স্যার আসলেন । আর স্যার এর সাথে একটা মেয়ে। মেয়েটাকে দেখে আমি অবাক
আমি : স্বর্ণা এখানে কি করতেছে । তাহলে কি স্বর্ণা আমাদের বস । না না এ কি করে হয় ( মনে মনে )
স্যার : এ হচ্ছে আমার মেয়ে জান্নাত ( স্বর্ণা কে দেখিয়ে )। আজকে থেকে এই অফিসের বস ।
এই কথা শুনে আমি সাত আসমান থেকে পড়লাম ।
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না । স্বর্ণা স্যার এর মেয়ে হয় কিভাবে , কারণ হলো
ম্যানেজার : কি ভাই মেম এর দিকে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন । প্রেমে টেমে পড়লেন নাকি আবার ( কানের কাছে ফিসফিস করে বলল )
আমি : আরে তেমন কিছু না ( তার কথায় আমার ধ্যান ভেঙ্গে গেল )
ম্যানেজার : আরে ভাই সব বুঝি বুঝি । চালিয়ে যান আপনার সাথে আমি আছি ( ফিসফিস করে )
আমি : আরে ভাই আপনি একটু থামুন তো । স্যার দেখলে সমস্যা হবে ( ফিসফিস করে )
ম্যানেজার : আচ্ছা চুপ করলাম
★
★
★★★ ( ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন ভুল ত্রুটি ) ★★★
☺️☺️ স্বর্ণা কে হতে পারে বলেন তো ☺️☺️
গল্পটা যদি ভালো লাগে । তাহলে👇👇
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
Tags: bangla romantic golpo, romantic bangla golpo, bangla horror story, রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প, bengali love story, thakurmar jhuli golpo, bangla love story book, romantic love story in bengali, sad post bangla, ভালোবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের কাহিনী,