ডিভোর্স DIVORCE
7th part..
লেখকঃ Arian Sumon..
১ মাস শেষ হলো।
সেদিন সকালে ভোর ভোর উঠে ফ্রেশ হলাম। খাওয়া ধাওয়া করলাম।
ভালোভাবে রেডি হলাম। আজকে মেয়েকে নিয়ে অনেক জায়গা ঘুরব।
হঠাৎ কলিংবেল বাজল। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। এত সকাল সকাল কে আসল।
শার্ট পড়তে পড়তে দরজা খুললাম। তারপর যা দেখলাম তা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।
কারন আমি দেখছি আমার সামনে জান্নাত দাঁড়িয়ে রয়েছে।
কি দেখছি কি? স্বপ্ন দেখছি না তো? নিজেকে চিমটি কাটলাম। না ঠিকই তো দেখতেছি।
আমিঃ তুমি???
আমার কোনো উত্তর না দিয়েই ও ভিতরে ডুকে গেল।
সোজা বেডরুমে চলে গেল।
সাইফা আমার কোলে উঠে গেল।
সাইফাকে নামিয়ে আমি পিছন পিছন গেলাম।।
দেখি ব্যাগ থেকে কাপর নামিয়ে আলমারিতে রাখতে লাগল। আমি শুধু দেখতেছি।
আমি সোফায় বসে পড়লাম। হচ্ছেটা কি? মাথায় কিছু ডুকিছেনা।
আমিঃ সাইফা তোমার আম্মুর কি হইছে?
সাইফাঃ জানিনা। সকাল ঘুম থেকে উঠিয়ে আমাকে নিয়ে চলে আসল।
আমিঃ ওহ। আচ্ছা তুমি খেলো।
সাইফা খেলতেছে আর আমি বোকার মতো জান্নাতের কাজকর্ম দেখতেছি।
রুম গুছালো। রান্নাঘর পরিষ্কার করল
সকাল শেষ হয়ে দুপুর হয়ে গেল।
হঠাৎ
জান্নাতঃ সাইফা মামুনি
সাইফাঃ হ্যা
জান্নাতঃ তোমার বাবাকে খাইতে আসতে বলো।
আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। হচ্ছেটা কি? জান্নাতের হলো টা কি? মাথায় ডুকতেছে না কিছুই।
কি আর করব ভাই। চললাম খাইতে বিরিয়ানির ঘ্রান তো। বসে থাকতে পারিনি। জিহ্বায় জল চলে এসেছে।
গিয়ে টেবিলে বসে পড়লাম।
টেবিলে বসতেই খাবার দিল। খাইতে শুরু করলাম। ওহ আপনাদের বলতে ভূলেই গেছিলাম বউটা আমার অনেক ভালো রান্না করে। একেবারে অমৃতর মতো। মুখে লেগে থাকে
যাইহোক অনেকদিন পর বউর হাতের রান্না গাপুসগুপুস করে খাইতে লাগলাম। আহ কি স্বাদ। পুরো চেটেপুটে খেলাম।
খাওয়া শেষ করলাম।
আমিঃ সাইফা তাকে বলে দিও রান্নাটা বাজে হয়নি
সাইফাঃ আমাকে বলো কেন আম্মুকে বলো।
আমি কিছু না বলে উঠে চলে আসলাম।
রুমে বসে বসে ভাবতেছি হচ্ছেটা কি? জান্নাতের কি হলো হঠাৎ? বুদ্ধি করে সিনিথিয়া কে কল দিলাম। ও কল রিসিভ করল।
সিনথিয়াঃ হ্যা ভাইয়া
আমিঃ কোথায় তুমি?
সিনথিয়াঃ ভার্সিটি তে আছি। কেন কি হইছে?
আমিঃ তোমার আপু কোথায় জানো?
সিনথিয়াঃ কোথায় আর বাসাতেই হবে। দেখে এসেছি ফোনে যেন কার সাথে কথা বলতেছিল।
আমিঃ ওহ আচ্ছা রাখি
সিনথিয়াঃ কোনো সমস্যা নাকি ভাইয়া?
আমিঃ না কিছুনা।
বলেই ফোন রেখে দিলাম।
ব্যাপারটা মাথায় ডুকছেনা। না জান্নাতের সাথে কথা বলতে হবে।
এমন সময়ই ফোন আসল। স্ক্রিনে দেখি ওকিল সাহেবের নাম্বার। যে আমার পক্ষ হয়ে কেইস টা লড়তেছেন। কল রিসিভ করলাম।
আমিঃ হ্যা ওকিল সাহেব
ওকিল সাহেবঃ সুমন সাহেব সু খবর আছে।
আমিঃ কিসের সু খবর
ওকিল সাহেবঃ আপনার ঊয়াইফ কেইস টা তুলে নিয়েছে।
আমিঃ মানে কি বলছেন
ওকিল সাহেবঃ হ্যা সত্যি বলছি। আপনি চাইলে আপনার স্ত্রী কে জিগাসা করে নিয়েন। আর আমি কপি কালকে পাঠাইয়া দিব নে।
আমিঃ ওকে ওকিল সাহেব।
মাথায় কিছু ডুকছেনা। সকালে বেড় হতে যাব তখনি আমার সামনে জান্নাত হাজির। এখন বলছে কেইস তুলে নিয়েছে। তার মানে কি জান্নাত নিজের ভূল বুঝতে পেরেছে।
খুশি মনে জান্নাতের কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি জান্নাত টিভি দেখতেছে।
আমিঃ জান্নাত
আমার দিকে একবার তাকালো। তারপর আবার টিভিতে মন দিল।
আমিঃ তোমার সাথে আমার কথা আছে
জান্নাত টিভি টা অফ করে দিল।
জান্নাতঃ হ্যা বলো
আমিঃ কেইস তুমি তুলে নিয়েছ?
জান্নাতঃ হ্যা তুলেছি। কেন কোনো সমস্যা?
আমিঃ নাহ কোনো সমস্যা নেই। ধন্যবাদ
জান্নাতঃ স্বাগতম। এখন কি আমি টিভি দেখতে পারি?
আমিঃ হ্যা হ্যা অবশ্যই।
আমি রুমে এসে লুঙি ডান্স করতে লাগলাম। যাক জান্নাত বুঝতে পারছে সব। আসলে জান্নাত কে ছাড়া আমি থাকতে পারতাম না।
পরক্ষনেই মনে পড়ল। জান্নাত যেহেতু সব বুঝতে পারছে। নিজের ভূল বুঝতে পেরে আমার কাছে চলে এসেছে। তাহলে সরি কেন বলল না। ধ্যাত না বললেই কি। আমার জিনিস আমার কাছে তো আসছে। সেটাই বড় কথা।
খুশিতে কি করব ভেবে পাচ্ছিনা।
দিয়ে বসলাম শাওন কে কল।
আমিঃ কিরে কি করিস
শাওনঃ কিছুনা। তুই
আমিঃ নাগিন ডান্স করি।
শাওনঃ কিরে তোরে অনেক খুশি খুশি লাগছে। ব্যাপার টা
আমিঃ বউ পাইয়া গেছি
শাওনঃ তুই আবার বিয়া করছত? ছিহ ছিহ আমি স্বপ্নেও ভাবিনাই। বিয়া করার আগে সাইফার কথা তো একবার ভাবতি।
আমিঃ ওই বেটা থামবি
শাওনঃ থামব কেন? তোরে আমার বন্ধু বলতেও লজ্জা লাগতেছে। বন্ধু নামের কলঙ্ক তুই।
বলেই ফোন কেটে দিল।
যাহ শালা কি বলতে গেলাম আর বুঝল কি? গাজা খাইছে নাকি? শালায় আমার কথা বুঝলই না। কি একটা অবস্থা আপনারাই বলেন।শুধু শুধু কতগুলা কথা শুনলাম। শালায় কথা বলার সুযোগ দিল না।
যাইহোক মনে ফুর্তি শেষ হচ্ছে না। গান গাইতে লাগলাম,,
বউ আমার ফিরে এসেছে
মন ভর্তি ফূর্তি লেগেছে
ভালোবাসি বড্ড বেশি বউ তোমাকে
কাছে এসে উম করে দিয়ে যাওনা পাপ্পি এক খান আমায়।
বউ তুমি বুঝনা কেন বুঝনা আমি যে তুমি ছাড়া কারো নয়
এতদিন শুধু শুধু দিয়েছ কষ্ট আরো ছিল হারানোর ভয়।
ভালোবাসি বউ তোমাকে তুমি যে আমার
এজন্ম পরজন্মেও আমি যে তোমার
পাশে আছি পাশে থাকব যতদিন পৃথিবীতে আছি আমি তুমি
তুমি তোমাকে তোমায় আজীবন ভালোবাসব যে আমি।
এমন সময় কেউ একজন রুমে ডুকল। আর আমার গান গাওয়া অফ হয়ে গেল।
দেখলাম জান্নাত আসছে। কি যেন নিয়ে চলে গেল।
মনে পড়ল না আর এতক্ষন আবল তাবল কি যেন গাইতেছিলাম। গান গাচ্ছিলাম নাকি আবল তাবল বলতেছিলাম কে জানে।আসল কথা জান্নাত কে পেয়ে উত্তেজিত আছি।
ক্লান্ত হয়ে গেলাম।পানি পিপাসা লাগল।
টেবিলে এক গ্লাস পানি ছিল। পানিটা পান করলাম। সাথে সাথেই মাথা গুড়াইতে লাগল। নিতে পারছিলাম না। চোখ বন্ধ হয়ে আসিতেছিল। কি হচ্ছে কি? পানিতে কি ছিল। জান্নাত পানিতে কিছু মিশিয়েছে । এই ছিল ওর মনে।আমাকে মেরে ফেলার জন্য এসেছে। চোখ বন্ধ হইয়া গেল। আর কিছু মনে নাই।
TO BE CONTINUE
Tags: bangla romantic golpo, romantic bangla golpo, bangla horror story, রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প, bengali love story, thakurmar jhuli golpo, bangla love story book, romantic love story in bengali, sad post bangla, ভালোবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের কাহিনী, Bangla Golpo
Bhuter Golpo
Bangla cartoon
Bangla Golpo pdf download
Bangla premer golpo
Pratilipi bangla golpo
Bangla golpo love story
Bangla choti golpo
Bangla golpo Lyrics
Bengali story reading
Bangla Love Story 2021
Valobasar golpo in bengali
Romantic love story bangla
New bangla love story 2021
Nice story
ReplyDelete