মন্ত্রীর মেয়ে পর্ব 3 | The ministers daughter part 3 | Bangla Romantic Love Story - StoryBD.xyz

মন্ত্রীর মেয়ে( The ministers daughter)


লেখকঃ  Arian Sumon

3rd part...

মন্ত্রীর মেয়ে পর্ব তিন



কিছুক্ষন পর ডাক্তার  আসল। এসে সঞ্জিতাকে দেখল,,,


ডাক্তারঃ  ওনাকে নিয়ে যেতে পারেন। 

আমিঃ ওকে ধন্যবাদ ডাক্তার। 


তারপর ওরে ওর বাড়ি পৌছে দিয়ে বাড়ি ফিরলাম।  


ভাবতেও ভালো লাগছে যে আমি সঞ্জিতাকে আপন কিরে পেয়ে গেছি। অবশেষে তাহলে পেলাম তাহাকে। 


আম্মুঃ কিরে তোরে যে খুব খুশি দেখাচ্ছে?

আমিঃ হুম একটু খুশি

আম্মুঃ কেন রে কি হয়েছে?

আমিঃ ও তুমি বুঝবানা

আম্মুঃ আমি বুঝব তুই বল কি হয়েছে? প্রেমে পড়েছিস নাকি?

আমিঃ কই না তো। 

আম্মুঃ বুঝি আমি সব বুঝি। আর বলতে হবেনা।

আমিঃ বুঝলে তো ভালোই জিগাসা করো কেন?

আম্মুঃ চল খাইতে  

আমঃ যাও আসছি। 


রাতে খেয়ে শুয়ে আছি। এমন সময় ফোন বেজে উঠল। অপরিচিত নাম্বার। ধরতে ধরতে প্রথম বার কেটে গেল। আবার কল আসল। এবার ধরে ফেললাম। 


আমিঃ হেলো

=> হেলো ( মেয়েলি কন্ঠ)

কন্ঠ শুনেই বুঝলাম এটা সঞ্জিতা।

আমিঃ কে সঞ্জিতা??

সঞ্জিতাঃ হুম। সেই যে গেলা এক টা ফোন ও তো দিলানা।  এই তোমার ভালোবাসা?

আমিঃ আজব এর সাথে ভালোবাসার কি মিল? আমার কাছে নাম্বার নেই ফোন দিব কি করে।  তোমার থেকে নিতেই তো ভূলে গেছিলাম। 

সঞ্জিতাঃ ভালো।

আমিঃ তুমি আমার নাম্বার পাইলা কিভাবে?

সঞ্জিতাঃ পেয়েছি যেভাবে পাওয়ার বলতে হবেনা 

আমিঃ   তো কি করো? খাইছ?

সঞ্জিতাঃ হুম খাইছি। 

আমিঃ ওষুধ খাইছ তো?

সঞ্জিতাঃ হুম। 

আমিঃ good girl... so এবার ঘুমাও

সঞ্জিতাঃ না। 

আমিঃ তো কি করবা? 

সঞ্জিতাঃ  প্রেম করব সারারাত

আমিঃ ওমা বলো কি? সারারাত কিভাবে সম্ভব

সঞ্জিতাঃ আমি জানিনা। আজ সারারাত তোমার সাথে ফোনে কথা বলব এটাই আমার শেষ কথা। 

আমিঃ আরে তুমি এমনিতেই অসুস্থ। আরো বেশি অসুস্থ  হয়ে যাবা তো।

সঞ্জিতাঃ হইলে হব। আমি যা বলছি তাই হবে

আমিঃ না আমার হবেনা।  তারাতারি সুস্থ হলে আমরা প্রতিদিন দেখা করতে  পারব। সেই দিক টা তো একটু ভাবো।  

সঞ্জিতাঃ ভাবতে পারব না। আমি যা বলছি তাই হবে। 

আমিঃ ওকে বলো কথা। 


শুরু হলো কথা বলা।  এক ঘন্টা শেষ।  ওপাশ থেকে আওয়াজ আসছেনা  

আমিঃ সঞ্জি ও সঞ্জি


না আওয়াজ নাই। বুঝলাম ওনি ঘুমিয়ে গেছে।  

যাক বাবা বাচলাম।  আমি ফোন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। 


পরদিন ভার্সিটি চলে গেলাম। 


শাওনঃ কি বন্ধু গার্লফ্রেন্ড পাইয়া আবার ভূলে যেওনা। 

আমিঃ বন্ধু তোরা তো সব জানিস।  তারপরেও আজাইরা

শাওনঃ হুম জানি। কিন্তু একজনের জন্য আরেক জন কে শাস্তি দেওয়া টা কি ঠিক হবে? 

আমিঃ হবে। সব ঠিক হবে।  

তুষারঃ আমারও মনে হচ্ছে কাজ টা ঠিক হচ্ছেনা। 

আমিঃ ধুর। এখন তুই ও শুরু করলি। 


এমন সময় একটা গাড়ি এসে আমাদের সামনে দাড়াল। বুঝলাম সঞ্জিতার গাড়ি। সঞ্জিতা গাড়ি থেকে নামল। আমি এগিয়ে গেলাম। 


আমিঃ তুমি এখানে??

সঞ্জিতাঃ তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করতেছিল তাই চলে আসলাম। 

আমিঃ তুমি তো অসুস্থ্য।  

সঞ্জিতাঃ ও কিছুনা।  চলো আজ তুমি আর আমি ঘুরতে যাব। 

আমিঃ ক্লাস?

সঞ্জিতাঃ একদিন ক্লাস না করলে কিছু হবেনা।  

আমিঃ কিন্তু

সঞ্জিতাঃ কোনো কিন্তু নয়। চলো। 


আর কিছু বললাম না। শাওন আর তুষার কে বিদায় দিয়ে ওর সাথে ঘুরতে বেড় হলাম। 


আমিঃ কোথায় যাচ্ছি আমরা

সঞ্জিতাঃ জানিনা।  দু চোখ যেখানে যায় সেখানেই চলে যাব। 

আমিঃ ওহ আইচ্ছা। 


ঘন্টাখানিক পর একটা খোলা জায়গা এসে গাড়ি থামাল। নামলাম সেখানে।  চারপাশে শুধু কাশফুল আর কাশফুল। 


সঞ্জিতাঃ জায়গা টা কেমন? 

আমিঃ বেশ সুন্দর তো। 

সঞ্জিতাঃ এখানে প্রেম করতে কাপল রা আসে। তাই তোমাকে নিয়া আসলাম। 

আমি সঞ্জিতার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলাম। 


সঞ্জিতা এসে আমার হাত ধরল। 


সঞ্জিতাঃ চলো হাটব এখন

আমিঃ ওকে।


সঞ্জিতা আর আমি হাটলাম। দুপুরে একটা রেষ্টুরেন্ট এ দুপুরের খাবার খেলাম। তারপর ও এসে আমাকে বাড়ির সামন। নামিয়ে দিয়ে গেল। 


বাসায় ডুকতেই,,,


আব্বুঃ মেয়ে টা কে রে?

আমিঃ কোন মেয়ে?

আব্বুঃ মাত্র তোরে যে নামিয়ে দিয়ে গেল। 

আমিঃ আমার ফ্রেন্ড।

আব্বুঃ  ওহ। আচ্ছা যা ফ্রেশ হয়ে নে


আম্মুঃ ফ্রেশ হয়ে খাইতে আয়।


আমিঃ খাব না।  বাহিরে থেকে খেয়ে এসেছি। 

আম্মুঃ ওহ ওকে।  


আমি রুমে চলে গেলাম। ফ্রেশ হলাম।


সঞ্জিতারে কল দিলাম। ও কল রিসিভ করল। 


আমিঃ বাসায় পৌছেছ?

সঞ্জিতাঃ হুম।  

আমিঃ ওকে  এখন রাখি।  টায়ার্ড লাগছে  একটু ঘুমাব।

সঞ্জিতাঃ ওকে। ।


কথা বলা শেষে ঘুমিয়ে গেলাম।    


বিকালে,,,,


শাওনঃ কোথায় গিয়েছিলি ঘুরতে আর কিছু করিস নি তো?

আমিঃ নারে কিছু করিনাই। একটু সময় লাগবে। এত তারাতারি কি এসব করা যায় নাকি?

শাওনঃ  হুম। মাথায় রাখিস শিক্ষা মন্ত্রীর মেয়ে কিন্তু। 

আমিঃ কিছুই হবেনা  জনগন আমার পাশে আছে।।

শাওনঃ হ আছে কচুটা

আমিঃ তুই জিগাসা করিয়া দেখ জনগন কে। আমার পাশে আছে নি?

শাওনঃ  ও ভাই এবং বোনেরা আপনারা কি সুমনের পাশে আছেন???? 

আমিঃ অপেক্ষা কর উত্তর পাইয়া যাবি। সবাই উত্তর দিয়েন কইলাম। নাহলে আমার মান ইজ্জত থাকত না। 


যাহোক ওদের সাথে আড্ডা দিয়া বাসায় ফিরলাম। রাতের খাবার খেয়ে রুমে এসে সঞ্জিতাকে কল করলাম। 

সঞ্জিতাঃ কি এতক্ষনে মনে পড়ল 

আমিঃ কাজ করতেছিলাম। 

সঞ্জিতাঃ আমাকে কাজ দেখাতে আসবানা  

আমিঃ ওকে। খাইছ?

সঞ্জিতাঃ না তুমি??? 

আমিঃ খাওনি কেন?  শরির খারাপ করবে তো। 

সঞ্জিতাঃ খাব একটু পর।

আমিঃ যাও খাও। তারপর ঘুমাও

সঞ্জিতাঃ ওকে। 


ফোন রেখে ঘুমালাম। 


এভাবে যেতে যেতে দেড় মাস কেটে গেল।  এখন সঞ্জিতা আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝেনা।  


একদিন বিকালে,,,,


আমিঃ বন্ধু বল কিভাবে কি করা যায়? দেড় মাস হয়ে গেল কিছুই করতে পারলাম না।  

তুষারঃ এক কাজ কর। কয়েকদিন ওরে অবহেলা কর। তারপর যখন ও জিগাসা করবে এমন করছিস কেন তখন চেয়ে বসবি।  

আমিঃ ভালো বুদ্ধি তো।  এটাই করি দেখা যাক হয় কিনা।  


আমি সঞ্জিতাকে অবহেলা করতে লাগলাম। দেখা করতে বললে করতাম না।  ফোন ও দিতাম না। ও দিত আমি কেটে দিতাম বা অল্প একটু কথা বলে রেখে দিতাম। 


একদিন ফোন দিল,,,


সঞ্জিতাঃ সুমন তুমি কোথায়??? 

আমিঃ কেন আছি কোথাও

সঞ্জিতাঃ দেখা করব। প্লিজ বাবু ( কাদো কাদো অবস্থা)

আমিঃ কেনো।

সঞ্জিতাঃ প্লিজ কেন জিগাসা করবানা। 

আমিঃ ওকে  লেকের কাছে আসো। 


সঞ্জিতা আসল।  


আমিঃ কি হয়েছে?? 

সঞ্জিতাঃ তুমি আমার সাথে এরকম করছ কেন?

আমিঃ কি করলাম?

সঞ্জিতাঃ ফোন ধরতে চাওনা ।  ধরলেও বিরক্তের সাথে কথা বলো।  কেন এমন করছ

আমিঃ....  চুপ

সঞ্জিতাঃ চুপ থাকবানা প্লিজ। আমি নিতে পারছিনা। প্লিজ বলো কেন এমন করতেছ

আমিঃ আমার সমস্যা আছে। আর তোমার কাছে চাইলেই তো আর তুমি দিবা না

সঞ্জিতাঃ দিব তোমার জন্য আমি সব করতে পারি।  একবার বলে দেখো

আমিঃ না এটা পারবানা। 

সঞ্জিতাঃ আগে বলে তো দেখো

আমিঃ আমার তোমাকে বিছানায় লাগবে

সঞ্জিতাঃ What??? 

আমিঃ হুম বুঝছ। জানি এটা তুমি পারবানা  তাই তোমাকে দূরে দূরে রাখছি। 

সঞ্জিতাঃ ছি ছি ছি সুমন তুমি এতটা নিচ মাইন্ডের। এত খারাপ।

আমিঃ এখানে খারাপের কিছু নাই। আমি চাই খুজছি দিলে দিবা না দিলে দূরে থাকো। 


To be continue

1 Comments

Thanks for your Support 💖

  1. সত্যিই অসাধারণ হয়ছে
    আমাদের দুইটি সাইটে আপনি,
    Comment BackLink করতে চাইলে
    করতে পারেন ! আমার সাইটের নাম

    www.webangali.com


    www.bd-express.top

    ReplyDelete
Previous Post Next Post