মন্ত্রীর মেয়ে পর্ব - 2 | The ministers daughter part- 2 | Bangla Romantic Love Story | thriller Story 4-storyBD.xyz

মন্ত্রীর মেয়ে (THE MINISTERS DAUGHTER)

লেখকঃ Arian Sumon

2nd part...


মন্ত্রীর মেয়ে পার্ট 2



শাওনঃ কিরে কি বলল?

আমিঃ আমাকে আমার স্ট্যাটাস দেখিয়ে চলে গেল

তুষারঃ তুই কিছু বলিস নাই?

আমিঃ না

শাওনঃ বুঝিনা কিছু।  মানুষ একটু পাওয়ার পেলেই এত অহংকারি হয় কিভাবে?  

আমিঃ  এরা সোজা হবেনা। 

শাওনঃ ধুর বাদ দে। এখন ক্লাসে চল। 

আমিঃ হুম চল। 


ক্লাসে চলে গেলাম। 


ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরলাম। বাসায় ফিরে খাওয়া ধাওয়া করলাম। তারপর বিকালে বেড় হলাম। 


শাওনঃ বন্ধু এভাবে পটাইতে পারবিনা। আরো স্পেশাল কিছু করতে হবে। 

আমিঃ কি করা যায়? 

তুষারঃ  আমিও এটাই ভাবতেছি কি করা যায়? কি করা যায়? 

শাওন: শালার প্রয়োজনের সময় কোনো বুদ্ধি মাথায় আসেনা। 

তুষারঃ আসব কইতে সারাক্ষন তো খালি নিপা নিপা করতে থাকিস।  নিপা পানি নিপা পানি

শাওনঃ দেখ ওরে নিয়া কিছু বলবিনা। নাহলে কিন্তু?

তুষারঃ কি করবি তুই?  

আমিঃ আরে থাম কি শুরু করলি।  ভাব কিভাবে পটানো যায়। 

শাওনঃ এখন আর পারব না ভাবতে।  চল হাটি যদি বুদ্ধি আসে।  

আমিঃ ওকে চল। 


তারপর পার্কে হাটতে শুরু করলাম। 

"

"

বাসায় রুমে শুয়ে শুয়ে ভাবছি কিভাবে কি করা যায়।  ভেবে পাচ্ছিনা।  এমন সময় আম্মু আসল।


আম্মুঃ কিরে কি ভাবছিস?

আমিঃ কই কিছু না তো। 

আম্মুঃ আমি খেয়াল করছি গত তিন চার দিন ধরে তুই কি যেন ভাবছিস।  সত্যি করে বল তো কি ভাবিস?

আমিঃ তেমন কিছুনা। সামনে পরিক্ষা তো। সেটা নিয়াই চিন্তা করি।  

আম্মুঃ  আচ্ছা। এখন চল খাবার খাইতে। 

আমিঃ হুম চলো।  

"

"

পরদিন সকালে  তারাতারি ভার্সিটি চলে গেলাম।  আজকেও প্রপোজ করব দেখা যাক কি হয়। 


অপেক্ষা করতে লাগলাম। ওর গাড়ি আসল। আজ একাই এসেছে। সাথে বডিগার্ড নেই।  তাহলে তো আরো ভালো সুযোগ। 


গেলাম ওর কাছে। ওর সামনে গিয়েই দাড়ালাম। 


আমিঃ কথা আছে তোমার সাথে

ওর নাম হলো সঞ্জিতা। 

সঞ্জিতাঃ কি বলবি বল। আমি ভিখারিদের সাথে কথা কম বলি। 

আমিঃ ভালোবাসি তোমাকে। সত্যি বলছি খুব ভালোবাসি তোমাকে। 

সঞ্জিতাঃ  পথ ছাড়বি নাকি দিব থাপ্পড়।

আমিঃ তুমি আমার কথা তো বুঝতে চেষ্টা করো।  


নাহ তেজ দেখিয়ে চলে গেল।  আজও হলোনা।  নাহ বুঝছি স্পেশাল কিছু করতেই হবে। 


তুষার আর শাওন আসল,,,


আমিঃ কিভাবে ইম্প্রেস করা যায়? এভাবে তো হবেনা। 

শাওনঃ এক কাজ করি ওরে গুন্ডা দিয়া আট্যাক করাই। তারপর তুই গিয়া ওরে নায়কের মতো বাচাবি। ব্যাস কেল্লা ফতে। মেয়ে যাবে পটে। প্রেম হয়ে যাবে শুরু। 

তুষারঃ শালা ওরে কি নিপা পাইছত? 

শাওনঃ কেন?.

তুষারঃ ওর আশেপাশে বডিগার্ড দেখলে গুন্ডা আর ওর কাছে যাই তো না। 

শাওনঃ তাও তো কথা। 

আমিঃ আজ আর ক্লাস করব না। চল ঘুরে আসি।  

শাওনঃ তোর আবার কি হলো?

আমিঃ ভালো লাগছেনা চল তো। 

তুষারঃ ওকে। 


ক্লাস আর করলাম না। বেড় হয়ে গেলাম। ঘুরাঘুরি করে বাসায় ফিরলাম।।  


আম্মুঃ কিরে আজ এত তারাতারি চলে আসলি?

আমিঃ এমনি ভালো লাগছিল না। 

আম্মুঃ কিছু হয়েছে কি? শরির খারাপ?

আমিঃ তেমন কিছু না। এমনি। 

আম্মুঃ ওহ। ওকে। 


বিকালে পার্কে বসে আছি।  শাওন আর তুষার আসল।   


শাওনঃ বন্ধু একটা জবরদাস্ত আইডিয়া পাইছি।

আমিঃ কি সেটা আগে বল। 

শাওনঃ তুই কয়েকদিন ওর সামনে যাবিনা। এতে ওর তোর প্রতি কিউরিসিটি জন্মাবে। তোকে নিয়া ভাববে। তারপর একদিন ভার্সিটি গিয়া ওরে দেখিয়ে দেখিয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলবি। তখন দেখবি  ও জ্বলবে।  এমন ও হতে পারে ওখানেই তোর কানে গলায় মারতে পারে। 

আমিঃ কাজ হবে তো? 

শাওনঃ হবে মানে ১০০% গ্যারান্টি।

"

"

"

"

এক সপ্তাহ পর


এই এক সপ্তাহ  বাসা থেকেও বেড় হইনাই।  যাহোক সপ্তাহখানিক পর বাসা থেকে বেড় হলাম। ভার্সিটি গেলাম। 


শাওনঃ চলে এসেছিস।  নিপা ও রেডি। তুই আর নিপা কথা বলতে থাকবি ওরে দেখিয়ে দেখিয়ে  

আমিঃ কাজ হবে তো? 

শাওনঃ হবেই হবে।  নিশ্চিত থাক।

আমিঃ না হইলে রে তোরে আমি..

শাওনঃ আগে কাজ কর ঠিক মতো। ওকে


সঞ্জিতার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।  অনেক ক্ষন অপেক্ষার পর সে আসল। গাড়ি থেকে নামল।  


আমিও পরিকল্পনা মত নিপার সাথে কথা বলতে লাগলাম। আর ওর দিকেও নজর রাখতেছিলাম। না ওনি তাকাচ্ছেন না। কালো চশমা পড়ে আছে। বুঝতেছিও না যে তাকায় কিনা।  দেখতে দেখতে ও আমার সামনে দিয়া চলেও গেল। 


আমিঃ শাওন

শাওনঃ কচু মাইয়া না তাকাইলে আমার কি? 

আমিঃ তোর কি মানে? গ্যারান্টি দিছিলি কেন তাইলে?

শাওনঃ আমি বলছি মাইয়া জ্বলবে।  এখন আমি কিভাবে বলব। জ্বলছে কিনা ? 

আমিঃ বেচে গেলি। 


ভার্সিটি ছুটির পর। হাটছি হাটছি। হঠাৎ একটা শব্দ হলো। 

পিছনে ঘুরে দেখি গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে। পাত্তা না দিয়ে হাটা ধরলাম। কিন্তু কি মনে করে যেন আবারো পেছনে ঘুরতেই দেখি  সঞ্জিতার মাথা দেখা যাচ্ছে। আরো ভালো করে তাকিয়ে দেখি সঞ্জিতার গাড়ি।  

আমি আর স্থির থাকতে পারলাম না। দৌড়ে গেলাম গাড়ির কাছে। ইতিমধ্যে লোক জমে গেছে।। আমি গিয়ে সঞ্জিতা কে বেড় করতে লাগলাম। কয়েক জন মিলে সাহাজ্য করল বেড় করতে। 


তারপর ওরে নিয়া হাসপাতাল চলে গেলাম।

তেমন একটা চোট লাগেনি। শুধু মাথাতেই বেশি চোট লেগেছে। রক্ত বেড় হচ্ছিল। ডাক্তার ট্রিটমেন্ট করল। 


আমিঃ ডাক্তার কিছু হবে না তো ওর? 

ডাক্তারঃ না। চিন্তামুক্ত থাকুন। কিছুক্ষনের মধ্যেই জ্ঞান ফিরবে। 

আমিঃ ওহ ধন্যবাদ ডাক্তার। 


আমি ওর পাশে দাঁড়িয়ে আছি।  ওর জ্ঞান ফিরল। জ্ঞান  ফিরতেই আমাকে দেখেই উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। 


আমি তো পুরো স্যামস্যাং মোবাইলের মতো হ্যাং হয়ে গেলাম।  যে মেয়ে আমাকে সহ্যই করতে পারেনা। সে মেয়েই আমাকে জড়িয়ে রেখেছে। আমার মনে হলো ওর মাথায় আঘাত পাওয়ায় কোনো সমস্যা হয়েছে। 


আমিঃ সঞ্জিতা এই সঞ্জিতা ছাড়ো আমাকে। 

সঞ্জিতাঃ না ছাড়ব না। 

এবার নিশ্চিত এ মেয়ের মাথায় কিছু হয়েছে  

সঞ্জিতাঃ প্লিজ তুমি আমাকে ছেড়ে যাবেনা অন্য কোনো মেয়ের কাছে। 

আমিঃ কোন মেয়ে কিসের মেয়ে

সঞ্জিতাঃ  ভালোবাসি

আমিঃ কাকে?

সঞ্জিতাঃ ভালোবাসি তোমাকে। প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেওনা।  


এ তো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। আমি তো এটাই চাইছিলাম।  আমি তখন হাওয়ায় ভাসতেছিলাম।  এত খুশি মনে হয় জীবনেও হইনাই। হয়ে থাকলেও কবে হইছি মনে নেই। 


আমিঃ সত্যি বলছ??  

সঞ্জিতাঃ হুম সত্যি সত্যি এই তিন সত্যি। 


এবার আমিও ওরে জড়িয়ে ধরলাম।  


হঠাৎ দুজনের করতালির শব্দে আমাদের ধ্যান ভাঙল। তাকিয়ে দেখি শাওন আর তুষার। আমার ছেড়ে দিলাম দুজন দুজন কে।


শাওনঃ বাহ বাহ।  

তুষারঃ মানিয়েছি হেব্বি। ভাবি একদম পারফেক্ট।  তো ভাবি আমাদের এই এতিম বন্ধু টাকে আপনাকে দিয়ে গেলাম।  দেখে রাখিয়েন। 

সঞ্জিতাঃ এতিম মানে?

শাওনঃ এতিম মানে হলো আমরা দুজন ছাড়া ও এতিম। এখন থেকে তো আপনিই সবসময় ওর সাথে থাকবেন। তাই ওই আর কি?.

আমিঃ ধুর বেটা কি বলিস। তোরা আছিস তোরা থাকবি। 

শাওনঃ ওকে তোরা থাক আমরা গেলাম। 


ওরা চলে গেল। 


আমিঃ তো মিস সঞ্জিতা এতদিন আমার সাথে ওরকম  করতেছিলেন কেন? 

সঞ্জিতাঃ আমার ইচ্ছা ছিল আমি করছি তোমাকে বলতে হবে নাকি। তুমিও তো অন্য মেয়ের সাথে...

আমিঃ এক মিনিট এক মিনিট তুমি তাকিয়েছিলা?

সঞ্জিতাঃ তাকাব না? আমার ভালোবাসার মানুষ অন্য মেয়ের সাথে কথা বলছে  আমার শরির টা জ্বলে যাচ্ছিল।

আমিঃ তার মানে এটাই যে এই এক্সিডেন্ট টাও আমার জন্য হয়েছে। 

সঞ্জিতাঃ হুম। গাড়ি চালাচ্ছিলাম হঠাৎ তোমাকে দেখেই   মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যায়। তারপর....

আমিঃ থাক আর বলা লাগব না। 


কিছুক্ষন পর ডাক্তার  আসল। এসে সঞ্জিতাকে দেখল,,,


ডাক্তারঃ  ওনাকে নিয়ে যেতে পারেন। 

আমিঃ ওকে ধন্যবাদ ডাক্তার। 


তারপর ওরে ওর বাড়ি পৌছে দিয়ে বাড়ি ফিরলাম।  


ভাবতেও ভালো লাগছে যে আমি সঞ্জিতাকে আপন কিরে পেয়ে গেছি। অবশেষে তাহলে পেলাম তাহাকে। 

খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করতেছে।  ভাই আজ একটু নাচি।  


To be continue


Tags: bangla romantic golpo, romantic bangla golpo, bangla horror story, রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প, bengali love story, thakurmar jhuli golpo, bangla love story book, romantic love story in bengali, sad post bangla, ভালোবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের কাহিনী, thriller Story

Post a Comment

Thanks for your Support 💖

Previous Post Next Post