বন্ধুর_বোন_যখন_আমার_বউ (Part-10) -StoryBD.xyz

 

BONDHUR_BON_JOKHON_AMAR_BOU। বন্ধুর_বোন_যখন_আমার_বউ

রোমান্টিক লাভ স্টোরি

Writer: Niloy

পার্টঃ০৯



পরদিন আকাশের বাবা নিজে গিয়ে মেঘলার ট্যুর ফি দিয়ে দিলেন।

অনেকেই যাবে সবাই খুশি, কিন্তু মেঘলাদের ব্যাচ যেহেতু সবচেয়ে জুনিয়র ব্যাচ তাদের উপড় সিনিয়রা হুকুম চালাবে এটাই নিয়ম তাই মেঘলাদের ব্যাচের তেমন কেউ যাচ্ছে না। কিন্তু তাতে মেঘলার কি যায় আসে? আকাশ তো যাচ্ছে তাতেই হবে।

এই পিচ্চি মেয়েটা ট্যুরের কি বোঝে? একে কে নিয়ে যাচ্ছে?কথাটা শুনে চোখ গরম করে মেঘলা পিছনের দিকে তাকাল। 

মেঘলাঃ অহ খচ্চর,তাই তো বলি এসব বাজে কথা আর কে বলবে?

নাবিল হাসতে হাসতে বলল যানো তোমাকে ওখানে নিয়ে গিয়ে বেঁচে দিব ভাল হবে না?

মেঘলাঃ আহা শখ কত? আমি আপনাকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিব সেটা কেমন হবে?

নাবিলঃ ওহ আচ্ছা তুমি তাহলে সাঁতার ও জানো না?

মেঘলাঃ ওমা আপনি সেটা কি করে জানলেন?

নাবিলঃ এই তো এখুবি বল্লে....

মেঘলাঃ আমি ত আপনাকে ফেলব বল্লাম।

নাবিলঃ তুমি ভেবেছো আমাকে ফেলে দিবে বললে আমি ভয় পাব তারমানেই তো তুমি পানি ভয় পাও আর যে সাঁতার পাড়ে না সেই ত পানি ভয় পায় তাই না?

মেঘলাঃ আপনার আর আকাশ ভাইয়ের মাথায় কত বুদ্ধি.... আমারো যদি থাকত। 

নাবিলঃ আকাশের সাথে থাকতে থাকতে তোমারো বুদ্ধি হয়ে যাবে।কিন্তু তুমি এখুনি দাঁড়িয়ে আছো কেন বাসায় গিয়ে গোছগাছ করে নাও সকালে যেতে হবে তো।এদিকে আমিও প্লেন করি তোমাকে পাহাড় থেকে ফেলব?সমুদ্রে ডুবাব নাকি বেঁচে দিব?

মেঘলাঃ আমাকে কাবু করা এত সহজ না বোঝলেন মশাই। যাই হোক আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে এখন যাই সকালে দেখা হবে।

মেঘলা বাসায় এসে সব গুছিয়ে নিয়েছে। তার সময় যেন আর কাটছে না।আকাশও বাসায় এসে নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েছে।

মেঘলা সারারাত ধরে প্লেন করেছে সে কি কি করবে?আকাশের সাথে ঘুরবে,শপিং করবে,একসাথে খাবে আর যাওয়ার সময় আকাশের কাঁদে মাথা রেখে ঘুমাবে।সব প্লেন করা শেষ।

সকালে উঠেই মেঘলা রেডি।আকাশ এসে বলল মেঘলা আমি আগে যাই তুই একটু পর যাস। 

মেঘলাঃ আচ্ছা....

নানা রকম ঝলপনা কল্পনা করে মেঘলা গিয়ে বাসে চড়ল কিন্তু সেখানে যাওয়ার সাথে সাথেই তার সমস্ত খুশি বিলিন গেল কারন আকাশ একটা মেয়ের পাশে বসেছে আর মেয়েটা আকাশের হাত ধরে বসে আছে।আকাশ এমন ভাব করল যেন সে মেঘলাকে চিনেই না।

মেঘলা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে যে যার সিটে বসে পড়েছে।তাই বাধ্য হয়ে মেঘলা গিয়ে পিছনে বসলো। 

পিছন থেকে আকাশ আর ওই মেয়ে ২ জনকেই দেখা যাচ্ছে তারা ২ জনেই খুব খুশি নানা রকম খুনশুটি করছে ২ জনে মিলে, যেমনটা মেঘলার থাকার ছিল। আকাশের ওই মেয়ের প্রতি এত কেয়ারিং দেখে,মেঘলার সারারাত ধরে দেখা প্রতিটা স্বপ্ন এক এক করে ভেংগে যাচ্ছে। তার মনে হচ্ছে এর চেয়ে না আসায় ভাল ছিল।মেঘলার খুব কান্না পাচ্ছে।ইতিমধ্যে কেঁদেও দিয়েছে।কিছুক্ষন কাঁদার পর তার ম্যাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। কাঁদতে কাঁদতে মাঝে মাঝে হিচকি তুলছে মেঘলা।

মেঘলার হিচকি দেখে পাশে বসে থাকা মেয়েটি চেচিয়ে বলে উঠল কি হচ্ছে এসব? এই মেয়েটাকে কে এনেছে একটু শান্তিতে বসতে দিচ্ছে না।এখন তো বমিও করবে।

মেয়েটির কথা শুনে সবাই মেঘলার দিকে তাকাল মেঘলা তাড়াতাড়ি চোখ মুছে নিল।

মেয়েটিঃ এই উঠো এখান থেকে... আমার পাশে বসবা না।বলেই মেয়েটি মেঘলাকে সীট থেকে তুলে দিল।

সবাই মেঘলার দিকে তাকিয়ে আছে।মেঘলার লজ্জা করছে সে আপাতত এখানে তার আকাশ বাদে কাউকে আপন মনে হচ্ছে না তাই অসহায় দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকাল মেঘলা কিন্তু আকাশের তাতে কোন রেসপন্স নেই।

কাঁদতে কাঁদতে মেঘলার মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেছে।

কি ভেবে এসেছিলাম আর কি হল? আমার কোন ক্লাসমিট ও তো আসে নি কি করব আমি?কার কাছে সাহায্য চাইব? আকাশ যে কোন সাহায্য করবে না দেখেই বোঝা যাচ্ছে কি করব এখন? শরীরতো খুবি খারাপ লাগছে। 

আশে পাশের সবাই মেঘলাকে হাজার টা কথা শুনাচ্ছে। 

এই তুমি দূরে গিয়ে দাড়াও কাছে আসবা না।মনে তো হচ্ছে এখুনি বমি করে সবার অবস্থা খারাপ করে দিবে।জার্নি যখন করতে পাড়ো না এসেছিলে কেন?নিজের ক্লাসের কেউ আসে নি উনি ড্যাংড্যাং করে চলে এসেছেন যতসব প্যারা।কে যে এই মেয়েকে আসার পারমিশন দিল।

মেঘলার এত অপমান সহ্য এত সমস্যা হচ্ছে নেমে যাচ্ছিস না কেন?একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে এমন করতে তোদের খারাপ লাগছে না?

পিছনে তাকিয়ে মেঘলা যেন আত্মায় প্রান ফিড়ে পেল সস্বির নিশ্বাস ফেলে বলল ভাইয়া আপনি আছেন তো ভুলেই গেছিলাম। বাসায় যাব আমাকে নামিয়ে দিন প্লিজ।

নাবিলঃ ড্রাইভার গাড়ি থামান....

নাবিল মেঘলার হাত ধরে নিয়ে নেমে গেল।

মেঘলাঃ ভাইয়া আপনি নামছেন কেন আপনি যান আমি একাই যেতে পাড়ব।

নাবিলঃ তাই বোঝি?

মেঘলাঃ হুম আমি কোন গাড়ি নিয়ে চলে যাব।

নাবিল একটা পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে বলল পানি খাও চোখে মুখে পানি দাও। 

মেঘলার শরীর খারাপ লাগছিল তাই নাবিলের কথা মত পানি খেয়ে নিল।

আকাশ ভিতর থেকে বলল নাবিল তোরা নাটক কর আমরা যাই গাড়ি থামিয়ে রেখেছিস কেন?

নাবিল চোখ গরম করে বলল,দেখে কি ভিখারি মনে হচ্ছে? তুই যত টাকা দিয়ে এসেছিস আমরাও তত দিয়েই এসেছি তাই চুপচাপ বসে থাক যতক্ষন না মেঘলা ঠিক হচ্ছে সবাই অপেক্ষা করবি।আর মেঘলাকে নিয়ে যার যার সমস্যা তারা নিজের ইচ্ছায় নেমে যেতে পাড়ে।কাউকে যাওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে না মেঘলা যদি না যেতে পাড়ে তাহলে এই ট্যুর হবে না। ও সবাই কে সম্মান দেখাচ্ছে বলে সবাই ওকে চেপে ধরেছিস অমানুষের দল কিন্তু আমি থাকতে সেটা তো হতে দিব না।

নাবিলের কথায় আকাশ চুপ হয়ে গেল সাথে অন্যরাও কারন যেখানে আকাশ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না সেখানে অন্যকেউ কথা বল্লে নাবিল মেনে নিবে না। 

মেঘলা আকাশের ব্যবহারে অবাক হচ্ছে।আর নাবিলের কেয়ারিংও তার কাছে অদ্ভুত লাগছে।

নাবিলঃ কারো কথায় কান দেওয়ার দরকার নেই। তুমি খোলা হাওয়ায় বসে যতক্ষন ইচ্ছা বিশ্রাম নিয়ে নাও মেঘলা।

কিছুক্ষন পর মেঘলাকে নিয়ে এসে নাবিল নিজের পাশের সীটের ছেলেটাকে তুলে দিয়ে মেঘলাকে জানালার পাশে বসিয়ে দিয়ে জানালা খোলে দিল আর মেঘলাকে ধরে নিজের কাঁধের উপড় শুয়িয়ে দিয়ে বলল ঘুমাও।

মেঘলার আপত্তি থাকলেও তার মাথা ব্যাথা করছে তাই আপত্তি না করে নাবিলের কাঁদে মাথা রেখে ঘুমানোর চেস্টা করল।আর কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুমিয়েও গেল।

আকাশ আড় চোখে বারবার মেঘলাকে দেখছে কিন্তু মেঘলা গভীর ঘুমে আছন্ন।

মাঝপথে খাওয়ার জন্য সবাই নেমে গেল। আকাশের পাশে বসা মেয়েটির এসে বলল নাবিল খাবে না? নামছো না যে?

নাবিলঃ দেখতেই পাচ্ছো মেঘলা ঘুমাচ্ছে ওকে রেখে যাব কি করে? বোঝতেই পাড়ছো অসুস্থ হয়ে গেছে। আকাশ তুই যদি ওর পাশে একটু বসতি আমি খেয়ে আসতে পাড়তাম। আমি না হয় তোর জন্য খাবার নিয়ে আসব। 

আকাশঃ আচ্ছা যা তুই বলে, আকাশ মেঘলার পাশে বসল।নাবিল আর মেয়েটি চলে যাওয়ার পর আকাশ মেঘলাকে নিজের কাঁধে শুয়িয়ে দিয়ে আলত করে কানের কাছে চুল গুলো গুঁজে দিয়ে মেঘলার কপালে চুমু খেল।কিন্তু মেঘলা সেসব দেখতে পাচ্ছেনা সে তো তার ঘুমের রাজ্যে বিচরন করছে।

কিছুক্ষনের মধ্যেই নাবিল ফিড়ে এলো এখুনো কেউ আসে নি।

নাবিল মেঘলাকে ডাকতে যাবে তখনি আকাশ বলল ডাকিস না আগে আমি যাই তারপর ডাক।

নাবিলঃ তোর মাথায় কখন কি চলে শুধু তুই জানিস বাকি সবার মাথার উপড় দিয়ে যায়।

আকাশঃ সময় হলে না হয় বোঝাব....

আকাশ চলে যাওয়ার পর নাবিল মেঘলাকে ডেকে খায়িয়ে দিল।

নাবিলঃ মেঘলা ঠিক আছো?

ঘুমিয়ে মেঘলার সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে আমি একদম ঠিক আছি ভাইয়া আপনি টেনশান করবেন না।

মেঘলাঃ ভাইয়া একটা প্রশ্ন করব?

নাবিলঃ অবশ্যই....

মেঘলাঃ না মানে আসলে... আকাশ ভাইয়ার সাথে বসা মেয়েটা কে....???উনাকে আগে কখনো দেখি নি আর আকাশ ভাইয়াকেও এর আগে মেয়েদের সাথে এত বেশি মিশতে দেখি নি তাই জিজ্ঞাস করছিলাম আর কি... 


নাবিলঃ মেয়েটার নাম ইরা,আমাদের সাথেই পড়ে গতবছর টিসি নিয়ে এখানে এসেছে কিন্তু কলেজে বেশি আসেনা, বাসা মনে হয় দূরে।সত্যি বলতে আমি ওর সাথে তেমন কথা বলি নি তাই বেশি কিছু জানি না।

মেঘলাঃ অহ আচ্ছা..... বড় লোক তাই না? দেখেই বোঝা যাচ্ছে...

নাবিলঃ হবে হয়ত.....গাড়ি ছাড়া কলেজে আসে না.জানই তো মেয়েদের ব্যাপারে আমার ইন্টারেস্ট কম তাই কখনো খোঁজ নেই নি। তবে আকাশের সাথে ইরার বেশ ভাল সম্পর্ক। একমাত্র আকাশের সাথেই ইরা বেশি মেলামেশা করে। 

মেঘলার ভিতরে কি হচ্ছে মেঘলা জানে কিন্তু প্রকাশ করার উপায় নেই। 

মেঘলাঃ বড়লোকের সাথে বড়লোকেই মানায় আমার মত চালচুলা হীন মেয়ে আকাশের যোগ্য নই (মনে মনে) কিন্তু উনি ত আমায় ভালবাসেন তাই না? ভালবাসায় সব সম্ভব বড় ছোটর পার্থক্য নেই।

মেঘলা নিজেই নিজেকে শান্তনা দিচ্ছে।

দেখতে দেখতে সবাই গন্তব্যে পৌছে গেল।

রুম বুক করা হচ্ছে,সমস্যা একটাই মেঘলা ছোট তাই কেউ তাকে রুমে নিতে চাচ্ছে না ও থাকলে নাকি মজা করা যাবে না।মেঘলার এমন পরিস্থিতে পড়ে খারাপ লাগছে।

আকাশঃ কি হবে তাহলে? একে নিয়ে এসে তো ভাল ঝামেলায় পড়া গেল।

নাবিলঃ কিসের ঝামালা আমি তো কোন ঝামেলা দেখতে পাচ্ছি না.... ম্যানেজার সাহেব একটা লাক্সারি রুম দিন।আকাশের দিকে তাকিয়ে নাবিল বলল মেঘলা একাই থাকবে। 

আকাশঃ okey তোদের যেমনটা ইচ্ছে....

ইরাঃ উফফ আকাশ যার যেখানে খুশি থাকুক না তাতে তোমার কি ছাড়োত এসব,চলো না সমুদ্রে যাই.... 

আকাশঃ আরে কেবল তো আসলাম আগে রুমে যাই।ফ্রেশ হয়ে না হয় যাব।

ইরাঃ না না না আমি কিছু শুনতে চাই না এখনি চলো প্লিজ, সমুদ্রে ভিজব তারপর এসে একেবারে ফ্রেশ হবো।

আকাশঃ আচ্ছা ঠিক আছে চলো....

যাওয়ার জন্য ইরা আকাশের হাত ধরল

দৃশ্যটা দেখে মেঘলার মুখ টা একদম মলিন হয়ে গেছে.... চোখ ছল ছল করছে।

আকাশের হাত ধরে ইরা যেই যেতে যাবে তখনি 

নাবিল বলে উঠল এই আকাশ দাঁড়া, তোরা হানিমুনে আসিস নি যে একা একা ঘুরতে যাবি।

গেলে সবাই একসাথে যাবি।

ইরাঃ উফফ... কাম অন নাবিল!! আমরা স্কুলের বাচ্চা না যে স্যাররা হাত ধরে নিয়ে ঘুরে বাড়াবে।আমরা এখানে প্রাইভেট টাইম স্পেন্ড করতেই এসেছি। এই তোমরা সবাই কি বলো?

অন্যরা বলল হ্যা ইরা তো ঠিকি বলেছে ওরা যাচ্ছে যাক তোর আপত্তি কিসের নাবিল?আমাদের যাদের ইচ্ছা হবে আমরা যাব ওদের সাথে যেতে হবে কেন এই ইরা তোরা যা তো।

ইরা আকাশ কে নিয়ে চলে গেল।

সবাই সবার মত রুমে চলে গেল। নাবিল মেঘলাকে রুমে দিয়ে নিজেও রুমে গেল। 

মেঘলা রুমে এসে ওয়াশরুমে ঢুকে শাওয়ার টা ছেড়ে দিয়ে তার নিচে বসে বসে ভিজছে চোখের পানি বাধ মানছে না। মেঘলার রাগ কষ্ট ২ টাই হচ্ছে। 

প্রায় এক ঘন্টা পর নাবিল ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিয়ে মেঘলার রুমে আসল। 

নাবিল ঢুকার সময় অবাক হল একি দরজা খোলা কেন? মেঘলা দরজা লক করে নি কেন? নাবিল ঘরে ঢুকে দেখল মেঘলার ব্যাগটা সে যেখানে রেখে গিয়েছিল সেখানেই আছে তারমানে মেঘলা ফ্রেশ হয় নি তাহলে করছে টা কি? চারপাশে দেখল মেঘলা নেই।

হটাৎ নাবিলের ওয়াশরুমের দিকে চোখ গেল,দরজা খোলা মেঘলা নিচে বসে হাটুতে মুখ গুজে ভিজছে।হাতের ঘড়িটা খুলে নি শীতের জ্যাকেট টাও খুলে নি সব নিয়েই ভিজছে।

নাবিলের বুঝতে বাকি রইল না যে মেঘলা আসার পর থেকেই শাওয়ার নিচে বসে আছে।

নাবিল তাড়াতাড়ি গিয়ে মেঘলাকে টেনে তুলল।

প্রায় ১ ঘন্টা যাবত সে ভিজছে তাও এই ঠান্ডার দিনে।ঠান্ডায় মেঘলার গোলাপি ঠোঁট গুলি নীল হয়ে গেছে ঠকঠক করে কাঁপছে মেঘলা।

নাবিলঃ এসব কি করছো মেঘলা?এভাবে ভিজছো কেন?

মেঘলা......কথা বলার অবস্থায় সে নেই।

নাবিল ব্যাগ থেকে জামা বের করে দিয়ে বলল চেঞ্জ করে নাও। 

মেঘলা তাই করল। কিন্তু তার ঠান্ডা এখুনো কমে নি আর শীতের জামাও ভিজিয়ে ফেলেছে নাবিল নিজের জ্যাকেট টা খুলে মেঘলাকে পড়িয়ে দিল। 

তারপর জোর করেই মেঘলাকে নিয়ে বেরিয়ে গেল 

সমুদ্রের পাড়ে একটা রেস্টুরেন্ট এ খেতে গেল মেঘলাকে নিয়ে। 

ওরা বসে খাচ্ছিল তখনি আকাশ আর ইরাও সেখানে আসল।

আকাশ মেঘলার পড়নে নাবিলের জ্যাকেট দেখে একটু হাসল।

আকাশঃ তুই ই বা আমার চেয়ে কম কিসে মেঘলা....ভালই তো আছিস নাবিলের সাথে।আচ্ছা দেখি তুই কতটা নিতে পাড়িস (মনে মনে)

আকাশঃ খাবার অর্ডার দিল আর খাবার দেওয়ার পরেই আকাশ ইরাকে খায়িয়ে দিতে শুরু করল। 

এবার আর মেঘলার আর সহ্য হল না সে উঠে আকাশের টেবিলের কাছে গিয়ে আকাশ প্রশ্ন করল এই মেয়েটা কে? 

আকাশ উঠে দাঁড়িয়ে বলল আপু আপনি ঠিক আছেন? কাকে কি বলছেন?

মেঘলা আকাশে কলার চেপে ধরে বলল আমি জানতে চাচ্ছি মেয়েটার সাথে কি সম্পর্ক আপনার?

নাবিল দূরে দাঁড়িয়ে দেখছে, 

নাবিলঃ এটা হওয়ার এই ছিল....আকাশ একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে(মনে মনে)

আকাশঃ আপু আপনি প্লিজ রুমে যান এটা পাবলিক প্লেস।

মেঘলা কিছু শুনতে রাজি না সে আকাশ কে বারবার জোর করছে।

আকাশ ভালভাবেই মেঘলাকে বোঝানোর চেস্টা করছিল কিন্তু হটাৎ ইরা একটানে মেঘলাকে ছাড়িয়ে নিয়ে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিল মেঘলার গালে। মেঘলা অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকাল কিন্তু আকাশ কিছু বলছে না।

নাবিল তাড়াতাড়ি এসে বলল ইরা কি করলে এটা?

ইরাঃ যেটা আমার করার কথা ঠিক সেটাই করেছি। তোমার জিএফ যদি আমার বয় ফ্রেন্ডকে নিয়ে টানাটানি করে তাহলে আমাকে তো একটু অসভ্য হতেই হবে। 

ইরাঃ আকাশ চলো তো এখান থেকে যতসব ফালতু মেয়ে।

আকাশ কে নিয়ে ইরা চলে গেল। 

মেঘলার এই ধাক্কাটা সহ্য হল না সে মাটিতে বসে কাঁদতে লাগল।

নাবিলঃ শান্ত হও মেঘলা....প্লিজ শান্ত হও

মেঘলাঃ ভাইয়া মেয়েটা.....ক ক ক কি বলে গেলেন উনি? আকাশ উনার বয়ফ্রেন্ড......!!!বলুন না আমি ভুল শুনেছি তাই না?কিন্তু মেয়েটা আমায় মারল আকাশ তবু কিছু বলল না কেন?আমি স্বপ্ন দেখছি তাই না ভাইয়া এসব মিথ্যা ......আকাশ আমায় ঠকাতে পাড়েনা।এসব কিছুতেই হতে পাড়েনা।

নাবিল মেঘলাকে কি বলে শান্তনা দিবে বোঝতে পাড়ছে না। 

নাবিলঃ আকাশ কি চাইছিস তুই.....??? কেন এসব করছিস? ও এসব কিভাবে মানবে আমারেই তো সহ্য হচ্ছে না। মেঘলা যে জেদি যদি কোন অঘটন ঘটায় সহ্য করতে পাড়বি তো? না কিছু ঘটার আগে আমাকেই কিছু একটা করতে হবে.....

নাবিলঃ উঠি মেঘলা কে কার জিএফ সেটা কি মুখে বল্লেই হয়ে যায় ও তো এটাও বলল যে তুমি আমাত জিএফ তাই বলে কি সেটা সত্যি?

মেঘলাঃ মিথ্যাই যদি হবে আকাশ কেন প্রতিবাদ করল না.... কেন বলল না ও আমায় ভালবাসে।

আচ্ছা ভাইয়া আমি কি দেখতে খুব খারাপ যে আমাকে প্রেমিকা হিসেবে পরিচয় দেওয়া যাবে না.....‌!!!

Post a Comment

Thanks for your Support 💖

Previous Post Next Post