অপমানে অপমানিত Apomane Apomanito
last part.
লেখকঃ Arian Sumon..
বিকালে সঞ্জিতা কে নিয়া গ্রাম ঘুরতে বেড় হলাম। দুজন হাতে হাত রেখে হাটতেছি। এমন সময় তিন্নি সামনে এসে দাড়াল।
আমিঃ কিরে এভাবে কি দেখছিস?
তিন্নিঃ এই মেয়ে টা কে?
আমিঃ কে আবার তোর ভাবি আমার বউ। আর সঞ্জিতা ও হচ্ছে তিন্নি।
সঞ্জিতাঃ তাহলে তুমিই তিন্নি। বাহ দেখতে তো মাশাল্লাহ। তা আমার জামাইর পেছন লাগছ কেন?
তিন্নিঃ তোমার জামাই মানে? (প্রচন্ড রেগে)
সঞ্জিতাঃ একটু আগে শুনলা না ও কি বলল। আমি ওর স্ত্রী।
তিন্নিঃ আমি মানি না। ও শুধু আমার আর কারো হতে পারেনা।
সঞ্জিতাঃ আরে ননদিনী ও তো অনেক আগেই আমার হয়ে গেছে। তুমি এখন পল্টি মারো। তুমি আর ওরে পাবানা।
তিন্নিঃ কইলেই হবে নাকি।
দুজনের ঝগড়া সিরিয়াস মুডে চলে যাচ্ছে। না এবার আমাকে কিছু করতেই হবে। নাহলে বড় কিছু হয়ে যেতে পারে।
সুমনঃ ওই থাম। বেশি পাকনামি করছ কেন। যাহ বাড়িত যাহ। আর সঞ্জিতা তুমিও কি ওর মত বাচ্চা নাকি।
সঞ্জিতাঃ বাচ্চাই আমি। তোমার দিকে যে নজর দিবে তার চোখ আমি তুলে ফেলব।
সুমনঃ থাক লাগবে না। চলো তোমাকে ফুসকা খাওয়াই।
সঞ্জিতাঃ চলো ননদিনী তুমিও চলো একসাথে খাই।
তিন্নিঃ থাক লাগবেনা।
বলেই মুখ ভেংচিয়ে চলে গেল।
আমিঃ আরে ও একটা ওর সাথে ঝগড়া করার কি দরকার ছিল।
সঞ্জিতাঃ সরি এখন চলো।
তারপর দুজন মিলে ফুচকা খেলাম। তারপর বাড়িতে গিয়ে দেখি ছোটখাটো মিটিং চলছে।
আমিঃ কি হচ্ছে এখানে?
আব্বুঃ তোদের নিয়াই কথা হচ্ছে।
আমিঃ আমাদের নিয়া কথা হচ্ছে অথচ আমি নেই। এটা কি ঠিক
ভাইয়াঃ আরে ভাই আমার তুই বস।
আমিঃ বসলাম এবার বলো কি কথা হচ্ছিল।
ভাইয়াঃ তোকে আবার বিয়ে দিব।
সঞ্জিতাঃ কিইইইইইইই ( খুব রেগে)
আম্মুঃ আরে বউমা রাগ করোনা। তোমাদের আবার বিয়ে দিব।
সঞ্জিতাঃ ওহ। সরি
আমিঃ বিয়ে তো আমরা করছিই আবার দেওয়ার কি দরকার
আম্মুঃ আমাদের আত্বীয় স্বজন রা তো জানেনা। তাই তোদের আবার একটা বিয়ে দিব এবং তাদের দাওয়াত করব।
আমিঃ ওহ কবে করতে চাও।
আম্মুঃ পরশুদিনই করব।
আমিঃ ওকে
আব্বুঃ আর বউমা তুমি তোমার আব্বু আম্মুকেও ডেকে পাঠাও।
সঞ্জিতাঃ ওকে আব্বু।
তারপর আরো কিছুক্ষন সবার সাথে আড্ডা দিলাম। তারপর সবাই মিলে খাইলাম।
খাওয়া শেষে রুমে গেলাম। সঞ্জিতা ও আসল।
সঞ্জিতা এসে আমার পাশে শুয়ে আমার বুকে মাথা রাখল।
সঞ্জিতাঃজানো আজ আমি অনেক খুশি
আমিঃ তা তো দেখেই বুঝতে পারছি।
সঞ্জিতাঃ বুঝতে পারলে করো না কেন
আমিঃ কি করব
সঞ্জিতাঃ সেই যে হোটেলে যা করছিলে তা
আমিঃ তোমার লজ্জা নেই তাই না
সঞ্জিতাঃ তুমি করবা নাকি আমি করব।।
"
"
"
"
"
তারপর দিন সকালে ঘুম ভাঙল তিন্নির ডাকে।
আমিঃ এত সকালে ডাকলে কেন
সঞ্জিতাঃ তুমি তো এত যলদিই উঠতে
আমিঃ কবে উঠছি
সঞ্জিতাঃ আমাদের বাড়িতে থাকতে
আমিঃ সেটা তো কাজের জন্য। এখন আমার কোনো কাজ নেই তো
সঞ্জিতাঃ কাজ আছে। চলো হাটতে বেড় হব।
আমিঃ এত সকালে আমি হাটিনা।
সঞ্জিতাঃ উঠবা নাকি পানি ঢেলে দিব
আমিঃ থাক উঠছি।
তারপর ওর সাথে বেড় হলাম। হাটাহাট করে বাড়ি ফিরলাম। দুপুরে খেয়ে ধেয়ে শুয়ে আছি। এমন সময় সঞ্জিতা ডাক দিল।
সঞ্জিতাঃ সুমন এই সুমন
আমিঃ কি হয়েছে
সঞ্জিতাঃ দেখে যাও কে এসেছে।
ধুর এখন আবার কে আসল। রুম থেকে বেড় হয়ে গিয়ে দেখি আংকেল আন্টি। তারা আমাকে দেখে খুশিই হলো। তাদের সাথে কুশলি বিনিময় করলাম।।
তারপর দিন সবার উপস্থিতিতে আবার আমাদের বিয়ে হয়ে গেল।।
এখন বাসর ঘরের সামনে দাড়িয়ে আছি। গতবার তো থাপ্পর খাইছিলাম। এবার আবার খাব না তো? সিকিউরিটি নিয়ে যেতে হবে। তাই বাইকের হেলমেট পড়ে রুমে ডুকলাম। গিয়ে দেখলাম সঞ্জিতা বউ সেজে বসে আছে। আমি গিয়ে খাটে বসলাম। সঞ্জিতা ঘুম টা সড়িয়ে আমাকে দেখে অভাক।
সঞ্জিতাঃ এটা কি?
আমিঃ কোনটা?
সঞ্জিতাঃ মাথায় এসব কি?
আমিঃ ওহ এটা? এটাতো হেলমেট।
সঞ্জিতাঃ বাসর ঘরে কেউ এসব পড়ে আসে?
আমিঃ কি করব তুমি যেই ডেঞ্জারাস। গতবার তো থাপরাইয়া গাল লাল বানাইছিলা। তাই এবার পুরো সিকিউরিটি নিয়ে এসেছি।
সঞ্জিতাঃ বাহ বাহ আমার জামাই দেখি আমাকে খুব ভয় পায়।
আমিঃ এটা ভয় নয় ভালোবাসা।
সঞ্জিতাঃ কেমন ভালোবাসা আবার
আমিঃ যেমনই হোক। আমার এখন ঘুম পাইছে ঘুমাব
সঞ্জিতাঃ তোর ঘুমের গুষ্ঠি কিলাই।
আমিঃ চিনলে কিলাইতে পারো।
সঞ্জিতাঃ একদম বেশি কথা কম বলবা । হেলমেট খুলো।
আমি খুলে ফেললাম।
সঞ্জিতাঃ এবার খাট থেকে নেমে দাড়াও।
আমি তাই করলাম। তারপর সঞ্জিতাও নামল। আমার মুখোমুখি দাড়াল।
সঞ্জিতাঃ এবার আমাকে প্রপোজ করো
সুমনঃ এখন আবার প্রপোজ
সঞ্জিতাঃ হুম করো।
সুমনঃ ওকে
তারপর আমি হাটু গেড়ে বসে সঞ্জিতার হাত টা ধরলাম। তারপর বললাম,,
আমিঃ I LOVE YOU SO MUCH...
বলেই সঞ্জিতার হাতে কিস করলাম।
সঞ্জিতা ঃ I LOVE YOU TOO
তারপর আমি সঞ্জিতাকে কোলে তুলে নিলাম । তারপর খাটে নিয়া আসলাম।
আমিঃ আজকে দেখাব আদর কাকে বলে
সঞ্জিতাঃ হুম দেখাও।
আমিঃ তার আগে ফিক্সড করে নেই আমাদের প্রথম বাবুটা কি হবে মেয়ে নাকি ছেলে?
সঞ্জিতাঃ আমার তো ছেলে বাবুই চাই
আমিঃ আমার যে মেয়ে লাগবে
সঞ্জিতাঃ না ছেলে
আমিঃ ওকে।।
বাকিটা ডিং ডং টিং টং
সমাপ্ত
The END