![]() |
মন্ত্রীর মেয়ে (The ministers daughter)
লেখকঃ Arian Sumon
5th part..
সঞ্জিতাঃ আমি
আমিঃ তুমি কি?
সঞ্জিতাঃ আমি প্রেগন্যান্ট
আমিঃ what????
সঞ্জিতাঃ হুম। বেশ কয়েকদিন ধরে বমি হচ্ছিল। আর পেট টাও কেমন যেন করতেছিল। তাই আজকে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। ডাক্তার চেক করে বলল আমি প্যাগনেন্ট।
আমিঃ তোমার মাথা ঠিক আছে তো?
সঞ্জিতাঃ কি করলাম?
আমিঃ ডাক্তার বলল তুমি প্র্যাগনেন্ট আর তুমি বিশ্বাস করে ফেললা?
সঞ্জিতাঃ তো?
আমিঃ চলো আমার সাথে চেক আপ করিয়ে আসি।
সঞ্জিতাঃ একবার করলাম তো
আমিঃ তবুও চলো
ওরে নিয়া হাসপাতাল গেলাম। চেক আপ করালাম। ডাক্তার বলল আসলেই ও প্র্যাগনেন্ট।
হাসপাতাল থেকে বেড় হয়ে
আমিঃ তুমি এখন বাসায় যাও। আমি দেখছি কি করা যায়।
সঞ্জিতাঃ হুম। ওকে।
ও বাসায় চলে গেল। আমিও বাসায় চলে আসলাম। এসে ফ্রেশ হয়ে খাইলাম। খাইয়া শুইলাম।
ওহ হ্যা আপনারা ভাবছেন আমি এত চিন্তামুক্ত কিভাবে? আমার চিন্তার ও কোনো কারন নাই। আমি তো এটাই চেয়েছিলাম সঞ্জিতাকে প্র্যাগনেন্ট বানিয়ে দিয়ে আমার বোনের সাথে ঘটা ঘটনার প্রতিশোধ নিব। এসে গেছে প্রতিশোধের সময়।
এমন সময় ফোন বেজে উঠল। সঞ্জিতার ফোন।
আমিঃ হেলো
সঞ্জিতাঃ বাসায় গেছ?
আমিঃ হুম। খেয়ে শুইলাম।
সঞ্জিতাঃ এখন আমি কি করব?
আমিঃ কি করবা মানে?
সঞ্জিতাঃ আম্মু বুঝে গেছে যে আমি প্র্যাগনেন্ট।
আমিঃ কিইইই কিভাবে জানল?
সঞ্জিতাঃ জানিনা।
আমিঃ আচ্ছা আমি দেখছি কি করা যায়।
সঞ্জিতাঃ আমরা বিয়ে করে ফেললেই তো হয়? চলো না বিয়ে করে ফেলি
আমিঃ কি বলছ? পাগল হয়েছ
সঞ্জিতাঃ কেন?
আমিঃ আমার কোনো চাকরি নেই কিছু নেই। এখন বিয়ে করা অসম্ভব।।
সঞ্জিতাঃ সে পরে দেখা যাবে। চলো না বিয়ে করে ফেলি।
আমিঃ আমি পারব না। আমি ভেবে বলব কি করব। রাখি এখন।
ফোন কেটে দিলাম। যাক বাবা কাজ শুরু হয়ে গেছে। মন্ত্রী মশাই অনেক খেলছেন অন্যের মেয়েদের নিয়ে ছিনিমিনি । এখন বুঝবেন নিজের মেয়ের সাথে এমন হইলে কেমন লাগে।
নিশ্চিন্তে ঘুমালাম।
বিকালে,,
=> এই সুমন উঠ।
আমিঃ হুম কি কে
=> আরে আমি আপু
আমিঃ কিই আপু
চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি আপু।
আমিঃ আপু তুইইইই
আমি আপুকে জড়িয়ে ধরলাম।
আপুঃ আরে পাগল করছিস কি
আমিঃ কখন আসলি?
আপুঃ এই তো কিছুক্ষন আগে।
আমিঃ তুই আসবি আমাকে কেউ বলল ও না। আজ আব্বুর আম্মুর একদিন নাহলে আমার একদিন।
আপুঃ আরে উত্তেজিত হইছ না। আমি কাউকে বলিনাই। তোকে সারপ্রাইজ দিব বলে চলে আসলাম।
আমিঃ ওকে। আমার মামা টা কোথায়?
আপুঃ আব্বুর কাছে।
আমিঃ ভালো কথা? দুলাভাই আসেনাই?
আপুঃ নারে ওর কিছু কাজ আছে। ওগুলো শেষ করে। তারপর এসে আমাদের নিয়ে যাবে।
আমিঃ ওকে। তাহলে অনেকদিন থাকা হচ্ছে।
তারপর আপুর সাথে কিছুক্ষন বক বক করলাম। দিন টা খুব ভালো কাটল।
পরদিন আপুকে নিয়ে বেড় হলাম। কিছু মার্কেটিং করব বলে। যাহোক কেনাকাটা করছি।
এমন সময় কেউ আমার হাত টেনে ধরল। পিছন ঘুরে দেখি সঞ্জিতা।
সঞ্জিতাঃ তোমার ফোন বন্ধ কেন???
পকেটে হাত দিয়ে দেখি ফোন নেই। মনে পড়ল। কালকে দুপুরে কথা বলার পরে আর ফোনই তো হাতে নেই নাই। আসলে আপুকে পেয়ে এত খুশি হইছি যে সব কিছু ভূলেই গেছিলাম।
আমিঃ চার্জ নেই মনে হয়।
এমন সময় আপু বলল
আপুঃ কে এই মেয়ে???
আমিঃ ক্লাস ফ্রেন্ড
আপুঃ ওহ।
সঞ্জিতাঃ কেমন আছেন আপু?
আপুঃ ভালো তুমি কেমন আছ?
সঞ্জিতাঃ হুম চলছে কোনোরকম।
আমিঃ আচ্ছা আপু তুই একটু দেখ আমি ওর সাথে কথা বলে আসছি
আপুঃ ওকে। যলদি আসিস।
আপু চলে গেল।
আমি ওরে নিয়ে একটু বাহিরে আড়ালে চলে গেলাম।
আমিঃ কি হয়েছে এবার বলো
সঞ্জিতাঃ কি হয়েছে মানে। আমি কি করব বলবা তো।
আমিঃ কি করবা মানে
সঞ্জিতাঃ আম্মু আমাকে সন্ধেহ করতেছে। চলো না বিয়ে করে ফেলি।
আমিঃ একবার বলছি না সম্ভব না।
সঞ্জিতাঃ তো কি করবা বলো?
আমিঃ তুমি এবোরশন করিয়ে নাও।
সঞ্জিতাঃ কি বললা তুমি??? আমি বাচ্চা নষ্ট করব???
আমিঃ হুম করবা সমস্যা কিসের?
সঞ্জিতাঃ এসব কি বলছ সুমন। আমাদের সন্তান। আমরা থাকতে কেন নষ্ট করব।
আমিঃ ওটা তোমার সন্তান। আমার নয়
সঞ্জিতাঃ মানে???
আমিঃ মানে তুমি কার সাথে না কার সাথে কি করছ। এমন হয়ে গেছ। এখন আমাকে ফাসাইতে চাচ্ছ।
ঠাসসসসসস
সঞ্জিতা আমাকে থাপ্পর দিল।
সঞ্জিতাঃ ছিহ সুমন তুমি এটা বলতে পারলা।
আমিঃ ঠিকি তো বলেছি। আর হ্যা এর পর থেকে এই মুখ আর আমাকে দেখাবে না। good byee...
সেখান থেকে আমি চলে আসলাম। আপুকে নিয়ে সোজা বাসায় চলে গেলাম।
অন্যদিকে সঞ্জিতা কাদতে কাদতে বাসায় গেল। গিয়ে ড্রয়িং রুমে বসে কাদতেছে।
ওর আব্বু আম্মু দেখে,,,
আব্বুঃ কি রে মা কাঁদছিস কেন?
আম্মুঃ কি হলো বলবি তো।
আব্বুঃ কি হয়েছে বল মা প্লিজ। তোর কান্না যে আমার সহ্য হয়না। প্লিজ বল।
সঞ্জিতাঃ আব্বু আম্মু ( কেদে কেদে)
আব্বুঃ কি হইছে বল আমাকে। কে কি বলছে।
সঞ্জিতাঃ আমি প্র্যাগনেন্ট।
আব্বুঃ কিইইই
সঞ্জিতাঃ হ্যা আমি একজনকে ভালোবাসি। ও। বাচ্চাই এখন আমার পেটে। কিন্তু ও মেনে নিচ্ছেনা।
ওর আব্বু কপালে হাত দিয়ে বসে পড়ল। কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা। ওর আম্মু সঞ্জিতাকে সামলাইতে ব্যস্থ।
অন্যদিকে আমি বাসায় গিয়ে খাওয়া ধাওয়া করলাম। তারপর ছোট ভাগ্নের সাথে দুষ্টামি শুরু করলাম।।
পরদিন আমার চাকিরর ইন্টার্ভিউ ছিল। তাই সকাল সকাল উঠে চলে গেলাম ইন্টার্ভিউ দিতে। ইন্টার্ভিউ দিলাম ভালোই। মনে হয় চাকরি হয়ে যাবে। রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।
অভাক হয়ে গেলাম। বাড়ির সামনে গাড়িতে ভর্তি । সেখানে পুলিশের গাড়িও রয়েছে। এত গাড়ি কেন?? মাথায় কিছু ডুকল না।
আমি বাসায় ডুকে গেলাম। দরজার সামনেও পুলিশ আর কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আমি ভিড় ঠেলে ভিতরে গেলাম। গিয়ে তো অভাক হয়ে গেলাম। সঞ্জিতার আব্বু আর আম্মু ড্রয়িং রুমে বসে আছে । আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলছে।
আমিঃ এ কি আপনারা এখানে???
সঞ্জিতার আব্বুঃ তোমার জন্যই অপেক্ষা করতেছিলাম।।
আমিঃ কি দরকারে এখানে এসেছেন সেটা বলুন।
সঞ্জিতার আব্বুঃ তোমার আর আমার মেয়ের বিয়ের কথা বলতে
আমিঃ.....???????
To be continue
