মন্ত্রীর মেয়ে The ministers daughter
লেখকঃ Arian Sumon
7th part..
আমিঃ নাহহহহহহহ ডাক্তার এটা হতে পারেনা। আমি বেচে থাকতে আমার সঞ্জিতার কিছু হতে পারেনা। আপনি ওর আবার চিকিৎসা করুন।
ডাক্তারঃ দেখুন পাগলামি করবেন না। আল্লাহর জিনিস আল্লাহ নিয়ে গেছে। কেদে কি লাভ। নিজেকে শক্ত করুন।
আমিঃ নাহহহহহ আমার সঞ্জিতার কিছু হতে পারেনা।
এমন সময়,,
আপুঃ ওই সুমন উঠ কি হয়েছে তোর??(জোরে জোরে ডাকল)
আমার ঘুম ভেঙে গেল।।
আমিঃ আপু তুই? সঞ্জিতা কোথায়?
আপুঃ সঞ্জিতা কোথায় মানে?
আমিঃ আপু সঞ্জিতা মারা গেছে। আমি এখন থাকব কি করে
আপুঃ ওই পাগল সঞ্জিতার কিছুই হয়নাই। তুই স্বপ্ন দেখেছিস।
আমিঃ কিই স্বপ্ন।
হ্যা ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম আমি আমার রুমে। একটু শান্তি পেলাম। আমার তো জান বেড়িয়েই যাচ্ছিল। ।
আপুঃ তো ভাইজান ঘটনা ক্লিয়ার
আমিঃ কি?
আপুঃ আপনি সঞ্জিতাকে ভালোবাসেন। সঞ্জিতারে ছাড়া কিছু ভাবতে পারেন না।
আমিঃ কই নাতো।
আপুঃ দেখ ভাই এসব বাদ দে। ওর বাবা ভাই কে শাস্তি দিছ তবে সঞ্জিতাকে দিছ না। ওরে বিয়ে করে নে।
আমিঃ বিয়ে করব?
আপুঃ হুম করবি। তোর বাচ্চার জন্য হলেও করবি।
আমিঃ আমি ভেবে দেখব।
আপুঃ ওকে ফ্রেশ হয়ে খাইতে আয়।
আমিঃ তুই যা আমি আসছি।
।আপু চলে গেল।
এখন আমি কি করব?? সঞ্জিতাকে বিয়ে করব নাকি করব না??? কিচ্ছু ডুকছেনা মাথায়। আমি তো সঞ্জিতাকে ভালোবাসতে চাইনাই। কিভাবে কি হয়ে গেল। আজব মন। এখন আমাকেই ফাঁসিয়ে দিছে। কি যে করি।
যাহোক ফ্রেশ হলাম খাইলাম। তারপর দিলাম সঞ্জিতাকে ফোন।
সঞ্জিতাঃ হেলো
আমিঃ কালকের মতো ঐজায়গাটাতে আসতে পারবা???
সঞ্জিতাঃ কেন আবার আমাকে কাঁদতে দেখতে চাও।।
আমিঃ না তুমি আসো।।
সঞ্জিতাঃ না যাব না আমি। তোমারে আমার দরকার নেই।
আমিঃ যদি ভালোবেসে থাকো তাহলে আসবা। নাহলে ভেবে নিব কোনোদিন ভালোই বাসোনি তুমি আমাকে।
এই বলে ফোন রেখে দিলাম।
বিকালে জায়গামতো গিয়ে অপক্ষা করতে লাগলাম। সঞ্জিতার কোনো খবর নেই। চিন্তায় পড়ে গেলাম। তাহলে কি ও আসবেনা? আমার মন বলছে আসবে। কিন্তু স্থির হতে পারছি না।
কিছুক্ষন পর সঞ্জিতা আসল। আমি আর সঞ্জিতা এখন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।
সঞ্জিতাঃ কেন ডেকেছ?
আমিঃ কথা আছে। তুমি তো জানো না কোনো কিছুই।
সঞ্জিতাঃ কিছু জানার দরকার নেই আমার।
আমিঃভালোবাসি আমিও ভালোবাসি তোমাকে। তোমাকে ছাড়া বাচতে পারব না আমি।
সঞ্জিতাঃ এত কিছু করেছ যে আমি আর তোমাকে মেনে নিতে পারব না। সরি। আমার সন্তান নিয়া আমি থাকতে পারব।
আমিঃ সঞ্জিতা শুনো। (শুরু থেকে শেষ সব খুলে বললাম) এবার যদি মনে হয় আমি ভূল কিছু করেছি। তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আমি চলে গেলাম।
হাটা ধরলাম। হঠাৎ ও হাত ধরল আমার। পেছন ঘুরে দেখি ওর চোখ দিয়া পানি পড়ছে।
আমি সঞ্জিতাকে জড়িয়ে নিলাম। ও আমাকে জড়িয়ে ধরল।।
সঞ্জিতাঃ আর কোনোদিন ছেড়ে যাবে না তো?
আমিঃ না যাব না।।
সঞ্জিতাঃ কথা দাও কষ্ট দিবা না?
আমিঃ এই কথা দিলাম কোনোদিন তোমাকে কষ্ট দিব না। শুধু ভালোবাসব।
সঞ্জিতাঃ হু মনে থাকে যেন।
আমিঃ হু থাকবে। এখন চলো।
সঞ্জিতাঃ কোথায়?
আমিঃ কাজি অফিস বিয়ে করব আজকেই আমরা।
সঞ্জিতাঃ চলো।
তারপর গাড়ি নিয়ে কাজি অফিস চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি শাওন আর তুষার দাঁড়িয়ে রয়েছে।
।আমিঃ সব রেডি তো?
শাওনঃ সব রেডি তোরা ভিতরে চল।
আমিঃ চলো সঞ্জিতা।
ভিতরে গিয়ে বিয়ে করে ফেললাম।আলহামদুলিল্লাহ।
তারপর ওরে নিয়া আমার বাসায় চলে গেলাম। কলিং বেল চাপতেই আম্মু দরজা খুলে দিল।
ভিতরে ডুকলাম।।
আমিঃ কি যেন বলছিলা?? আমি সঞ্জিতাকে বিয়ে করে নিতাম। নাও সঞ্জিতা হ্যাপি?
সঞ্জিতা ভিতরে ডুকল। আম্মুকে সালাম করল।
আমিঃ আমরা এখন বিবাহিত। আজকেই আমরা বিয়ে করেছি। এবার তোমাদের বউমাকে আপন করে নাও।
এর মধ্যেই আপু রুম থেকে বেড়িয়ে আসল।।
আপুঃ আরে সঞ্জিতা যে।
সঞ্জিতা আপুকেও সালাম করতে গেল। । কিন্তু আপু করতে দিল না। জড়িয়ে ধরল।
আপুঃ কি আম্মু তোমাকে বউমা টাকে কেমন লাগে???
আম্মুঃ আমি শক খাইছি। এই বান্দর টায় এত সুন্দর একটা মেয়ে পটাইল কেমনে?
আমিঃ আম্মু বেশি হয়ে যাচ্ছে।
আম্মুঃ চুপ। যা ঘরে যা। আমাদের বউমার সাথে কথা বলতে দে।
আমিঃ বলো যত ইচ্ছা বলো। আমি চললাম।
আমি রুমে চলে আসলাম। ফ্রেশ হলাম।
শুয়ে আছি।।
একটু পর আম্মু আসল,,,
আমিঃ তুমি এখন এখানে?
আম্মুঃ তো কি হয়েছে?
আমিঃ না মানে বউমার সাথে কথা বলার জন্য আমাকে বাগাইয়া দিলা। এখন কথা না বইলা এখানে চলে আসলা।।
আম্মুঃ তোর সুবুদ্ধির জন্য তোর প্রশংসা করতে আসলাম।
আমিঃ কিসের সুবুদ্ধি?
আম্মুঃ মেয়েটা ভারি মিষ্টি। সুন্দর।
আমিঃ আরো বলো
আম্মুঃ বলবই তো। যাই হোক মেয়েটাকে দেখেই বুঝছি মেয়েটা অনেক ভদ্র সুশিল।
আমিঃ হুম হইছে তো। আর বইল না।
আম্মুঃ তোর হিংসা হয়?
আমিঃ না যাও তুমি
আম্মুঃ খাইতে আয়।
আমিঃ আসছি যাও
আম্মুঃ যলদি আয়।
আম্মু চলে গেল।
মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেল। এখনও এক ঘন্টা হলোনা বাসায় এসেছে। এখনি আম্মু আপুর মন জয় করে ফেলছে। আল্লাহ জানে কপালে কি আছে।
যাহোক গেলাম খাইতে। খাওয়া ধাওয়া করলাম।।
গিয়ে দেখি আম্মু সঞ্জিতাকে খাইয়ে দিতাছে। শরির টা জ্বলে যাচ্ছে। আমাকে শেষ কবে খাইয়ে দিছে আমারও মনে নাই।
খাইলাম কোনোরকমে। রুমে গেলাম।
গিয়া শুইতেই শাওন কল দিল। রিসিভ করলাম।
শাওনঃ কাজ হয়ে গেছে
আমিঃ তুষার কই?
শাওনঃ আছে আমার কাছেই। আর শুন
আমিঃ বল
শাওনঃ মন্ত্রী আর মন্ত্রীর ছেলের এরেস্ট ওয়ারেন্ট জারি হয়ে গেছে। এবার গেল তার মন্ত্রীত্ব।
আমিঃ ধন্যবাদ দোস্ত। তোরা না থাকলে এসব করা যেত না।
শাওনঃ ধ্যাত কিসের ধন্যবাদ। এটা আমাদের কর্তব্য। দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এগুলো আমাদের দায়িত্ব।
আমিঃ ওকে। মনে হয় সঞ্জিতা আসছে। কাল কথা হবে। এখন রাখি
শাওনঃ ওকে।
ফোন রাখলাম।
সঞ্জিতা রুমে আসল।।
আমিঃ এসেছ তুমি তাহলে। আমি তো ভাবছিলাম আজ আর তোমাকে কাছেই পাব না।যেভাবে আমার বোন আর মাকে মায়া জালে বেধে ফেললা
সঞ্জিতাঃ একদম বাজে কথা বলবা না। আমি এখন ঘুমাব
আমিঃ তাহলে আদর?
সঞ্জিতাঃ চুপ। কোনো আদর টাদর হবেনা। bye the way তোমার রুম টা তো অনেক সুন্দর।
আমিঃ ধন্যবাদ মেডাম।
সঞ্জিতাঃ হইছে ভাব নিতে হবেনা। আমি জানি এসব আম্মু আর আপুর কাজ।।
আমিঃ জানলে জিগাসা করার কি দরকার ছিল?
সঞ্জিতাঃ মজা নিলাম হিহিহি।
আমিঃ ওরে আমার মজা রে। খারাও দেখাচ্ছি মজা।
আমি উঠে গিয়ে সঞ্জিতাকে কোলে তুলে নিলাম।
সঞ্জিতাঃ এ কি করছ পড়ে যাব তো?
ওরে কোলে তুলে নিব।
পরদিন সকালে,,,,,,,
To be continue..