মন্ত্রীর মেয়ে The ministers daughter
লেখকঃ Arian Sumon
8th part...
![]() |
আমি উঠে গিয়ে সঞ্জিতাকে কোলে তুলে নিলাম।
সঞ্জিতাঃ এ কি করছ পড়ে যাব তো?
ওরে খাটে নিয়া আসলাম। বাকিটা জানিনা।
পরদিন সকালে ঘুম ভাঙল ফোনের শব্দে। তুষার ফোন দিয়েছে।
আমিঃ হ্যা বল এত সকালে ফোন দিলি কেন?
তুষারঃ খবর জানোস না?
আমিঃ কিসের???
তুষারঃ তোর শশুর ও সমুন্দিরে এরেস্ট করেছে পুলিশ
আমিঃ কছ কি????
তুষারঃ হ্যা।
আমিঃ বাহ বাহ ভালো কাজ করছিস তোরা। এখন বুঝবে জনগনের টাকা খাওয়ার ফল।
তুষারঃ হুম।
আমিঃ ওকে। এখন রাখি দিছত ঘুম টা নষ্ট করে।
ফোন কাটলাম। নজর পড়ল সঞ্জিতার উপর। কত মায়াবি এক টা মুখ। ওর মুখের দিকে তাকালেই আমি ওর মায়াতে ডুবে যাই। তবুও কত কষ্ট দিয়েছি ওরে।
এখন যদি শুনে ওর আব্বু জেলে কি যে করবে কে জানে।
ভাবতে ভাবতে ওর কপালে একটা চুম্বন একে দিলাম। ভালোবাসার পরশ।
সাথে সাথেই ও চোখ খুলে ফেলল।
সঞ্জিতাঃ যখন তখন এসব করতে লজ্জা লাগেনা?
আমিঃ নিজের বউকে করছি লজ্জা কিসের
সঞ্জিতাঃ এখন বউ বউ বলতাছ দুইদিন আগেও তো আমাকে ইগনোর করতা।
আমিঃ সে তো তোমার আব্বুর জন্য। এখন সব ঠিক হয়ে গেছে। এখন শুধু আদর হবে আদর।।
এই বলে ওরে কাছে টেনে নিলাম।
এভাবেই কয়েক মাস চলে গেল। আমি চাকরি পেয়েছি। চাকরি করছি। ইতিমধ্যে আমাদের ছেলে সন্তান হয়েছে। সঞ্জিতার ভাই ও আব্বু জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। যতই হোক সরকারি দলের বলে কথা। সাত খুন ও মাপ।
একদিন অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম। ফিরেই আমি অভাক হয়ে গেলাম। কারন আম্মুকে দেখলাম কাদতেছে। আমি আম্মুর কাছে চলে গেলাম
আমিঃ আম্মু ও আম্মু কি হয়েছে তোমার?
আম্মুঃ,......... কেদেই যাচ্ছে।
আমিঃ কাদছ কেন বলো? প্লিজ
আম্মুঃ কেদেই যাচ্ছে।
আমিঃ বলো কি হয়েছে?? সঞ্জিতা কোথায়???
উত্তর নেই।
আমি; সঞ্জিতা সঞ্জিতা ( জোড়ে জোড়ে)
কোনো শব্দ নেই।
আম্মুঃ ওরে ডাকিস না। ওর আব্বু আর ভাই এসেছিল।
আমিঃ কি বলছে??
আম্মুঃ আমাকে শাসিয়েছে।
আমিঃ মানে তুমি এজন্য কাদতেছ??
আম্মুঃ ওরা নাকি তোকে মেরে ফেলবে ( এই বলে আবার কেদে দিল)
এতক্ষনে বুঝলাম। কি জন্য কেঁদেছে। ওনারা এসে আম্মুকে হুমকি দিছে আমাকে মেরে ফেলবে। আর সাথে সঞ্জিতাকেও নিয়ে গেছে।
আমিঃ সাইফ কোথায়???
আম্মুঃ ওরা নিয়া গেছে।
আমিঃ তুমি কিছু বলো নি?
আম্মুঃ ওরা আমাকে শাসিয়ে চলে গেল।
আমিঃ আচ্ছা তুমি চিন্তা করোনা। ওরা আমার কিছুই করতে পারবেনা।
আম্মুঃ তুই বাবা প্লিজ ওদের সাথে কোনো ঝগড়াঝাঁটি করিস না।
আমিঃ তুমি চিন্তা করোনা। আর যেন আমি কাদতে না দেখি।
আম্মুঃ ওকে কাদব না। তুই সাবধানে অফিসে আসা যাওয়া করিস।
আমি; হুম। সমস্যা নেই করব।
আমি রুমে আসলাম। এরা ঠিক হবার নয়। মাথায় ডুকেনা এরা মেয়ের জামাইকে খুন করার কথা ভাবে কি করে? মাত্র জেল থেকে বেড় হলো। এসেই আমার পেছন লাগল।
যাহোক সঞ্জিতাকে ফোন দিলাম। ওর ফোন ধরল,,,,
আমিঃ সমস্যা কি??? কোথায় তুমি?
সঞ্জিতাঃ কে আপনি?
আমিঃ মানে কি? আমি কে জানোনা??
সঞ্জিতাঃ আমি কিভাবে জানব?
আমিঃ দেখ সঞ্জিতা এখন মজার সময় না। এসব মজা বাদ দাও। আগে বলো কোথায় তুমি
সঞ্জিতাঃ দেখুন আমি আপনাকে চিনিনা। এই নাম্বারে আর ফোন দিবেন না। bye...
এই বলেই ফোন কেটে দিল।
আমি কি অভাক হব নাকি নিজেকে শান্তনা দিব ভেবে পাচ্ছিনা। এটা কি সঞ্জিতা?? আমাকে ছাড়া কিছু বুঝতনা। আমাকে ছাড়া বাচবেনা। সেই সঞ্জিতা এখন এসব কি বলছে? কিচ্ছু মাথায় ডুকছেনা।
আবার ফোন দিলাম। রিং হলো কল ধরল না। আবার দিলাম এবার ফোন বন্ধ।
বুঝতেছিনা এখন আমার কি করা উচিত। সঞ্জিতা এমন করতেছে কেন? তাহলে কি সঞ্জিতার আব্বু ওরে কিছু বলেছে? আমার ছেলেকে কিছু করে নি তো?
রাত টা কোনোরকম ভাবে চলে গেল।
সকাল বেলাতেই গাড়ি নিয়ে সোজা সঞ্জিতার বাড়িতে চলে গেলাম।
জেলে গিয়েছে কিন্তু মন্ত্রিত্ব পদ বাতিল হয়নাই। এ হচ্ছে দেশের অবস্থা। উন্নতি হবে কিভাবে দেশের। যেহেতু মন্ত্রিত্ব পদ রয়েছে বাড়িতে অনেক পুলিশ আর দেহরক্ষী রয়েছে।
প্রথমে ডুকতে দিচ্ছিল না। পরে যখন বললাম আমি সঞ্জিতার জামাই। তখন আমাকে চেক করে যেতে দিল।
বাসার ভিতরে ডুকলাম।
ডুকেই সঞ্জিতার মুখোমুখি হয়ে গেলাম। সঞ্জিতা সাইফ কে খাওয়াচ্ছিল।
আমি খুশিতে গিয়ে সাইফ কে কোলে নিতে যাব ওমনি কোথা থেকে সঞ্জিতার ভাই এসে হাজির। আমার সামনে এসে দাড়াল। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম।
সঞ্জিতার ভাইঃ তুই এখানে??? বাবা বাবা দেখ কে এসেছে।
ইতিমধ্যে সঞ্জিতা আমাকে দেখে সাইফকে খাওয়া বন্ধ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
কিছুক্ষনের মধ্যেই শশুর আসল।
সঞ্জিতার আব্বুঃ তুই এখানে এসেছিস? তোর সাহস তো কম নয়??
আমিঃ সাহসের দেখছেন কি? আপনি আমাকে মাকে শাসিয়েছেন কেন?
সঞ্জিতার আব্বুঃ বেশি বাড়াবাড়ি করিস না। নাহলে তোকে উপরে পাঠিয়ে দিব।
আমিঃ ধুর। মরতে তো একদিন হবেই। আপনার মতো কুকুর কে ভয় পেয়ে মরব কেন?
সঞ্জিতার আব্বুঃ কি বললি তুই?
সঞ্জিতার ভাই এমন সময় আমাকে থাপ্পর দিতে আসে। আমি হাত ধরে ফেলি ।
আমিঃ আমি আপনাদের সাথে লাগতে বা ঝগড়া করতে আসিনি। আমি এসেছি আমার বউ এবং বাচ্চাকে নিয়ে যেতে।
সঞ্জিতার ভাইঃ পারলে নিয়া যা।
আমি সঞ্জিতার সামনে গেলাম।
আমিঃ চলো আমার সাথে
সঞ্জিতাঃ আমি যাব না।
আমিঃ যাবা না মানে?
সঞ্জিতাঃ যাব না মানে যাব না।
আমিঃ ওহ বুঝছি ওনারা তোমাকে শাসিয়েছে তাই না?
সঞ্জিতাঃ না । আমি কাউকে ভয় পাইনা । আমি তোর সাথে সংসার করব না। দু একদিনের মধ্যেই ডিবোর্স লেটার পাঠিয়ে দিব। এখন আসতে পারিস।
আমি অভাক হয়ে গেলাম। এসব কি বলছে সঞ্জিতা। পাগল হয়ে গেল না তো।
।আমিঃ তোমার কি হয়েছে সঞ্জিতা? এমন করছ কেন? ( ওর হাত ধরে)
ঠাসসসস
সঞ্জিতা আমাকে থাপ্পর মারল।
সঞ্জিতাঃ তোকে একবার বলছি কথা কানে যায় নাই??
আমার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। আর বুঝিয়ে কি হবে?
আমার উত্তর আমি পেয়ে গেছি। সঞ্জিতা এখন আর আমার নেই। ও ওর আব্বু আর ভাইয়ের সাথে মিলে গেছে।
আমি বাসা থেকে বেড়িয়ে আসলাম। আসার সময় সাইফ কাদতেছিল। ইচ্ছে করতেছিল ফিরে গিয়ে ওরে নিয়া আসি। কিন্তু পারলাম না। কারন ওর বয়ষ মাত্র ৬ মাস। এখন মায়ের দুধ ওর জন্য জরুরি।
অ
বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসলাম। সঞ্জিতার থাপ্পর টার কথা মনে পড়তেছে খুব। ও আমাকে থাপ্পর দিল কিভাবে? একদিনে এতটা পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব? পুরো বিষয় টাকে কিছুতেই একত্রে মিলাইতে পারছিনা।
বাসায় গেলাম।
আম্মুঃ বউমা আর আমার নাতি কোথায়?
আমিঃ তোমার বউমা পালটে গেছে। সেও তার বাবা ভাইয়ের এর সাথে
আম্মুঃ আমার বিশ্বাস হয়না। সঞ্জিতা এমন নয়।
আমিঃ কিন্তু এমনই হয়েছে। ও আর আমার সাথে সংসার করবেনা। দু একদিনের মধ্যেই ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিবে।
আম্মুঃ কিভাবে সম্ভব?
আমিঃ আমিও বুঝতেছিনা।
রুমে গেলাম। গিয়ে ওয়াশরুমে ডুকলাম। গিয়ে ইচ্ছামতো শাওয়ার ছেড়ে ভিজলাম।
কিছুতেই কিছু মিলাইতে পারছিনা। সঞ্জিতা আমার সাথে এরকম কিভাবে করতে পারল।
দিন টা কোনোরকমে কাটল।
বিকালে,,,
শাওনঃ এসব নিয়া চিন্তা করিস না তো ভাবি দেখবি তোর কাছেই ফিরে আসবে।
আমিঃ চিন্তা না কইরা থাকতে পারছিনা। একদিনের মধ্যেই একটা মানুষের এত টা পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব??
তুষারঃ ওসব বাদ দে। আমার মনে হয় তোর শশুর কিছু বলেছে। যতই জামাই হ আর যাই হ। ওনার ক্ষতি তো করেছিস। এসব লোকদের কোনো মনুষত্ববোধ নেই। যা খুশি করতে পারে
আমিঃ আমিও তাই ভাবছিলাম। কিন্তু সঞ্জিতা তো কিছু বলছেনা।
শাওনঃ চিন্তা করিস না তো। এখন চা খা।
আমিঃ হুম।
আমার চিন্তা থেকে কিছুতেই সড়াইতে পারছিনা।।
চা খাওয়া শেষ।বাসায় যাব
আমি রাস্তা পাড় হতে যাব। ওমনি হঠাত একটা গাড়ি এসে দিল এক ধাক্কা।
আমার আর কিছু মনে নেই।
শাওন আর তুষার একটু দূরেই ছিল। সুমনের চিৎকার শুনে ওরা পেছন তাকাতেই সুমনের নিথর দেহ টা পড়ে আছে। ওরা দৌড়ে চলে আসে।।
ইতিমধ্যেই লোকে ভরে যায় আশপাশ।
শাওন আর তূষার দ্রুত একটা গাড়ির সাহাজে সুমনকে নিয়া হাসপাতাল যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে
শাওনঃ আন্টি আর আংকেল কে জানাবি?
তুষারঃ না না। ওনাদের বয়ষ হয়েছে। এসব শুনলে কিছু হয়ে যেতে পারে। যা করার এখন আনাদেরই করতে হবে।
শাওনঃ ঠিক বলছিস।
এর মধ্যেই ডাক্তার বেড় হলো।
শাওনঃ ডাক্তার কি অবস্থা আমার বন্ধুর?
ডাক্তারঃ Sorry...????????
To be continue