মন্ত্রীর মেয়ে The ministers daughter
লেখকঃ Arian Sumon
last part...
 |
আমি উঠে সঞ্জিতার কাছে চলে গেলাম। কোমরে হাত দিয়ে কাছে টেনে নিলাম।
সঞ্জিতাঃ কি করছ কেউ এসে পড়বে তো?
আমিঃ কেউ আসবেনা।
"
"
"
পরদিন সকালে,,,,
সঞ্জিতাঃ ওই উঠো
আমিঃ কেন
সঞ্জিতাঃ আমাকে সাহাজ্য করো।
আমিঃ পারব না। এখন ঘুমাব যাও তো।
সঞ্জিতাঃ ইশ সারারাত আমাকে ঘুমাতে দেয়নাই। এখন নিজে ঘুমাবে। উঠবা নাকি পানি ঢেলে দিব?
আমিঃ না থাক উঠছি তুমি যাও আমি আসতেছি।
সঞ্জিতাঃ যলদি উঠো।
উঠে গেলাম।
সঞ্জিতাঃ good boy...এইবার সাইফ কে কোলে নাও। কান্না যেন না করে।
আমিঃ আমার ঘুম
সঞ্জিতাঃ ওই তোমার ঘুম বড় নাকি ছেলে বড়?
আমিঃ ছেলে
সঞ্জিতাঃ তো নাও
কি আর করব ছেলেকে কোলে নিলাম। ওর সাথে খেলা করতে লাগলাম। বাপ ছেলের খেলা আহ কি অসাধরন অনুভুতি। এগুলো সবাই বুঝেনা। বাপ ছেলেই বুঝে।
কিছুক্ষন পর সঞ্জিতা আসল,,,
সঞ্জিতাঃ এই নাও ( ফিটার দিয়ে)
আমিঃ কি করব আমি খাইতাম???
সঞ্জিতাঃ ধ্যাত সব সময় মজা করবা নাতো। সাইফ কে খাওয়াও।
আমিঃ ওকে।
সঞ্জিতা চলে গেল। বসে বসে ছেলেকে খাওয়াচ্ছি। 🍼🍼🍼
বিকালে সঞ্জিতা বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছে,,,
আমিঃ কি গো এভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে মন খারাপ নাকি??
সঞ্জিতাঃ হুম।
আমিঃ কেন???
সঞ্জিতাঃ আব্বু আর ভাইয়ের জন্য। আচ্ছা মামলা তুলে নিলে হয় না???
আমিঃ তুলে নেওয়া যায়। কিন্তু ওনারা যে ভালো হবেনা। আবার শুরু করে দিবে
সঞ্জিতাঃ আমি বুঝিয়ে বলব
আমিঃ কি বলতাম বলো। আচ্ছা কাল জেলে গিয়ে দেখো ওনারা বুঝে কিনা। এখন হাসি দাও
এই বলে ওরে জড়িয়ে ধরলাম।
সঞ্জিতাঃ আরে যেখানে সেখানেই শুরু করে দেয়। ভালো লাগেনা
আমিঃ আমার ভালো লাগে।
সঞ্জিতাঃ কাজ আছে কাজ করব ছাড়ো এখন।
আমিঃ দিয়ে যাও একটা পাপ্পি
সঞ্জিতাঃ না দিব না।
আমিঃ না দিলে আমি ছাড়ব না।
সঞ্জিতাঃ চোখ বন্ধ করো।
আমিঃ না এভাবেই করো
সঞ্জিতাঃ বন্ধ করলেই দিব।
আমিঃ ওকে। এই করলাম বন্ধ ( চোখ বন্ধ করলাম)
উম্মাহহহ উম্মাহহহহ উম্মাহহহহ
সঞ্জিতা আমার গালে কপালে কিস করল।
আমিঃ লিপে??
সঞ্জিতাঃ এখন পারব না।
আমিঃ না দিতে হবে।
সঞ্জিতাঃ ধ্যাত।
উম্মাহহহহ
ঠোটে কিস করল।
তারপর চলে গেল।
পরদিন অফিস থেকে ফিরলাম।। ফিরে ফ্রেশ হলাম। রুমে বসে আছি। সঞ্জিতা আসল।
সঞ্জিতাঃ যাইবা না??
আমিঃ কোথায়??
সঞ্জিতাঃ কোথায় আবার থানায়
আমিঃ ওহ হ্যা ভূলে গেছি। যাও রেডি হও।
সঞ্জিতাঃ হুম তুমি তো এমনই সবই ভূলে যাও।
আমিঃ নাহ সব তো ভূলিনা।
সঞ্জিতাঃ ধুর যাও তো।
তারপর সঞ্জিতাকে নিয়া বেড় হলাম। উদ্দেশ্যে থানা।
গাড়ি নিয়া চলে গেলাম। আমি আর ওনাদের সাথে দেখা করতে গেলাম না। সঞ্জিতা একাই গেল।
"
"
"
পাঁচ বছর পর,,,,,
আমিঃ কই গো তুমি? একটু যলদি করোনা।
সঞ্জিতাঃ আসতেছি তো।
আমিঃ আর কত আসতেছি আসতেছি বলে পুরো তিন ঘন্টা কাটিয়ে দিলা।
সঞ্জিতাঃ ধুর অপেক্ষা করো তো
এই মেয়েরা না কোনোদিন তারাতারি করতে পারেনা। কোন শালায় যে এইসব মেক আপ আবিষ্কার করছিল। পাইলে গুলি কইরা মারতাম। জীবন টা তেজপাতা বানিয়ে ফেলল।
সাইফঃ আব্বু তুমি মনে মনে আম্মুকে বকতেছ তাই না?
আমিঃ কই না তো। তোমার ওত পাকনামি করতে হবেনা।
সাইফঃ আমি সবই বুঝি। আম্মু বেড় হলে বলে দিব তুমি আম্মুকে
আমিঃ এই না না বাপ কুড়ুক্ষেত্র বাজিয়ে ফেলবে। বলিস না তোরে আমি চকলেট কিনে দিব।
সাইফঃ না চকলেট লাগবে না। তুমি আমাকে নতুন একটা হেলিকপ্টার কিনে দাও।
আমিঃ তাই দিব এখন বলিস না।
সাইফঃ ওকে।
কি দিন কাল পড়ল। যাক বাবা বাচলাম। যদি সঞ্জিতাকে বলত তাহলে আমারে আজ শেষ করে ফেলত। মা ছেলে দুই টাই এক পদের। আমার পিছু লেগে থাকে।
যাক অবশেষে সঞ্জিতা বেড় হলো। সবাই গাড়ি নিয়ে বেড় হলাম। উদ্দেশ্যে শশুর বাড়ি। আরে ভাই আমার শশুর বাড়ি না। উদ্দেশ্যে হচ্ছে সঞ্জিতার ভাইয়ের শশুর বাড়ি। আজ সমুন্দির বিয়ে। গ্রামের এক সহজ সরল মেয়ের সাথে। সেখানেই যাচ্ছি। যদিও আমার সমুন্দি টা খারাপ ছিল। এখন ভালো হয়ে গেছে। এবং কি আমার শশুড় মশাই ও ভালো হয়ে গেছে। নতুন দায়িত্ব হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েছে। এখন আর ওনারা কোনো খারাপ কাজ করেন না। সর্বদা ভালো কাজ করে। যদিও সঞ্জিতার আগে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কিছু কাজ পড়ে যাওয়ায় আমি যেতে পারব না বলে ও যায়নি। আমার সাথেই যাবে বলে যায়নি।
যাক আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে চলে আসলাম।
গাড়ি পার্কিং করলাম। তারপর নেমে বাড়ির ভেতর ডুকতেই শশুরের সাথে দেখা।
শশুরঃ কেমন আছ বাবা?
আমিঃ ভালো আপনি কেমন আছেন?
শশুরঃ হুম ভালোই। যাও ভিতরে গিয়ে শাহিদ কে সাহাজ্য করো।
আমিঃ হুম যাচ্ছি।
অন্যদিকে আমার ছেলে সাইফ নানাকে দেখেই কোলে উঠে গেল। নানা নাতি দুষ্টামিতে মাতল।
"
"
বিয়ের কাজ শেষ করে বউ নিয়া ফিরলাম।
সমুন্দিকে বাসর ঘরে পাঠিয়ে বউর কাছে আসলাম।
আমিঃ বউ ও বউ
সঞ্জিতাঃ কি ব্যাপার এত বউ বউ করছ কেন? সুবিধার লাগছেনা তো
আমিঃ ওরা তো আজকে বাসর করবে আমরা
সঞ্জিতাঃ আমরা কি??
আমিঃ ওই যে সাইফের ছোট কাউকে আনার চেষ্টা
সঞ্জিতাঃ আমি টায়ার্ড। একদম জ্বালাইবা না।
আমি আর কিছু বললাম না। বলেও লাভ নাই। প্রেম করে বিয়ে করলে এমনি হয়। কপালে সুখ থাকেনা। বউর কথা মতো চলতে হয়। যদিও আমার বউ তেমন না। আমার কথাও শুনে।
চারদিন পর,,,,
আমিঃ বউ গো
সঞ্জিতাঃ কি
আমিঃ আজকে করলে হয় না??
সঞ্জিতাঃ কি করব?
আমিঃ মিশন ২য়
সঞ্জিতাঃ হুম করা যায়।
ওরে আমারে আর পায় কে। মিশন ২ য় শুরু। আমি ব্যাস্থ। so good bye...
THE END
সমাপ্ত।