মন্ত্রীর মেয়ে পর্ব 4 | The ministers daughter part 4 | Bangla Romantic Love Story - StoryBD.xyz

মন্ত্রীর মেয়ে( The ministers daughter)


লেখকঃ Arian Sumon..

4th part... 




সঞ্জিতাঃ আগে বলে তো দেখো

আমিঃ আমার তোমাকে বিছানায় লাগবে

সঞ্জিতাঃ What??? 

আমিঃ হুম বুঝছ। জানি এটা তুমি পারবানা  তাই তোমাকে দূরে দূরে রাখছি। 

সঞ্জিতাঃ ছি ছি ছি সুমন তুমি এতটা নিচ মাইন্ডের। এত খারাপ।

আমিঃ এখানে খারাপের কিছু নাই। আমি চাই খুজছি দিলে দিবা না দিলে দূরে থাকো। 

সঞ্জিতা চুপ হয়ে গেল। 


আমিঃ কিছু বলবা নাকি চলে যাব। 

সঞ্জিতা আমার কাছে চলে আসল।  এসে আমার হাত ধরল। 

সঞ্জিতাঃ কি হয়েছে তোমার?  এমন কেন করতেছ? ( কাদো কাদো ভাব)

আমিঃ কিছুই করছিনা আমি।  সরো যাব আমি


ওরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। তারপর চলে আসলাম সেখান থেকে। একটা রিকশা নিয়ে চলে আসলাম বাসাতে। 


ওদিকে সঞ্জিতা সুমনের কাছ থেকে এরকম আচরন দেখে কেদেই ফেলল।  সঞ্জিতা কাদতে কাদতে গাড়ি নিয়া বাসায় চলে গেল।  গিয়ে রুমে দরজা বন্ধ করে কাদতে লাগল। ওর আব্বু ওরে কাদতে দেখে অভাক হয়ে গেল।  যে মেয়েকে কোনোদিন কাদতে দেই নি। সেই আমার মেয়ে কাদছে।  


ওনি রুমের সামনে গিয়ে সঞ্জিতা ডাকতে লাগলেন। 


আব্বুঃ সঞ্জি সঞ্জি মা দরজা খুল

সঞ্জিতা ভেতর থেকে বলল

সঞ্জিতাঃ না যাও তুমি এখন প্লিজ 

আব্বুঃ কি হয়েছে বল আমাকে। কাদছিস কেন? 

সঞ্জিতাঃ কিছু হয়নি। তুমি যাও প্লিজ। আমাকে একা থাকতে দাও। 


অন্যদিকে আমি বাসায় গিয়ে  রুমে শুয়ে আছি। ভাবছি কাজ টা কি ঠিক করছি?  হ্যা ঠিকই করেছি।  ওদের কে শিক্ষা না দিলে বুঝবেনা।  কারো শ্লীলতা হানি করলে কি ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।  


আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে। তখন আমি অনার্স প্রথম ইয়াড়ে পড়ি। বাহিরে চায়ের দোকানে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি আপু হেটে যাচ্ছে।  তার পেছনে কিছু লোক ও হেটে যাচ্ছে।  


আমি সোজা আপুর  কাছে চলে গেলাম।  


আমিঃ আপু এরা কারা??  

আপুঃ এখন বাসায় চল বাসায় গিয়ে বলব। 

আমি একটা রিকশা ডাক দিলাম।  রিকশা নিয়ে চলে গেলাম বাসাতে। 


বাসায় গিয়ে,,,


আমিঃ ওরা কারা এবার বল

আপুঃ সবুজ টি শার্ট পড়া ছেলেটি হলো শিক্ষামন্ত্রীর ছেলে নাহিদ। আর সাথের গুলো ওফ চেলা।  গত এক সপ্তাহ ধরে আমাকে ডিস্টার্ব করছে।  নিষেধ ও মানছে না

আমিঃ আমাকে আগে বললি না কেন? 

আপুঃ আমি জানি তুই ওদের সাথে ঝামেলা করে বসবি।  তাই বলতে চাইনি। কিন্তু আজ

আমিঃ মহান কাজ করছ।  আব্বু আম্মুকে কিছু বলিস না  কাল থেকে আমিই তোকে কলেজে দিয়া আসব আবার  নিয়া আসব। 


আপু ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়তেছে। 


কথা মতো পরদিন সকালে আপুকে দিয়ে আসি কলেজে। তারপর ভার্সিটি যাই। ছুটির আগেই কলেজে গিয়ে চলে যাই। গিয়ে দেখি আপু দাঁড়িয়ে আছে।  সাথে ওই ছেলেগুলো একটু দূরে থেকে বাজে কমেন্ট করতেছে। 


আমিঃ আপু চল

আপুঃ এত দেরি করলি কেন

আমিঃ আর হবেনা।  কাল থেকে আরো আগে আসব।


আমি বুঝতে পারছি আপু অনেক ভয় পাচ্ছে ওদের।। কিন্তু বলতে পারছেনা।


রিকশা পাচ্ছিলাম না  তাই হাটতেছিলাম। 


ওরাও পেছন হাটা ধরে। বাজে কমেন্ট করতেছে।  কমেন্ট গুলো এমন যে,,,


একজনঃ কি সুন্দরি এটা কি বয়ফ্রেন্ড নাকি?

একজনঃ কি সুন্দরি আমরা থাকতে এটাকে কোথা থেকে নিয়া আসলা

আরেকজনঃ আরে সুন্দরি চাহিয়া দেখ আমরা ওর থেকে বেশি স্মার্ট 

আরেকজনঃ  সুন্দরি চাহিয়া দেখ আমাদের সাথে গেলে বেশি আনন্দ পাবা।  গ্রুপে হবে  এই সিংগেল  টাকে দিয়ে আর কি হবে। 


এবার আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।  আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। ওদের সামনে গিয়ে দাড়ালাম। 


আমিঃ সমস্যা কি আপনাদের? ডিস্টার্ব করছেন কেন?

একজন উত্তর দিলঃ তোরে জিগাসা করে করব নাকি?  

আরেকজনঃ হিরোগিরি অন্য কোথাও গিয়ে দেখাস। আমরা কে জানিস না?  মন্ত্রীর লোক। আর এটা মন্ত্রীর ছেলে।  

আমিঃ মন্ত্রীর ছেলে এমন বাদাইম্মাদের সাথে ঘুরে আগে জানতাম না তো? বাহ বাহ  এই আমাদের দেশের মন্ত্রীদের ছেলেদের অবস্থা। 


ছেলেটিঃ কি বললি তুই?  ওরা আমার বন্ধু।  ওদের বাদাইম্মা বলছিস। একেবারে ওইটাকে তুলে নিয়া রেপ করে ফেলব। তখন কি বাল ফালাইতে পারবি দেখব নে  

আমিঃ চুপ শালা।  আমার বোন কে নিয়া একটাও বাজে কথা বলবি না।  একেবারে পুতে ফেলব এখানেই।  


এর মাজে আপুও ডাকতে শুরু করল। 

ছেলেটিঃ ওহ ওই মাল টা তাহলে তোর বোন। তো শালাবাবু তোমার বোন টা তো খাসা মাল। তোমার আব্বু আম্মুকে জিগাসা করিও তো কি খাইয়া পয়দা করছে। 


ঠাসসসসসস ঠাসসসসস


আমি দিলাম দুটো থাপ্পর।  

আমিঃ তুই কি বললি এটাই তোর প্রাপ্য। তোদের মতো কিছু ছেলের জন্য আজ ছেলেদের নামে এত বদনাম ছড়াচ্ছে। 

ছেলেটিঃ তোর এত বড় সাহস তুই আমার গালে থাপ্পর দিছিস। ওই তোরা চাহিয়া দেখিস কি  ওরে ধর। 


তারপর যা হলো। মানে আমাকে ওরা সবগুলো মিলে মারল। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম। 

"

"

জ্ঞান ফিরার পর নিজেকে আবিষ্কার করলাম হাসপাতালে।  চোখ খুলে দেখি আব্বু আম্মু পাশে বসে আছে। আর আপু কাদছে


আব্বুঃ কি দরকার ছিল ওদের সাথে লাগার

আমিঃ কি করব তাহলে

আব্বুঃ ওদের বাপ মন্ত্রী।  ওরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে।  এটাই এখন দেশের নিয়ম। আর আমরা সাধারন জনগন শুধু চাহিয়া দেখিব। 

আমিঃ না তা হবেনা। 

আব্বুঃ কি হবেনা। আমি পুলিশের কাছে গিয়েছি। তারা আমার কমপ্লেইন নেয় নি। এবং কি আমি মন্ত্রী সাহেবের কাছেও গেছি। ওনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দিছেন। 


দুদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। বাসায় গেলাম। তার কিছুদিন পরে আব্বু আপুকে বিয়ে দিয়ে দেয়।  অথচ আপুর ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হয়ে দেশের সেবা করবে। তার সব স্বপ্ন মাটিচাপা দিয়ে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার বিয়ে হয়েছিল। আমি কিছু করতে পারিনি।  

সেই থেকে আমার একটা জেদ ছিল যার জন্য আমার বোনের এমন হলো  তার ক্ষতি আমি করেই ছাড়ব। তারপরেই ওর পরিবার সমন্ধে খোজখবর নেই। জানতে পারি সঞ্জিতা ওর ছোট বোন। কিন্তু বিদেশে থাকে।  অপেক্ষা করতেছিলাম কবে দেশে ফিরবে। ও হবে আমার প্রতিশোধের হাতিয়ার। 


এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠল।  স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি সঞ্জিতার ফোন। 

কল রিসিভ করলাম। 


আমিঃ কল দিছ কেন? 

সঞ্জিতাঃ আমি রাজি

আমিঃ রাজি মানে কিসে রাজি?

সঞ্জিতাঃ তুমি যা চাও আমি তা দিব 

আমিঃ সত্যি??? 

সঞ্জিতাঃ হুম দিব। তবুও আমাকে ছেড়ে যেও না।  তোমাকে ছাড়া বাচতে পারব না আমি ।

আমিঃ ওকে বাবু যাব না। তো কাল সকালে লেকের পাড়ে এসো। 

সঞ্জিতাঃ ওকে। love u a lot

আমিঃ love you too..


যাক বাবা রাজি হলো। এবার খেলা জমবে।  নেতারা তো অন্যদের মেয়ে ধর্ষণ করলে কোনো বিচার হয়না দেশে। এবার আমি মন্ত্রীর মেয়ের ইচ্ছাতেই করতে যাচ্ছি। এবার বুঝবে কত ধানে কত চাল। 


যাহোক পরদিন সকালে  আমি লেকের পাড়ে বসে আছি।  কিছুক্ষন পর সঞ্জিতা আসল। 


সঞ্জিতাঃ কেমন আছ?

আমিঃ ভালো নেই। সব পাওয়ার পর ভালো হয়ে যাব এমনিতেই। 

সঞ্জিতাঃ দিব তো।  

আমিঃ চলো


চলে গেলাম একটা হোটেলে। রুম ভাড়া নিলাম।  রুমে চলে গেলাম। 


সঞ্জিতাঃ  আসলেই তুমি আমাকে??

আমিঃ তোমার ইচ্ছে নেই? তাহলে বলতে পারো কিছু করব না। 

 সঞ্জিতাঃ না কিছুনা।  তুমি আমাকে ছেড়ে যেওনা তাহলেই চলবে। 

আমিঃ আমার ভালোবাসার প্রতি তোমার বিশ্বাস নেই? 

সঞ্জিতাঃ আছে।  

আমিঃ তো এত দ্বিধা কিসের। দ্বিধা থাকলে যেতে পারো। 

সঞ্জিতাঃ না ঠিক। আছে। তুমি শুরু করতে পারো। 

"

"

"

সঞ্জিতা আমার বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে আছে ।  


সঞ্জিতাঃ সুমন

আমিঃ হুম

সঞ্জিতাঃ সব যেহেতু হয়েই গেছে সেহেতু আমরা বিয়ে করে ফেলি? 

আমিঃ না এখন না।  আমি পড়াশোনা শেষ করে নেই। চাকরি পাই। 

সঞ্জিতাঃ ওকে  চাকরি পাওয়ার সাথে সাথেই কিন্তু আমরা বিয়ে করে ফেলব। 

আমিঃ ওকে বাবা ওকে করব। 


সেদিনের মত শেষ হলো। আমার ইয়ে আমি পেয়ে গেছি। এখন আরো কয়েকবার পেতে হবে।  


আরো এক মাস কেটে গেল। এই এক মাসে আরো তিন বার আমরা মিলনে আবদ্ধ হয়েছি।


কিছুদিন পর আমার পরিক্ষা শুরু হলো।  পরিক্ষা দিলাম।  পরিক্ষা শেষ। 


 রেজাল্ট বেড় হলো।  রেজাল্ট ভালোই হলো। চাকরির জন্য ঘুরছি। 


একদিন,,,,

সঞ্জিতাঃ আমি আব্বুকে বলে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিব কি?

আমিঃ না লাগবেনা। আমি কারো দয়া নিতে চাই না।

সঞ্জিতাঃ দয়া কেন বলছ। ওনি তো তোমার শশুর হবে।

আমিঃ যাই হোক। আমার লাগবেনা। 

সঞ্জিতাঃ তোমাকে একটা কথা বলার ছিল। 

আমিঃ কি বলো

সঞ্জিতাঃ  আমি 

আমিঃ তুমি কি?

সঞ্জিতাঃ আমি প্রেগন্যান্ট 

আমিঃ what???? 

সঞ্জিতাঃ  হুম। বেশ কয়েকদিন ধরে বমি হচ্ছিল। আর পেট টাও কেমন যেন করতেছিল। তাই আজকে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। ডাক্তার চেক করে বলল আমি প্যাগনেন্ট।

আমিঃ....????????


To be continue


Post a Comment

Thanks for your Support 💖

Previous Post Next Post