গল্প - চাচাতো বোন যখন বস
লেখক - Writers Rifat Ali Sayed
Part - 08
★★★ [ অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ ] ★★★
আমি আমার রুমে গিয়ে গোসল করে নিলাম ।
কাপড় পড়ে নিচে গেলাম ব্রেকফাস্ট করতে ।
!
!
!
_________________________________________
নিচে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে । আমি গিয়ে স্বর্ণার পাশে গিয়ে বসলাম ।
আব্বু : সাঈদ তোর তো পড়ালেখা শেষ । এবার তাহলে অফিসে বসো
আমি : সবে তো শেষ হলো । কিছুদিন আগে ঘুরা ঘুরি করি ।
চাচ্চু : তোর যতদিন ইচ্ছা ঘুরা ঘুরি কর আব্বু । আর তাছাড়া ভাইয়া সাঈদ তো এখন ছোট মানুষ । সবে পড়ালেখা শেষ করে বের হলো । ওকে তো ঘুরা ঘুরি করা , আনন্দ করার সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন ।
আব্বু: ঠিক আছে ।
চাচ্চু : হুম । আর তোর কোন টাকা হলে আমাকে জানাবি
আমি : ঠিক আছে ছোট আব্বু । তাছাড়া প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না , বর্তমানে আমার একাউন্টে যত টাকা আছে তা দিয়ে আমার জীবন পার হয়ে যাবে । 😁😁
চাচ্চু : তুই যে সব সময় সাধারণ ভাবে চলাফেরা করিস । তোকে দেখে কেউ বুঝতে পারবে না যে তুই ভবিষ্যতের " আহমেদ গ্রুপের " এমডি ।
আমি : মুসকি হাসি দিলাম 😁😁
স্বর্ণা : উফফ তোমরা চুপ করবে । কথা না বলে খাওয়া শুরু করো । আমার অনেক খিদে পেয়েছে ।
আব্বু : আচ্ছা চুপ করলাম ।
স্বর্ণা : হুম । এই সাঈদ হা কর
আমি : হুম হা ( স্বর্ণা আমাকে খাইয়ে দিতে লাগলো )
( ছোট বেলা থেকেই স্বর্ণা আমাকে খাইয়ে দেয় আর আমি স্বর্ণা কে । এটা প্রতিদিন এর ব্যাপার । এটা নিয়ে আব্বু আম্মু অথবা চাচ্চু , ছোট আম্মু কিছু মনে করে না । আর একটা কথা তো বলা হয় নাই স্বর্ণা আমার থেকে ১ বছরের ছোট । তবুও আমার নাম ধরে ডাকে সাথে তুই করে )
আমি : আমি আর খাবো না । আমার খাওয়া হয়েগেছে
স্বর্ণা : আর একটু খা
আমি : না আমার খাওয়া হয়েগেছে । এখন তুই হা কর
স্বর্ণা : আচ্ছা ( তারপর আমি স্বর্ণা কে খাইয়ে দিতেৌ লাগলাম । স্বর্ণা সব সময় আমাকে আগে খাইয়ে দেয় তারপর ও খায় )
খাওয়া শেষ করে আমি আমার রুমে চলে এলাম ।
রুমে এসে শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপতেছি ।
কিছুক্ষণ পর স্বর্ণা আমার রুমে আসলো । এসে সোজা আমার বুকের উপর বসলো ।
আমি : ওরে বাপরে আমি গেলাম রে । ঐ মুটকি নাম আমার উপর থেকে । ( ডাহা মিথ্যা কথা )
স্বর্ণা : কি বললি আমি মুটকি । দ্বারা তোকে তো আমি ( আমার এক গালে কামড়ে দিল )
আমি : ( গালে হাত দিয়ে ) কামড় দিলি কেন
স্বর্ণা : চুপ করে থাক । বেশি কথা বললে আরেক গালে কামড়ে দিব । তোর মোবাইলটা দে তো ( বলে ফোনটা কেরে নিলো )
আমি : ঐ আমার মোবাইল দিয়ে তুই কি করবি । তোর মোবাইল তো আছে ।
স্বর্ণা : চুপ একটা কথা বলবি না ( গম্ভীর হয়ে )
আমি কিছু বললাম । স্বর্ণা আমার বুকের উপর বসেই মনযোগ দিয়ে আমার মোবাইল টিপতেছে ।
আমি স্বর্ণার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছি । মাঝে মাঝে কিছু চুল ওর মুখে এসে পড়তেছে । আর স্বর্ণা চুল গুলো ঠিক করতেছে । ওকে আজকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে । আর মনে ভিতরে অজানা এক ভালো লাগা কাজ করতেছে । অন্য একরকম অনুভূতি যা মুখে কিংবা লিখে তা প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ।
যাই হোক , স্বর্ণা ১ ঘন্টা পর আমাকে ফোন দিলো ।
স্বর্ণা : হুম হয়ে গেছে । এই নে তোর মোবাইল ( মোবাইল এগিয়ে দিয়ে )
আমি : আমি তো এখন স্বর্ণার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছি
স্বর্ণা : ঐ কি দেখেছিস । ঐ সাঈদ ঐ ( আমাকে ঝাঁকিয়ে )
আমি : হুম কি হইছে ডাকিস কেন
স্বর্ণা : ঐ ভাবে তাকিয়ে ছিলি কেন
আমি : পেত্নী দেখতে কতটা বিচ্ছিরি তা দেখতে ছিলাম ।
স্বর্ণা : পেত্নী আবার কোথায় পাইলি
আমি : তুই নিজেই তো একটা পেত্নী
স্বর্ণা : সাঈদ ভালো হচ্ছে না কিন্তু বলে দিলাম ( রেগে )
আমি : আচ্ছা ভালো হবে কি করে । তুই এক ঘন্টা ধরে আমার বুকের উপর চড়ে আছিস । এবার তো নাম
স্বর্ণা : আচ্ছা নামতেছি ( বলে খাটের উপর বসলো ) । নে তো ফোন
আমি : আচ্ছা মোবাইল দিয়ে এতক্ষন কি করলি ( মোবাইল নিয়ে )
স্বর্ণা : আমার যা ইচ্ছে তাই করেছি । তোকে বলবো কেন
আমি : তোকে জিগ্গেস করাই আমার ভুল হয়েছে । তোকে বলতে হবে না
স্বর্ণা : ভুল অবশ্য কিছুটা হয়েছিল । ও আরেকটা কথা
আমি : কি কথা
স্বর্ণা : বিকেলে মার্কেটে যাবো
আমি : আমি তাতে কি করবো
স্বর্ণা : কি করবি মানে , তুই নিয়ে যাবি
আমি : আমি নিয়ে যাব না ( আমার মাথা খারাপ হয়েগেছে নাকি । সারা দুনিয়া ঘুরাবে একটা জিনিস কিনতে , মনে মনে )
স্বর্ণা : সেটা বিকাল হলেই দেখা যাবে । ( বলে রুম থেকে বের হয়ে চলে গেল )
আমি রাফিকে ফোন দিলাম
আমি : হ্যালো
রাফি : হ্যাঁ হ্যালো , কেমন আছিস
আমি : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি , তুই কেমন আছিস
রাফি : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি । কোথায় তুই
আমি : বাসায় আছি তুই কোথায়
রাফি : আমি আর সুজন ............. বট গাছের নিচে বসে আছি ।
আমি : আচ্ছা তোরা থাক আমি আসতেছি
রাফি : ওকে ( ফোন কেটে দিলাম )
আমি আয়নার সামনে গিয়ে দেখি , স্বর্ণা যে গালে কামড় দিয়েছে সেই গালটা লাল + দাগ হয়ে আছে ।
সেটা গুরুত্ব না দিয়ে রেডি হয়ে নিচে গেলাম ।
নিচে গিয়ে দেখি স্বর্ণা , আম্মু আর , ছোট আম্মু বসে গল্প করতেছে ।
আমি : আম্মু আমি একটু বাহিরে গেলাম
আম্মু : আচ্ছা যা
ছোট আম্মু : এই দ্বারা । তোর গালটা এরকম লাল সাথে দাগ হয়ে আছে কেন ( অবাক হয়ে )
আমি : ওটা মানে হয়েছে কি
আম্মু : তোতলাছিস কেন
স্বর্ণা : আমি একটু আদর করেছি তো তাই লাল হয়ে গেছে
আমি : ( মন হয় আর মানসম্মত কিছু থাকবে না , মনে মনে )
আম্মু : আদর করেছিস মানে ( অবাক হয়ে তাকিয়ে )
ছোট আম্মু : এই মেয়েটাকে নিয়ে কি করবো আল্লাহ । লাজ লজ্জা বলতে কিছু নেই । আর তুই ওকে কামড় দিছিস কেন ( অবাক হয়ে সাথে রাগি ভাবে )
স্বর্ণা : সত্যি কথা বলতে আবার লজ্জা পেতে হয় নাকি । আর সাতচ্চুনীরা বলে সাঈদের গাল গুলো নাকি অনেক কিউট তাই গালে দিছি কামড় বসিয়ে ( ফুঁসতে ফুঁসতে )
ছোট আম্মু : তুই কি দিন দিন ছোট বাচ্চা হয়ে যাচ্ছিস ( রেগে ) । আর সাতচ্চুনী আবার কারা
স্বর্ণা : সেটা তোমার না যানলেও চলবে
আমি : আম্মু আমি গেলাম আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে ( এখানে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না , মনে মনে )
আম্মু : আচ্ছা যা । আর ছোট ওকে আর বকিস না আমি যা বুঝার বুঝে গেছি । ওটা ওদের দুজনের ব্যাপার আমাদের নাক না গলায় ভালো ( মুসকি হেসে বলল )
আমি আর ওখানে আর না দাঁড়িয়ে সোজা বাসা থেকে বের হলাম ।
★
★
★★★ ( ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন ) ★★★
গল্পটা যদি ভালো লাগে । তাহলে👇👇
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
Bangla Golpo
Bhuter Golpo
Bangla cartoon
Bangla Golpo pdf download
Bangla premer golpo
Pratilipi bangla golpo
Bangla golpo love story
Bangla choti golpo
Bangla golpo Lyrics
Bengali story reading
Bangla Love Story 2021
Valobasar golpo in bengali
Romantic love story bangla
New bangla love story 2021