গল্প - চাচাতো বোন যখন বস
লেখক - Writers Rifat Ali Sayed
Part - 09
★★★ [ অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ ] ★★★
আমি : আম্মু আমি গেলাম আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে ( এখানে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না , মনে মনে )
আম্মু : আচ্ছা যা । আর ছোট ওকে আর বকিস না আমি যা বুঝার বুঝে গেছি । ওটা ওদের দুজনের ব্যাপার আমাদের নাক না গলায় ভালো ( মুসকি হেসে বলল )
আমি আর ওখানে আর না দাঁড়িয়ে সোজা বাসা থেকে বের হলাম ।
!
!
!__________________________________________
বাসায় থেকে বের হয়ে
আমি : মামা যাবেন
রিকশা মামা : হ মামা যামু উঠেন
আমি রিকশায় উঠলাম
রিকশা মামা : মামা কোনটে যাবেন
আমি : ( ............... ) জায়গায় যাবো
রিকশা মামা : আইচ্ছা মামা
কিছুক্ষণ পর পৌঁছে গেলাম । রিকশা থেকে নামলাম
আমি : মামা কত হলো
রিকশা মামা : ৩০ টাকা
আমি : ( ৫০ টাকার নোট বের করে দিলাম )
রিকশা মামা : মামা আমার কাছে তো খুঁজরা নাই । ( ৫০ টাকা গিয়ে দিয়ে )
আমি : আপনি টাকাটা রেখে দেন
রিকশা মামা : সেটা হয় না মামা । আমার কাছে সত্যি খুজরা নাই মামা । থাকলে আমি দিয়ে দিতাম । সকাল থেকে একটাও পেসেঞ্জার পাই নাই । আপনারে দিয়া আমার বউনি ( বউনি ভাষাটা আমি নিজেও খুব একটা বুঝি না ) হইলো ।
আমি : সমস্যা নাই মামা আপনি টাকাটা রেখে দেন এটা আমার অনুরোধ ।
রিকশা মামা : আইচ্ছা মামা । আল্লাহ আপনার ভালো করুক ।
তো বন্ধুরা ছোট একটা কথা বলি
আমরা অনেকেই অনেক সময় রিকশা চালকের সাথে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি করে থাকি । ৫ টাকা ভাড়া কমানোর জন্য আমরা ১০ মিনিট ধরে কথা কাটাকাটি করে থাকি । এই ৫ টাকা ভাড়া কমানো কি আমাদের খুব প্রয়োজন । এই ৫ টাকা ভাড়া বেশি দিলে আমাদের খুব বড় ক্ষতি হয়ে যাবে ।
অবশ্যই না
কিন্তু এই ৫ টাকা বেশি দিলে , ঐ রিকশা চালকের অনেক উপকার হবে । তাঁরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে যে টাকা পায় । এই টাকা দিয়ে তারা তাদের সংসার চালায় । তাদের ও সন্তান রয়েছে । তাদের ইচ্ছা করে তাদের সন্তানদের জন্য একটা চকলেট নিয়ে বাড়ি ফিরতে । কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও তাদের উপায় নেই । কারন তারা যে টাকা পায় সেই টাকা দিয়ে তাদের অনেক সময় তিন বেলা খাবার জোটে না ।
মহানবী ( সা:) বলেছেন -
তোমরা জমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করো , তাহলে আসমানের অধিপতি মহান আল্লাহ তোমাদের প্রতি সদয় হবেন ( তিরমিযি শরীফ )
যানি না কথা গুলো আমি আপনাদের বুঝাতে পেরেছি কিনা । তবে কথা গুলো বুঝতে পারলে আপনারা আমার কথা গুলো একটু ভেবে দেখবেন ।
তারপর আমি রাফি আর সুজনের কাছে গেলাম
আমি : কেমন আছিস সুজন মাঝি
সুজন : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি । তুই কেমন আছিস
আমি : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি
রাফি : এতো দেরি হলো কেন আসতে তোর
আমি : কোথায় দেরি হলো । তাড়াতাড়ি তো আসলাম
সুজন : ও সব কথা বাদ দে আগে এটা বল তোর গালে কি হয়েছে
আমি : স্বর্ণা কামড় দিছে
রাফি & সুজন : কামড় দিছে ( অবাক হয়ে ) কিন্তু কেন
আমি : জানি না ( সকালে থেকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত সব বললাম )
আমার কথা শুনে দুইজনে হাসতে হাসতে 🤣🤣🤣🤣 শেষ । এতে হাসার কি হলো বুঝলাম না ।
আমি : ঐ তোরা আমার কথা শুনে হাসতেছিস কেন ( রেগে 😡 )
রাফি : হাসবো না তো কি করবো কান্না করবো ( বলে আবার হাসা শুরু করলো ।
আমি : এবার কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে
সুজন : তাহলে কি এতক্ষন ধরে কম ছিলো ( হাসতে হাসতে )
আমি আর কোন কথা না বলে দুইজনকে মারতে শুরু করলাম
রাফি & সুজন : ভাই দ্বারা । আর মারিস না । ভুল হয়ে গেছে দ্বারা ।
কিছুক্ষণ পর মারা বন্ধ করলাম
রাফি : এভাবে কেও মারে । ওরে বাবা রে
আমি : তোরা হাসতেছিলি কেন
সুজন : ভুল হয়ে গেছে আর হবে না
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে
রাফি : আচ্ছা আমি একটা কথা বলি
আমি : হুম বল
রাফি : তুই যে স্বর্ণা কে ভালোবাসিস এই কথা টা বলে দিলেই তো পারিস
আমি : ভয় লাগে রে , স্বর্ণা যদি আমাকে ভুল বোঝে তখন । আমি তো স্বর্ণা কে হারিয়ে ফেলবো ।
সুজন : তুই ভয়ে ভয়ে থাকো আর অন্য দিকে কেও এসে তোর পাখিকে নিয়ে চলে যাক
রাফি : সাঈদ মনের কথা বলে দেওয়াই ভালো । আমার বিশ্বাস স্বর্ণা ও তোকে ভালোবাসে
আমি : কই আমাকে তো বলেনি কখন
সুজন : তুই আসলেই একটা ছাগল ।
আমি : এ খবরদার আমাকে 🐐 ছাগল বলবি না
রাফি : বলবে না তো কি করবে হ্যাঁ । তুই যে স্বর্ণা কে ভালবাসিস , এই কথা স্বর্ণা কে বলেছিস
আমি : না
রাফি : তুই যেমন হারানোর ভয়ে ওকে বলিস নাই
এমন তো হতে পারে স্বর্ণা ও হারানোর ভয়ে বলে নাই ।
সুজন : আর তুই কখন দেখেছিস মেয়েরা ছেলেদের ভালোবাসার কথা আগে বলে । মেয়েরা মুখ ফুসকে সব কথা বলেও ভালোবাসার কথা বলে না বুঝলি
( কিন্তু বাস্তবে আমি দেখেছি মেয়েরাও ছেলের ভালোবাসার কথা আগে বলে । আমি নিজেই তা প্রমাণ 😁😁 🤭 🤭 )
আমি : এটা তো ভেবে দেখি নাই
রাফি : তা দেখবি কি করে । সারা দিন রাত তো খালি নিজের আবেগের ভিতরে স্বর্ণা কে নিয়ে নিজের রাজ্যে ঘুরে বেড়াও ।
আমি : এটা অবশ্য হক কথা 😶😶 । স্বর্ণা কে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে খুব ভালো লাগে
সুজন : স্বপ্ন দেখা বাদ দিয়ে কিভাবে স্বর্ণা কে ভালোবাসার কথা বলবি সেই চিন্তা কর
আমি চুপ করে আছি
রাফি : কিরে চুপ করে আছিস কেন
আমি : না ভাবতেছি
সুজন : কি ভাবতেছিলি একটু আমরাও শুনি
আমি : তোরা দুজনে যদি আমার হয়ে
স্বর্ণা কে ভালোবাসার কথা বলে দিস তাহলে কেমন হয় ☺️☺️
এই কথা বলা মাএ দুই জনে মিলে আমাকে মারতে শুরু করলো
আমি : ওরে বাবা রে গেলাম রে । লাগতেছে তো থাম ভাই থাম
রাফি : লাগার জন্যই তো মারতেছি ( মারতে মারতে )
আমি : কিন্তু মারতেছিস কেন সেটা তো বল
সুজন : কি জন্য মারতেছি বুঝতে পারছিস না তাই না । রাফি আরো জোরে মার ( মারতে মারতে )
আমি : ও দোস্ত দয়া কর । আর মারিস না
মারা বন্ধ করলো
রাফি : ভালোবাসিস তুই । আর ভালোবাসার কথা বলবো আমরা
আমি : বন্ধু হয়ে বন্ধুর জন্য এটুকু করতে পারবি না
সুজন : না পারবো না । তোর ভালোবাসার কথা তুই নিজে গিয়ে বলবি
আমি : এই কথা তো ভাল ভাবে বলতে পারতি । মারার কি দরকার ছিল
রাফি : ভালোবাসতে পারে অথচ ভালোবাসার কথা বলতে পারে না
কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে দুপুরে বাসায় আসলাম
বাসায় আসতেই
স্বর্ণা : এতক্ষন কোথায় ছিলি
আমি : রাফি আর সুজন এর সাথে
স্বর্ণা : ও যা আর আমার চকলেট
আমি : এই নে ( চকলেট দিয়ে )
স্বর্ণা : হুম এখন গিয়ে গোসল করে নে
আমি : আচ্ছা যাচ্ছি
( আমি যতবার বাহিরে থেকে বাসায় আসবো । ততবার সাথে করে চকলেট নিয়ে আসতে হয় স্বর্ণার জন্য)
তারপর আমি আমার রুমে চলে গেলাম
রুমে এসে বাথরুমে ঢুকে গোসল করে নিলাম ।
গোসল করে রুমে এসে একটু রেস্ট নিতেই
স্বর্ণা : ঐ সাঈদ চল
আমি : কোথায় ( ভুরু কুঁচকে )
স্বর্ণা : নিচে খাওয়ার জন্য । নাকি খিদে পাইনি
আমি : হুম খিদে পেয়েছে 😋 তো । চল তাড়াতাড়ি
স্বর্ণা : হুম চল
তারপর স্বর্ণা আর আমি নিচে গেলাম
★
★
★★★ ( ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন ) ★★★
গল্পটা যদি ভালো লাগে । তাহলে👇👇
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️