গল্প - চাচাতো বোন যখন বস
লেখক - Rifat Ali Sayed
Part - 14
![]() |
Writers Rifat Ali Sayed |
★★★ [ অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ ] ★★★
খানিকক্ষণ স্বর্ণা আর আমি ঘুরা ঘুরি করে দুপুরে বাসায় চলে আসলাম ।
বাসায় এসে আমার রুমে এসে গোসল করে নিলাম ।
!
!
!__________________________________________
গোসল শেষ করে রুমে শুয়ে আছি তখনি স্বর্ণা আসলো ।
স্বর্ণা : আমার বাবুটা কি করছে ?
আমি : তোর বাবুটা খাটের নিচে শুয়ে আছে ।
স্বর্ণা আমার কাছে এসে, হঠাৎ খাট থেকে ফেলে দিলো ।
আমি : ও মাগো , আমি গেলাম রে ( ব্যাথাটা সত্যি লেগেছে ভাই 😭 )
স্বর্ণা : চুপ চুপ কোন আওয়াজ করবি না । রুমের বাহিরে যদি একটু আওয়াজ যায় তাহলে আমার থেকে কেউ খারাপ হবে না বলে দিলাম । ( আমার মুখ চেপে ধরে রেগে কথা গুলো বললো )
আমি : আমাকে ফেলে দিলি কেন ( কান্না কান্না ভাব নিয়ে )
স্বর্ণা : আহারে লাগছে বুঝি
আমি : ফেলে দিয়ে বলতেছিস লাগছে কি না ( কাঁদু কাঁদু হয়ে + একটু রেগে )
স্বর্ণা : ঐ আমাকে একদম রাগ দেখবি না । তুই আমাকে কেন বললি তুই খাটের নিচে শুয়ে আছিস ( রেগে )
আমি : তুই আমাকে বাবু বললি কেন । আমি তোকে বলিনি আমাকে বাবু বলবি না ( 😭😭 )
স্বর্ণা : তুই আমার সম্পত্তি । তোকে আমি যা খুশি তাই বলে ডাকবো । তোর তাতে কি ?
আমি : আমার ভুল হয়ে গেছে মা । আমাকে মাফ কর
স্বর্ণা : কিইই আমি তোর মা লাগি ছাগল, কুত্তা , বিলাই , হাতি , কুমির , ইন্দুর , চিকা , গাধা ( বাকি গুলো আপনারা বুঝে নিয়েছেন ) মারতে লাগলো ।
আমি : আল্লাহ এবার মনে হয় সত্যি সত্যি মরে যাবো । ( ভাই একটা গান মনে পরলো ," আমি জ্ঞান হারাবো ,মরেই যাবো , বাঁচাতে পারবে না তো কেউ " আমি অবশ্য গান শুনি না কিন্তু বন্ধুদের মুখে মুখে শুনে এক লাইন মুকস্ত হয়েগেছে 😁😁 )
স্বর্ণা সাথে সাথে আমার মুখ চেপে ধরলো
স্বর্ণা : আর কোন দিন যদি মরার কথা মুখে এনেছিস তাহলে আমি নিজেই তোকে খুন করবো । তারপর নিজে মরে যাবো ( আমাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল )
আমি : আরে এ কথাটা এমনি মজা করে বললাম
স্বর্ণা : তুই মরার কথা বলবি কেন ( কান্না করতে করতে )
আমি : আচ্ছা আমার ভুল হয়ে গেছে আর কখনো এমন করবো না । প্লিজ কান্না বন্ধ কর । ( আলতো করে জড়িয়ে ধরে )
স্বর্ণা কেঁদেই যাচ্ছে
আমি : এই আমি সত্যি বলছি আমি আর এমন কথা বলবো না । দেখ এবার কিন্তু আমিও কান্না করে দিবো বলেছিলাম
স্বর্ণা : আমাকে কাঁদাতে তোর খুব ভালো লাগে তাই না ( কান্না করতে করতে )
মেয়েটা আসলেই একটা পাগলী । তবে ভাবতে ভালো লাগে যে এটা শুধু আমার পাগলী ।
আমি : ( স্বর্ণার কপালে একটা চুমু খেয়ে ) কখন না । কারন তোর কান্না দেখলে আমার ( বুকে )এই বাম পাশে অনেক কষ্ট হয় ।
স্বর্ণা : তাই বুঝি ( কান্না বন্ধ করে মুসকি হেসে )
আমি : জি মহারানী । এখন বল আমার রুমে কেন
স্বর্ণা : এমনি দেখতে আসলাম কি কতেছিস । দুপুরের খাবারের সময় হয়েছে নিচে চল
আমি : হুম চল ( একটু উঠতেই ) ওরে বাবারে
স্বর্ণা : কি হলো ( চিন্তিত হয়ে )
আমি : পায়ে লেগেছে । দাঁড়াতে পারছিনা । ( কোন রকম করে খাটের উপর উঠলাম )
স্বর্ণা : কি করি এখন । সব আমার জন্য হলো । তুই বস আমি আম্মুকে বলে ডাক্তার আনার ব্যবস্থা করছি
আমি : কাউকে কিছু বলার দরকার নেই । অযথা সবাই চিন্তা করবে । ডাক্তার আনার দরকার নেই । একটু রেস্ট নিয়ে এমনি ঠিক হয় যাবো ।
স্বর্ণা : কিন্তু
আমি : কোন কিন্তু নয় ।
তারপর স্বর্ণা ওষুধ লাগিয়ে দিলো পায়ে জোর করে ।
আমি : এখন নিচে গিয়ে আমার খাবারটা ঘরে নিয়ে আয় । আম্মু কিছু বললে বলবি আমি ঘরেই খাবো । তুই কিছু একটা বলে মেনেজ করে নিস ।
স্বর্ণা : আচ্ছা ঠিক আছে ( মন খারাপ করে ) । স্বর্ণা নিচে চলে গেল
স্বর্ণা নিচে গিয়ে দেখে আম্মু , ছোট আম্মু , আর লিমা খাবার টেবিলে বসে আছে ।
ছোট আম্মু : তুই একা কেন সাঈদ কোথায় ।
স্বর্ণা : ও রুমে বসে খাবে । তাই ওর খাবার নিয়ে যাওয়ার জন্য আসলাম ।
আম্মু : ওর আবার হঠাৎ কি হলো যে রুমে বসে খাবে
স্বর্ণা : আমি কত কিছু বুঝি না তুমি খাবার বেড়ে দেও তো
আম্মু : আচ্ছা দাঁড়া দিচ্ছি ।
স্বর্ণা : দুটো খাবারের প্লেট দিলে যে
আম্মু : তোর খাবার ও দিলাম । তোরা তো একজন আরেকজনকে ছাড়া খাস না
স্বর্ণা : তা অবশ্য ঠিক ( বলে দুটো প্লেট নিয়ে রুমে চলে গেল )
আমি : কিছু বলছে নাকি
স্বর্ণা : না তেমন কিছু বলে নাই ( টেবিলে খাবার রাখতে রাখতে )
তারপর দুজন দুজনকে খাইয়ে দিল । খাওয়া শেষ করে স্বর্ণা খাবার প্লেট নিচে গিয়ে রেখে আসলো । দুজনে মিলে গল্প করতেছে হঠাৎ
লিমা : ভিতরে আসতে পারি ( দরজায় টোকা দিয়ে )
লিমাকে দেখে দুজনে একটু ঠিক হয়ে নিলাম ।
আমি : আরে আসুন । বসুন
লিমা : বিরক্ত করলাম নাকি দুইজনকে
স্বর্ণা : কি বলেন । বিরক্ত করতে যাবেন কেন
লিমা : না দুজনের প্রেমের একটু সমস্যা করে দিলাম তাই করকি
স্বর্ণা : প্রেমম মানেনন ও তেমনন কিছু না ( তুতলিয়ে )
লিমা : আমার কাছে লুকিয়ে কোন লাভ নেই । একটু বুঝার বয়স হয়েছে ম্যাডাম । ( হাসতে হাসতে )
আমি : বুঝেই যখন ফেলেছেন কি আর করার আছে
লিমা : হুম , তা বাসায় সবাই কি যানে
স্বর্ণা : না কেন যানে না
লিমা : সমস্যা নেই। আপনাদের বিয়ে খেয়ে তারপর বিদেশে যাবো ।
এ কথা শুনে আমরা কিছুটা লজ্জা পাইলাম
লিমা : আহারে লজ্জাবতী । এতো লজ্জা পাওয়ার দরকার নেই ( হাসতে হাসতে )
★
★
★★★ ( ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন ) ★★★
গল্পটা যদি ভালো লাগে । তাহলে👇👇
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️