অপমানে অপমানিত Apomane Apomanito
লেখকঃ Arian Sumon...
2nd part...
তারপর আমাকে একটা পাঞ্জাবী পড়ানো হলো। বিয়ে করে নিলাম সঞ্জিতাকে। এখন আল্লাহ জানে আমার কপালে কি আছে।।
এখন বাসর ঘরের সামনে দাড়িয়ে আছি। যাহোক ভয় কাটিয়ে ভিতরে ডুকলাম। ভিতরে ডুকতেই সঞ্জিতা খাট থেকে নেমে এসে
ঠাসসসস ঠাসসসসস করে দুটো থাপ্পর দিল।।
সঞ্জিতাঃ ছোটলোক তুই আমায় বিয়ে করলি কেন? তোর কি আছে যে তুই আমাকে বিয়ে করলি।
আমিঃ দেখুন আমি বিয়ে করতে চাইনি আপনার আব্বু জোর করছে
সঞ্জিতাঃ জোর করলেই কি বিয়ে করতে হবে নাকি
আমিঃ আমার কিছু করার ছিল না
সঞ্জিতাঃ ছোটলোক কোথাকার তোর জন্য আমার জীবন টা নষ্ট হয়ে গেল। আমার প্ল্যান টা নষ্ট করে দিলি তুই
আমিঃ প্ল্যান মানে?
সঞ্জিতাঃ প্ল্যান মানে প্ল্যান। আমি তো বিয়ে করতে চাইনি। তাই বান্ধবীদের সাথে মিলে বিয়ে ভাঙার প্ল্যান করছি। সেজন্য পাত্রপক্ষকে ওইসব আজে বাজে কথা বলেছি বিয়েটা বন্ধ করার জন্য কিন্তু তুই দিলি সব নষ্ট করে।
কি মেয়ে রে বাবা। এমন মেয়ে তো আমি জীবনেও দেখিনি। নিজের গায়ে নিজেই কলঙ্ক লাগায়।
আমিঃ আপনার যেহেতু বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল না। আগে বললেই পারতেন এসব করার কি দরকার ছিল
সঞ্জিতাঃ আমি জানি আব্বু আমার কথা শুনত না। তাই তো এসব করলাম।
আমিঃ ওহ কিন্তু এখন তো আমরা স্বামী স্ত্রী হয়ে গেছি। সো...
সঞ্জিতাঃ তোর মত ছোটলোক কখনই আমার জামাই থে পারেনা। তোকে আমি কোনোদিনও জামাই হিসেবে মেনে নিব না।
আমিঃ এটা তো জানা কথাই।
সঞ্জিতাঃ তুই তোর মত চলবি আমি আমার মত। আমার কোনো কাজে তুই বাধা দিতে আসবি না।
আমিঃ হুম আর কিছু
সঞ্জিতাঃ কিছুদিন পরেই আমি তোকে ডিবোর্স দিয়ে দিব।
আমিঃ ধন্যবাদ। আপনার সাথে থাকার আমারও কোনো ইচ্ছা নেই।।
বলেই সঞ্জিতার রুম থেকে বেড়িয়ে সোজা ছাদে চলে গেলাম। ভিষন কষ্ট লাগছে। বারবার ছোটলোক বলছে। আবার বাবা মা তুলে গালি দিচ্ছে। এগুলো সহ্য হচ্ছেনা। তবুও সহ্য করে নিচ্ছি। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে কানের নিচে দুটো থাপ্পর দিয়ে বলি,,,,,,। যাহোক ছাদে আমার রুম। আমার রুমে ডুকে ঘুমিয়ে গেলাম।
অন্যদিকে সঞ্জিতাকে আমাকে খাটে শুয়ে শুয়ে ইচ্ছেমত গালি দিচ্ছে।।
আমিঃ এই যে শুনো গো।
সঞ্জিতাঃ জী বলো
আমিঃ আজ এই বাসর ঘরে তোমাকে পুরো অস্পরির মত লাগছে। মনে হচ্ছে অনেকগুলো ফুলের মাজে একটা পরী বসে আছে। আর নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।
সঞ্জিতাঃ নিজেকে ধন্য কেন মনে হচ্ছে?
আমিঃ কারন এই পরী টা যে শুধু আমার।
সঞ্জিতাঃ একটু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে না?
আমিঃ না। তোমার জন্য যাই বলি সবই কম মনে হচ্ছে।
সঞ্জিতাঃ তাই আর কি বলতে ইচ্ছে করছে শুনি
আমিঃ ইচ্ছে করছে আদর করি।
সঞ্জিতাঃ তাই তাহলে নিষেধ কিরছে কে? করো আদর
আমিঃ করতাম?
সঞ্জিতাঃ হুম করো। আমার সব কিছু তো তোমার জন্যই।।
ঝাপিয়ে পড়লাম সঞ্জিতার উপর। কিন্তু পরক্ষনে বুঝতে পারলাম আমি স্বপ্ন দেখছি। কারন ঝাপ দিছি স্বপ্নে আর বাস্তবে খাট থেকে পড়ে গেছি।
উঠে বসলাম। যাহোক এটা একটা স্বপ্ন। যদিও বাস্তব হলে অনেক ভালো লাগত। আমি কিন্তু আগে থেকেই সঞ্জিতাকে পছন্দ করতাম। তাই বলে সব কিছু পছন্দ করতাম তা নয়। শুধু চুল গুলো পছন্দ করতাম। অনেক বড় বড়। আর বাঙালি মেয়েদের চুল বড় থাকলেই ভালো লাগে।।
হঠাৎ দরজার মধ্যে ঠকঠক আওয়াজ। সামনে তাকিয়ে দেখি আংকেল মানে সঞ্জিতার আব্বু। আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম। এখন কি বলব? সঞ্জিতার রুমে না থেকে এখানে কি করছি।
আমিঃ আরে আংকেল আপনি এখানে যে?
আংকেলঃ তুই এখানে কেন?
আমিঃ আমি এইত আসলাম মাত্র
আংকেলঃ মিথ্যা বলিস কেন সত্যি বল
আমিঃ আসলে
আংকেলঃ বুঝছি। আমি যা আশংকা করেছিলাম তাই হইছে। তোকে আমি কিছু কথা বলি শুন
আমিঃ হুম বলুন
আংকেলঃ আমার মেয়ে টা অনেক জেদি। কিন্তু মন টা ভালো। আমি জানি ও তোকে মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু দেখবি একদিন ঠিকি মেনে নিবে। আর না নিলেও তুই নিতে বাধ্য করবি। ওরে ভালো করার দায়িত্ব আমি তোকে দিলাম।
আমিঃ জ্বী আংকেল আমি সব জানি । আপনি চিন্তা করবেন না আমি আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।
আংকেলঃ আংকেল কি? আব্বু বলবি এখন থেকে
আমিঃ ওকে আব্বু।
তারপর আংকেল চলে গেল। আমি ফ্রেশ হলাম। তাতপর কিচেন গিয়ে চা বানাইলাম। তারপর এক কাপ চা নিয়ে আন্টির কাছে গেলাম। দেখলাম আন্টি খবরের কাগজ পড়ছে।
আমিঃ আন্টি এই নিন চা
আন্টিঃ তুই চা এনেছিস কেন?
আমিঃ তো কে আনবে?
আন্টিঃ বাকিরা কোথায়? একটা কথা মনে রাখবি তুই আমার মেয়ের জামাই। আর এসব কাজ করবিনা
আমিঃ ওকে করব না।
আন্টিঃ আর আন্টি বলে ডাকিস কেন? আম্মু বলবি আম্মু
আমিঃ ওকে আম্মু। এখন যাই। আজকে ক্লাস টেষ্ট আছে। ভার্সিটি যাব
আন্টিঃ ওকে সাবধানে যাইছ।
তারপর রেডি হয়ে ভার্সিটি চলে গেলাম। দেখা হয়ে গেল একমাত্র বন্ধু তানভিরের সাথে।।
তানভিরঃ কিরে কাল আসলি না কেন?
আমিঃ আমি তো বিয়ে করে ফেলছি
তানভিরঃ কিইইই বলছিস কবে কোথায় কাকে?
আমিঃ আরে তোকে বলছিলাম না যে বাসায় থাকি তাদের মেয়েটার কথা?
তানভিরঃ হুম
আমিঃ ওরেই বিয়ে করছি।
তানভিরঃ কিন্তু মেয়ে টা তো ভালো না। তুই থাকবি কিভাবে ওর সাথে
আমিঃ দেখা যাক কেমনে থাকি।
তানভিরঃ আমিন। আমিন। এখন চল ক্লাসে যাই।
আমিঃ হুম চল।
তারপর ক্লাস করলাম। ক্লাস শেষে বাড়িতে গেলাম। গিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম। এমন সময় আংকেল আসল,,,,
আংকেলঃ তুই এখানে কি করিস
আমিঃ কিছুনা
আংকেলঃ আজ থেকে তুই সঞ্জিতার রুমে থাকবি
আমিঃ আর সঞ্জিতা?
আংকেলঃ ও তোর স্ত্রী। তোরা একসাথেই থাকবি। এটা কি বলতে হয় নাকি?
আমিঃ না। মানে।
আংকেলঃ আমি যা বলছি তাই করবি।
আমিঃ ওকে আব্বু।
তারপর আর কি সব কিছু নিয়ে সোজা সঞ্জিতার রুমে চলে গেলাম।
সঞ্জিতার রুমে বসে বসে বই পড়তে ছিলাম। হঠাৎ সঞ্জিতা আসল । আমাকে দেকছে কিনা জানিনা। ও জামা খুলতে লাগল। আর আমার চোখ বড় হতে লাগল। আস্তে আস্তে পুরো খুলে ফেলল।। চেঞ্জ করে ফেলল।
চেঞ্জ করে যেই খাটের দিকে তাকিয়ে আমাকে দেখল। সাথে সাথেই এক চিৎকার দিল।।
আমি গিয়ে মুখ হাত দিয়ে ঝাপটে ধরলাম।
আমিঃ আরে আরে করছেন কি চিল্লাচ্ছেন কেন?
সঞ্জিতা আমার হাত ছাড়িয়ে নিল। তারপর
সঞ্জিতাঃ তুই আমার রুমে কি করছিস?
আমিঃ আজ থেকে এটা আমারও রুম।
সঞ্জিতাঃ কি বললি? (চোখ বড় বড় করে)
আমিঃ আমি বলিনাই। আপনার আব্বু মানে আমার শশুর মশাই বলছে।
সঞ্জিতাঃ আব্বু আব্বুউউউউউউউউ
সাথে সাথে আংকেল আসল,,,,
আব্বুঃ কিরে চিৎকার দিচ্ছিস কেন?
সঞ্জিতাঃ আজ থেকে ও নাকি এখানে থাকবে তুমি নাকি বলছ?
আব্বুঃ হুম থাকবে
সঞ্জিতাঃ ও থাকলে আমি থাকব না এই বলে দিলাম।
আব্বুঃ তাহলে এক কাজ করিস ছাদের ওর রুমে গিয়ে থাকিস
সঞ্জিতাঃ ওয়াক থু। আমি কেন ওখানে থাকমু
আব্বুঃ তাহলে চুপচাপ এ রুমে থাকবা।
এই বলেই আংকেল চলে গেল।
আর সঞ্জিতা এসে আমার গালে ঠাসসস করে একটা থাপ্পর দিল।
আমিঃথাপ্পর দিলেন কেন
সঞ্জিতাঃ তোর জন্য আজ আব্বু আমাকে বকা দিল। তোর কপালে অনেক খারাপি আছে।
আমি রুম থেকে বেড়িয়ে গেলাম। সোজা ছাদে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে পড়তে লাগলাম। কিন্তু পড়ার থেকে ওই দৃশ্য টাই চোখে ভাসছে বেশি। কি দেখলাম আমার সব কেড়ে নিল। ওর পিঠে একটা তিল রয়েছে। আর কি বলমু। থাক আর বলিনা।
পরক্ষনে মনে পড়ল যে আমি বাবা মেয়ের মাজখানে পরে গেলাম আমি। কপালে যে আরো কি কি আছে আল্লাহ জানে ভালো।
তারপর রাতে খাবার খেয়ে রুমে প্রবেশ করলাম। সঞ্জিতা আমার আগে থেকেই রুমে ছিল। আমি ডুকে দরজা বন্ধ করলাম। তারপর যেই খাটে শুইতে যাব। ওমনি,,,,,
সঞ্জিতাঃ ওই তোর এখানে কি???
আমিঃ শুইতে আসলাম।
সঞ্জিতাঃ আমি কি তোকে বলছি খাটে শুইতে?
আমিঃ তো?
সঞ্জিতাঃ তুই সোফায় ঘুমাবি। আর আমি খাটে। আর যদি এটা আব্বুকে বলিস তাহলে থাপরাইয়া গাল ফাটাইয়া ফেলব।
ওরে আল্লাহ রে। এ মেয়ে যে হুমকিও দিচ্ছে। আবার ওর আব্বু আমাকে বলছে ওরে ঠিক করতে। নিজের কপাল নিয়া এখন নিজেই গর্ববোধ করতে ইচ্ছে করছে।
আর কিছু না বলে সোফায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।। ঘুমিয়ে গেলাম।
পরদিন ছুটির দিন ছিল।
সকালে ঘুম ভাঙল দরজার ধাক্কার আওয়াজে। দরজা খুলে দেখি বাড়ির কাজের লোক ঢেকেছে খাওয়ার জন্য। আমি বললাম আসতেছি।
তারপর খাটের দিকে তাকাতেই দেখলাম সঞ্জিতার মায়াবি মুখ টা। একেবারে বাচ্চার মত লাগছে। ইচ্ছে করছে কপালে একটা চুমু দেই।
আমি ওরে ডাকতে লাগলাম। কিন্তু উঠছে না। তাই ওর গায়ে টাচ করে ডাকিতে লাগলাম। এমন সময় আমার হাত ধরে ফেলল। হাত টা বুকে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে। দেখতে ভালোই লাগছে।।
যাহোক আমি হাত ছুটাতে চেষ্টা করলাম। উল্টা ও আমাকে টান মেরে ওর উপর ফেলে দিল। সাথে সাথেই ওর ঘুম ভেঙে গেল।
সত্যিই অসাধারণ হয়ছে
ReplyDeleteআমাদের দুইটি সাইটে আপনি,
Comment BackLink করতে চাইলে
করতে পারেন ! আমার সাইটের নাম
www.webangali.com
www.bd-express.top