ডিভোর্স শেষ পর্ব। DIVORCE last part.. bangla romantic story | StoryBD

 ডিভোর্স। DIVORCE 


last part..


লেখকঃ Arian Sumon..



ক্লান্ত হয়ে গেলাম।পানি পিপাসা লাগল।

টেবিলে এক গ্লাস পানি ছিল। পানিটা পান করলাম।  সাথে সাথেই মাথা গুড়াইতে লাগল।  নিতে পারছিলাম না।  চোখ বন্ধ হয়ে আসিতেছিল। কি হচ্ছে কি? পানিতে কি ছিল। জান্নাত পানিতে কিছু মিশিয়েছে । এই ছিল ওর মনে।আমাকে মেরে ফেলার জন্য এসেছে।  চোখ বন্ধ হইয়া গেল। আর কিছু মনে নাই।

"

"

"


জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে খাটে আবিষ্কার করলাম। 


না ভাই মরিনাই।  উফ বেচে গেছি। তারমানে জান্নাত আমাকে মারতে চায়নি। উফ বাচা গেল। কি না কি ভেবে ফেলছিলাম আমি। কিন্তু পানিতে কি ছিল।


হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার হাতে যেন কি?  একটা চিরকুট।


পড়ে দেখি,,

রুম থেকে বেড় হও 


রুম থেকে বেড় হব মানে কি? আমাকে এভাবে মারতে পারেনি দেইখা অন্যভাবে মারতে চাইতেছে না তো? বিশ্বাস নাই সাবধানে বেড় হতে হবে।


সাবধানে রুম থেকে বেড় হলাম। চারদিক অন্ধকার। ভয়ে ভয়ে আল্লাহর নাম নিতে নিতে রুমের লাইট জ্বালাইলাম।  

উফস শান্তি কিচ্ছু নাই। কিন্তু চিরকুট এর মানে কি? 

আবার নজর পড়ল টেবিলে লিখা। ফ্ল্যাট থেকে বেড় হও।  নাহলে বিপদে পড়বা। 


হচ্ছে টা কি ফ্লাটে তো কিছু নাই। কিসের বিপদ।  হুদাই ভয় দেখায়। দূর আমি পুরুষ মানুষ।  পুরুষ মানুষের ভয় পাইতে নেই। 


ফ্রিজ থেকে পানি বেড় করলাম। পানি খাইয়া সোফায় বসে পড়লাম। 


হঠাৎ মনে হলো জান্নাত আর সাইফার কথা।  ওরা কোথায়?

অন্য রুমে গিয়ে দেখি নাই। গেল কোথায়? কিছু হলো না তো আবার। 


হঠাৎ আওয়াজ ভেসে আসতে লাগল,,


তারাতারি বাসা থেকে বেড় হ। বাসায় বোম আছে। 


কোথা থেকে আসছে শব্দটা ভালো করে বুঝতে পারলাম না। কিন্তু ভয় পেয়ে গেলাম। 


সোজা বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলাম। 


নিচে চলে গেলাম। বিল্ডিং এর মেইন গেইট লাগানো। ব্যাপারটা কি দাড়োয়ান কোথায়?  গেইট তো কখনও লাগানো দেখিনাই। আজকে লাগানো কেন? 


মনে হলো পানি খাওয়ার কথা। কি হচ্ছে আমার সাথে। আমি মরে গেলাম না তো? কিন্তু মরলে তো এমন হবার কথা না। 


এখন এখান থেকে বেড় হতে না পারলে এমনিতেই মারা যাব।  যলদি বেড় হইতে হবে আমার।


মনে পড়ল এই বিল্ডিং এর ছাদ পাশের বাড়ির ছাদের সাথে লাগানো।।


দিলাম দৌড় ।  এক দৌড়ে ছাদে। ছাদে উঠ হাপিয়ে গেলাম


জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিতে লাগলাম। 


হঠাৎ সাইফার গলার শব্দ শুনতে পেলাম। 


সাইফাঃ  happy birthday বাবা। happy birthday to you.. baba..


শব্দ শুনে এগিয়ে গেলাম।  সাইফা একা দাঁড়িয়ে রয়েছে। 

আমি কোলে তুলে নিলাম। 


আমিঃ এত রাতে মামুনি তুমি এখানে?


সাইফা কিছু বলার আগেই চারদিক আলোকিত হয়ে গেল। 


আমি শকড হয়ে গেলাম। 


আমার সামনে,,


জান্নাত জান্নাতের বাবা মা সিনথিয়া আমার বাবা মা ।  অফিসের বস মাইশা শাওন বিল্ডিং এর সবাই উপস্থিত।  


সবাই একসাথে বলতে লাগল,,


many many HAPPY BIRTHDAY TO you..happy birthday


what the hell.  হচ্ছে টা কী? এদিকে আমি ঘামাইয়া শেষ। আবার সবাই জন্মদিনের উইশ করতেছে। 

আজকে আমার জন্মদিন?  কি জানি। মোবাইল হাতে নিয়ে তারিখ দেখলাম। সিউর হলাম আজকেই জন্মদিন আমার।


সবার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছি। 


আমিঃ  মানে কি এসবের( চিল্লাইয়া)

শাওনঃ সারপ্রাইজ কেমন লাগল? সবই ভাবির প্ল্যানিং।  তোকে ভরকে দেওয়ার জন্য।  তোকে দেখে মনে হচ্ছে ভালোই ভরকে গেছিলি। 


এক দৃষ্টিতে জান্নাতের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।  


জান্নাত আমার কাছে আসল,


জান্নাতঃ I am sorry sumon.. আমি তোমাকে বুঝতে পারিনি। আমার ভূল হয়ে গেছে। আর কোনোদিন এমন ভূল করব না  এবারের মতো আমকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ?  

আমার পায়ে পরে গেল।


জান্নাতের আব্বুঃ  হ্যা বাবা ওরে মাফ করে দাও। ওর কোনো দোষ নাই। সব দোষ আমার। আমিই তোমাদের মেনে নিতে পারিনি যার জন্য মাইশা কে দিয়ে ওইসব ছবি তুলিয়ে নিয়ে ওরে দিছিলাম যাতে তোমাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। প্লিজ বাবা আমাকেও মাফ করে দিও। নাহলে যে নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। 


মাইশাঃ  হ্যা ভাইয়া।  i am sorry... ওইদিন আপনার মোবাইলে জান্নাতের পিক দেখেছিলাম।  জান্নাত আমাকে একবার বাঁচিয়েছিল। যার জন্য নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি।  ভাবতেই পারিনি আমি যার জন্য বেচে আছি। তার সংসার ভেঙে ফেলতে চাইছিলাম।  সহ্য করতে না পেরে আমিই জান্নাত কে সব খুলে বলেছি। আসলে জান্নাতের কোনো দোষই ছিল না। ওরে ফাসানো হয়েছিল। এখন যদি আপনি মাফ না করেন তাহলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। 

আমার আম্মুঃ  সুমন যা হবার হইছে।  সব ভূলে যা।  মাফ করে দে। মনে রাখিস আল্লাহ ক্ষমাশীল ব্যাক্তিকে সব থেকে বেশি পছন্দ করেন। 


কি করব ভেবে পাচ্ছিনা। এমনিতেও জান্নাত কে ছাড়া বাচতে পারব না। খুব ভালোবাসি।। 


জান্নাত কে উঠাইলাম। জান্নাতের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে অনবরত।  


আমি আর সহ্য করতে না পেরে জান্নাতকে জড়িয়ে ধরলাম। 

জান্নাত ও আমাকে জড়িয়ে ধরল।


সবাই হাততালি দিতে লাগল। 


কিছুক্ষন পর,,


শাওনঃ অনেক হয়ে গেছে ভালোবাসা বাসাবাসি। এখন কেক কাট। 


তারপর কেক কাটলাম।। সবাইকে খাইয়ে দিলাম। 


"

"

"


জান্নাতকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম। 


জান্নাতঃ হচ্ছে টা কি? সাইফা আছে দেখবে কিন্তু

আমিঃ দেখবে না ঘুমিয়ে গেছে

জান্নাতঃ ছারবা নাকি আবারও কোর্টে  এপ্লাই করব?

আমিঃ  ইচ্ছে আছে?

জান্নাতঃ নাই তবে এমন করতে থাকলে তো করতেই হবে। 

আমিঃ ওহ সরি সরি ভূলেই গেছিলাম। আমি তো আপনাকে শান্তিতে থাকতে দেইনা। ফ্রি ভাবে চলতে দেইনা।  আজ থেকে আপনি ফ্রি। 


ছেড়ে দিয়ে বারান্দায় চলে গেলাম। 


রাস্তার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। 


হঠাৎ কারো স্পর্শ অনুভব করতে লাগলাম। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে। 


জান্নাতঃ অভিমান করেছ তাই না? এদিকে তাকাও

আমি তাকাইলাম না। 

জান্নাতঃ তাকাও না।

আমি তাকাইলাম না। 

জান্নাত জোর করেই আমাকে ঘুড়ালো


জান্নাতঃ I am sorry.. আমি ওসব আর বলব না। তুমি যেভাবেই রাখবা সেভাবেই থাকব প্রমিস। ( কানে ধরে)


ওর ইমোশন দেখে হেসেই ফেললাম।  


জান্নাতঃ ওরে শয়তান


 বলেই আমাকে এলো পাতারি কিল ঘুষি দিতে লাগল।।


আমি ওরে জড়িয়ে নিলাম।


আমিঃ  জানো তুমি যখন আমাকে বিচ্ছেদের কাগজ পাঠিয়েছিলে আমি কত কষ্ট পেয়েছি। ইচ্ছে করছিল মরে যাই।।  এই এক টা মাস প্রতিনিয়ত তোমাকে মিস করেছি।  মিস করছি তোমার ভালোবাসা।  যদি সত্যিই তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে তাহলে নিশ্চিত আমি মারা


পুরো টা বলার আগেই জান্নাত মুখ চেপে ধরল।

জান্নাতঃ একদম চুপ।মরার কথা আর একবারও মুখে আনবিনা।  ( কেঁদে দিয়ে)

আমি কপালে চুমু খেলাম

আমিঃ এখন তুমি আমার কাছে আছ আর বলতেও হবেনা। 


জান্নাত আমাকে জড়িয়ে ধরল। 


জান্নাতঃ I LOVE YOU I LOVE  YOU SO MUCH..

আমিঃ   I love you too..


The EnD


সমাপ্ত। 

Tags: bangla romantic golpo, romantic bangla golpo, bangla horror story, রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প, bengali love story, thakurmar jhuli golpo, bangla love story book, romantic love story in bengali, sad post bangla, ভালোবাসার গল্প, বাংলা গল্প, প্রেমের কাহিনী,

Post a Comment

Thanks for your Support 💖

Previous Post Next Post