মন্ত্রীর মেয়ে The ministers daughter
লেখকঃ AriaN Sumon...
9th part...
তুষারঃ না না। ওনাদের বয়ষ হয়েছে। এসব শুনলে কিছু হয়ে যেতে পারে। যা করার এখন আনাদেরই করতে হবে।
শাওনঃ ঠিক বলছিস।
এর মধ্যেই ডাক্তার বেড় হলো।
শাওনঃ ডাক্তার কি অবস্থা আমার বন্ধুর?
ডাক্তারঃ Sorry এখনও বলা যাচ্ছেনা। তবে আশা করতেছি ২৪ ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান ফিরবে।
শাওনঃ এভাবে বলতে হয় নাকি। দিছিলেন তো পুরো নাড়িয়ে আমাদেরকে
ডাক্তারঃ চিন্তা করবেন না । তেমন কিছু হয়নাই। খালি ব্রেইন একটু আঘাত পেয়েছে। জ্ঞান ফিরলেই বুঝতে পারব আর কি করতে হবে।
শাওনঃ আমরা কি ভিতরে যেতে পারি?
ডাক্তারঃ হুম যেতে পারেন।
শাওনঃ ওকে ধন্যবাদ ডাক্তার।
শাওন আর তুষার ভিতরে ডুকল। সুমন কে ওভাবে পড়ে থাকতে দেখে ওরা চোখের পানি আটকে রাখতে পারল না। কেদেই ফেলল। সেই ছোট্ট বেলা থেকে একসাথে রয়েছে ওরা। সবাই সবার দুঃখ সুখে একসাথেই ছিল।
যাহোক ২৪ ঘন্টা পর সুমনের জ্ঞান ফিরল।
শাওন আর তুষার দেখে ডাক্তার কে ডাক দিল। ডাক্তার সুমন কে চেক আপ করে বলল।
ডাক্তারঃ হুম সব ঠিক আছে। মারাত্মক কিছুই হয়নাই। সপ্তাহ খানিক রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে।
শাওনঃ আমরা কি ওরে বাসায় নিয়ে যেতে পারি?
ডাক্তারঃ হুম নিতে পারেন সমস্যা নেই। তবে খেয়াল রাখবেন যেন ওষুধ গূলো ঠিকমতো খায়।
তুষারঃ ওকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ডাক্তার।
তারপর শাওন আর তুষার সুমন কে নিয়া বাসায় যায়।
বাসায় যেতেই আম্মু আমাকে দেখে কেদে দেয়।
আম্মুঃ তোর এ অবস্থা কি করে হলো???
শাওনঃ আন্টি এসব কিছুনা। আল্লাহর রহমতে খুব যলদিই সুস্থ্য হয়ে যাবে ও।
তুষারঃ হুম আন্টি একদম চিন্তা করবেন না। আমরা তো আছিই
আম্মু আর কিছু বলল না। কাদতে থাকল।
আমি আম্মুকে জড়িয়ে ধরলাম।
আমিঃ কেদোনা তো এই দেখ আমি তোমার সামনেই তো রয়েছি। কাদছ কেন?তুমি কাদলে আমার ভালো লাগেনা জানোনা? প্লিজ কেদোনা।
এরপর আম্মু আমার কপালে চুম্বন একে দিল।
তারপর আমি রুমে গেলাম। শুইলাম।
শাওনঃ তুই বিশ্রাম নে আমরা বাসায় যাই। প্রয়োজন হলে ফোন দিছ।
এর মধ্যেই আম্মু এসে
আম্মুঃ কোথাও যাওয়া হচ্ছেনা। আমি রান্না করতেছি খেয়ে যাবা তোমরা
শাওনঃ কিন্তু আন্টি
আম্মুঃ কোনো কিন্তু নয়।
আর কিছু বলতে পারল না। আম্মু চলে গেল রাধতে।
আমিঃ আচ্ছা শুন গাড়িটা কার জেনেছিস??
তুষারঃ শুনলে তুই বিশ্বাস করবি তো?
আমিঃ বিশ্বাস না করার কি আছে?
তুষারঃ গাড়িটা ছিল ভাবির। ভাবি যেই গাড়িটা নিয়া চলাচল করত। সেই গাড়িটাই।
আমিঃ কি বলছিস তুই??? সঞ্জিতা
শাওনঃ উত্তেজিত হইছ না । তোর সমস্যা হবে। আমরা পুলিশ কে জানিয়েছি ওনারা সব দেখতেছে
আমিঃ সঞ্জিতা আমাকে মারতে চায়? স্বপ্নেও তো ভাবতে পারব না এরকম।
শাওনঃ ধ্যাত আমাদের ভূল ও তো হতে পারে । আগে পুলিশ তদন্ত করুক। তারপর দেখা যাবে।
তুষারঃ আর যদি এর সাথে কোনোভাবে তোর শশুর মানে মন্ত্রী শালায় জড়িত থাকে। তাহলে ধরে রাখ ওর মন্ত্রীত্ব শেষ। ওর কি হাল করব স্বপ্নেও ভাবতে পারবিনা।
আমিঃ হুম।
রাত টা পাড় হলো। পরদিন শাওন তুষার এসে হাজির হয়ে গেল।
শাওনঃ বন্ধু আমরা যা আন্দাজ করছিলাম সেটাই হয়েছে।
তুষারঃ তোর শশুর তোকে মারার জন্য ওই গাড়িটাকে পাঠিয়েছে।
আমিঃ তোরা সিউর?
শাওনঃ হুম। রাস্তার পাশে একটা বাড়ি আছে না?? ওই বাড়িতে সিসিটিভি লাগানো ছিল। সেই সিসিটিভির ফুটেজে দেখলাম। ওই গাড়িটা ভাবির ছিল।
আমিঃ তার মানে এর সাথে সঞ্জিতাও জড়িত।
শাওনঃ পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওনারা জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য চলে গেছেন।
আমিঃ ওনাদের ফোন দিয়ে বল আমাকে নিয়ে যেতে।
শাওনঃ তুই গিয়ে কি করবি?
আমিঃ বল আগে। গেলেই দেখবি।
শাওনঃ হুম
ওরা ফোন দিল সব বলল। ওনারা আমার বাড়ির সামনে থেকে এসে রিসিব করে নিল।
সঞ্জিতার বাড়িতে চলে গেলাম। গিয়ে সোজা আমি একাই বাড়িতে ভিতরে চলে গেলাম।
ভিতরে গিয়েই দেখি সঞ্জিতার আব্বু সোফায় বসে আছে।
আমিঃ বাহ বাহ বাহ
সঞ্জিতার আব্বুঃ তুই মরছ নাই???
আমিঃ রাখে আল্লাহ মারে কে? তোরি মতো কুকুর আমার কিছুই করতে পারবেনা।
সঞ্জিতার আব্বুঃ একবার বেচে গেছিস। পড়ের বার দেখ কি করি।
আমিঃ কি আর করবেন। লজ্জা নেই তো আপনাদের।
সঞ্জিতার আব্বুঃ তোকে মেরে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দিব।
এমন সময়েই সঞ্জিতা
সঞ্জিতাঃ আব্বুউউউ
এই বলে আমার কাছে চলে আসল। এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল।
সঞ্জিতাঃ তোমার কিছু হয়নি তো?
আমিঃ আমার কিছুই হয়নাই। কিন্তু হবে তুমি ছাড়ো। তুমিও তো ওদের সাথে জড়িত। আমাকে মারতে চেয়েছিলে তাই না?
সঞ্জিতাঃ সুমন আমি দুঃখিত। ওনারা আমাকে বলছে যদি আমি তোমার কাছে থাকি তাহলে তোমাকে মেরে ফেলবে। তাই তো তোমাকে বাঁচাতে আমাকে এই নাটক টা করতে হয়েছে। কিন্তু আর নয়।
আমিঃ....
সঞ্জিতাঃ ছি আব্বু তোমার লজ্জা করল না ওরে মেরে ফেলার কথা কিভাবে ভাবতে পারলা?? ও তোমার মেয়ের জামাই। একটু তো এই কথা টা ভাবতে পারতা। তোমাকে বাবা বলতেই আমার লজ্জা লাগছে।
এমন সময়েই সঞ্জিতার ভাই কোথাও থেকে এসে সঞ্জিতাকে থাপ্পড় মারল।
সঞ্জিতাঃ হুম সাবাশ ভাইয়া সাবাশ। আজ বুঝতে পারলাম আসলে তোমরা কত টা খারাপ। তোমাদের আমার আব্বু আর ভাইয়া ডাকতে লজ্জা লাগছে।
সঞ্জিতার ভাইয়াঃ তুই এই ছোটলোক টার জন্য এসব বলছিস?
সঞ্জিতাঃ খবরদার ভাইয়া ছোটলোক বলবানা। তোমরা তো জনগনের টাকা খাইয়া এসব বানাইছ। কিন্তু ওরা তা করেনাই। ওদের যা আছে সম্পূর্ণ হালাল।
আমি এখনি চলে যাব ওর সাথে পারলে আটকাও। তোমরা কথা দিছিলা ওর কিছু করবা না। পারলা না কথা রাখতে।
এমন সময়েই পুলিশ ভিতরে ডুকল।
ওসিঃ সরি স্যার আমাদের কাছে আপনার আর আপনার ছেলেকে এরেস্ট করার অর্ডার আছে।
সঞ্জিতার ভাইঃ তোদের সাহস তো কম না। আমাদের এরেস্ট করতে আসছিস
ঠাসসসসসস
ওসি সঞ্জিতার ভাইকে থাপ্পর দিছে।
ওসিঃ এতদিন তোদের অনেক অপকর্ম মুখ বুঝে সহ্য করেছি। এবার তোরা ফেসে গেছিস। একজনকে মেরে ফেলতে চাওয়া। এটার পুরো প্রমান আমাদের কাছে আছে। তোরা বাপ বেটা পুরো ফেসে গেছিস। কম সে কম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তো হবেই হবে। Officers arrest them..
ওনারা সঞ্জিতার আব্বু আর ভাইকে এরেস্ট করল। নিয়ে চলে গেল।
যাওয়ার পরেই সঞ্জিতা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমিও জড়িয়ে ধরলাম।
সঞ্জিতাঃ সরি সুমন আমার জন্য তোমাকে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে।
আমিঃ না ঠিক আছে। তুমি তো ইচ্ছা করে করোনি।
সঞ্জিতাঃ আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরো। ছাড়বানা।
আমি ধরলাম শক্ত করে।
আপনারা বুঝেন নাই তো পুলিশ এসেছিল জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য। ধরে নিয়া গেল কেন? আসলে আমি সিস্টেম করেছিলাম। সাথে মাইক্রফোন ব্যবহার করেছিলাম। যার দ্বারা সব রেকর্ড হচ্ছিল। পুলিশ ও সব শুনেছিল। হিহিহি
যাহোক সঞ্জিতা আর আমার ছেলেকে নিয়ে ওদের বাড়ি থেকে চলে আসলাম। আমার বাসাতে আসলাম।
সঞ্জিতা বাসাতে ডুকেই আম্মুর পায়ে ধরল।
সঞ্জিতাঃ আম্মু আমাকে ক্ষমা করে দেও। আমার জন্যই সুমনের এই অবস্থা হয়েছে।
আম্মু ওরে উঠাল।
আম্মুঃ আরে পাগলি মেয়ে যা হবার হয়েছে। তুই আর আমি চাইলেও আটকাইতে পারতাম না।
সঞ্জিতাঃ তাও
আম্মুঃ তাও কিছুনা । কই আমার নাতি কোথায়??
আমিঃ এই যে
আম্মু সাইফ কে কোলে নিয়ে রুমে চলে গেল। এ সব কিছুর কিছুই আব্বু জানেনা। কারন আব্বু কয়েকদিন থাইল্যান্ড গেছে ব্যবসায়ীক কাজে।
যাহোক আমি রুমে গেলাম। সঞ্জিতাও আসল।
সঞ্জিতাঃ হায়রে রুম
আমিঃ কি হলো?.
সঞ্জিতাঃ দু তিন দিন ছিলাম না তাতেই রুমের এই অবস্থা
আমিঃ ঠিক করে নাও।
সঞ্জিতাঃ করতে তো হবেই।
সঞ্জিতা রুম গুছাতে শুরু করল। আমি ওর দিকে তাকিয়ে রয়েছি।
সঞ্জিতাঃ এভাবে তাকিয়ে আছ কেন
আমিঃ কেন তাকিয়ে রয়েছি?
আমি উঠে সঞ্জিতার কাছে চলে গেলাম। কোমরে হাত দিয়ে কাছে টেনে নিলাম।
সঞ্জিতাঃ কি করছ কেউ এসে পড়বে তো?
আমিঃ কেউ আসবেনা।
বাকি আর জানিনা।
To be continue