গল্প - চাচাতো বোন যখন বস
লেখক - Rifat Ali Sayed
Part - 10
![]() |
Writers Rifat Ali Sayed |
★★★ [ অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ ] ★★★
স্বর্ণা : নিচে খাওয়ার জন্য । নাকি খিদে পাইনি
আমি : হুম খিদে পেয়েছে 😋 তো । চল তাড়াতাড়ি
স্বর্ণা : হুম চল
তারপর স্বর্ণা আর আমি নিচে গেলাম
!
!
!___________________________________________
নিচে গিয়ে দেখি আম্মু আর ছোট আম্মু আমাদের দুজনের জন্য বসে আছে ।
আম্মু : আসতে দেরি করলি কেন তোরা
আমি : কই তাড়াতাড়ি তো আসলাম । তোমরা আগে খেয়ে নিলেই তো পারো
ছোট আম্মু : সন্তানকে রেখে মায়েরা আগে খায় না বুঝি
আমি : হুম বুঝলাম
স্বর্ণা : কিন্তু আমরা তো বড় হয়ে গেছি তাই না
স্বর্ণার কথা শুনে আম্মু আর ছোট আম্মু হাসতে লাগলো
স্বর্ণা : তোমরা হাসতেছো কেন
আম্মু : সন্তান যত বড়ই হোক না কেন । সন্তান সব সময় মা বাবার কাছে সেই ছোটই থাকে বুঝলি
স্বর্ণা : হুম বুঝেছি
তারপর খাওয়া শেষ করলাম ।
খাওয়া শেষ করে সবার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে
আমি আমার রুমে চলে এলাম ।
রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।
বিকাল বেলা স্বর্ণা আমার রুমে এলো
স্বর্ণা : ঐ সাঈদ ঘুমাইছিস নাকি
আমি : না এমনি শুয়ে আছি
স্বর্ণা : শরীর খারাপ লাগছে তোর ( মাথা হাত দিয়ে দেখতে লাগলো )
আমি : না এমনি শুয়ে আছি । আমার কিছু হয় নাই
স্বর্ণা : ও আচ্ছা ঠিক আছে ।
আমি : হুম কিছু বলবি
স্বর্ণা : হুম
আমি : কি বলবি
স্বর্ণা : মার্কেটে যাবো
আমি : তো আমি কি করবো ( কোন কিছু না জানার ভান করে )
স্বর্ণা : তুই কি করবি মানে , তুই আমাকে নিয়ে যাবি
আমি : আমি নিয়ে যাব না
স্বর্ণা : ঠিক আমি এক্ষুনি বড় আম্মুর কাছে গিয়ে বলতেছি ( এই বলে আমার রুম থেকে বের হয়ে যেতে লাগলো )
আমি : এই না না । আমি তো তোকে নিয়ে যাবো । আমি তো শুধু তোর সাথে মজা করছিলাম ( বিছানা থেকে উঠে ওর হাত ধরে আটকিয়ে )
স্বর্ণা : ও আচ্ছা তাই বুঝি । ( নেকামি করে )
আমি : হুম । তুই গিয়ে রেডি হয়ে নে আমি যাচ্ছি
স্বর্ণা : আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসবি ( এই বলে স্বর্ণা ওর রুমে চলে গেল )
একবার স্বর্ণা কে বলেছিলাম , আমি নিয়ে যেতে পারবো ।
পরে স্বর্ণা আমার আম্মুর কাছে গিয়ে নেকা কান্না শুরু করে দেয়
তারপর আম্মু পরের দিন আমাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা সারা মার্কেটে ঘুরিয়ে ছিল । যাই হোক গল্পে ফিরি এবার
আমি রেডি হয়ে নিচে গেলাম
আম্মু : কোথাও বের হবি
আমি : হুম স্বর্ণা কে নিয়ে মার্কেটে যাবো
আম্মু : ও আচ্ছা
কিছুক্ষণ পর স্বর্ণা নিচে আসলো
আমি : রেডি হতে এতো দেরি লাগে
স্বর্ণা : আজব তো কোথায় দেখি করলাম
আমি : আচ্ছা কথা বন্ধ করে চল
( স্বর্ণা বাসা থেকে বের হলে বোরকা আর হিজাব পরে বের হয় । )
স্বর্ণা : বড় আম্মু আমরা একটু বাইরে গেলাম
আম্মু : সাবধানে যাস ।
স্বর্ণা : আচ্ছা
আম্মুকে বলে আমরা বাসায় থেকে বের হলাম
তারপর একটা রিকশা নিয়ে দুজনে মার্কেটে গেলাম
রিকশা ভাড়া মিটিয়ে দিলাম
আমি : ভিতরে চল
স্বর্ণা : হুম চল
ভিতরে ঢুকলাম আমরা দুজনে ।
খানিকক্ষণ পর স্বর্ণার প্রায় কিনা কাটা শেষ
আমি : কিনা কাটা শেষ নাকি আরো কিছু কিনা বাকি আছে
স্বর্ণা : এখন বাকি আছে
আমি : আরো বাকি আছে
স্বর্ণা : হ্যাঁ । বেশি কথা না বলে আমার পিছনে পিছনে আয়
আমি : আইচ্ছা 😶 😶
তারপর স্বর্ণা অন্য একটা দোকানে ঢুকলো
আর ছেলের কাপড় দেখতে লাগলো
আমি : তুই কি এবার থেকে ছেলের কাপড় পড়বি ( মুসকি হেসে 😁)
স্বর্ণা : আমি কেন ছেলেদের কাপড় পড়বো আজব
আমি : না তুই ছেলেদের কাপড় দেখতেছিস তাই বললাম
স্বর্ণা : কাপড় দেখতেছি তোর জন্য বুঝলি
আমি : আমার কাপড় লাগবে না । আমার কাপড় আছে
স্বর্ণা : চুপ করে থাকবি বেশি কথা বলবি না ( রাগ দেখিয়ে ) । আমার কাপড় আছে ( নেকামি করে ) । সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি তোর কত গুলো কাপড় আছে ।
আমি : আরে সত্যি আমার কাপড় কেনা লাগবে না এখন
স্বর্ণা : ( সাটের কলার ধরে মুখের সামনে এসে ) চুপ করে থাকতে বলেছি না । আর এতো বুঝিস কেন হ্যাঁ 😡 । ৬ মাস আগে তিনটা সাট আর পেন্ট কিনে দিয়ে ছিলাম । সেই তিনটাই শুধু আছে । নিজে তো কাপড় চোপড় কিনিস না । আর যদি কোন কথা বলিস তাহলে সকলের সামনে ঠাসসস করে চড় মারবো বলে দিলাম ( রেগে কথা গুলো বলে সাটের কলার ছেড়ে দিলো )
আমি : আমি শুধু মাথা নাড়ালাম ( তারপর চার দিকে তাকালাম । না কেউ দেখে নাই আমাদের দিকে )
সত্যি বলতে কাপড় স্বর্ণাই কিনে দেয় 😂 । আমি নিজে কোন কাপড় কিনি না । নিজে কাপড় কিনতে ইচ্ছে করে না । ( আপনারা আবার ভাবেন না যে , স্বর্ণার টাকায় কাপড় কিনি । আরে মিয়া কাপড় কিনি নিজের টাকায় )
স্বর্ণা কাপড় কিনতে লাগলো । আমি শুধু চুপ চাপ তাকিয়ে আছি কোন কথা বলতেছি না । স্বর্ণা মাঝে মাঝে আমাকে কাপড় দিয়ে পড়ে চেক করতেছে ।
খানিকক্ষণ পর কিনা কাটা শেষ করে বিল পরিশোধ করে বাহিরে বের হলাম
আমি : এক দিনে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেল
স্বর্ণা : তো
আমি : তো মানে , এক টাকা নয় দুই টাকা নয় । ৩০ হাজার টাকা । ভাবতে পারছিস
স্বর্ণা : ঐ কিপটা । তুই কি ফকির । ৩০ হাজার টাকা খরচ করতে এরকম হাই হতাশ করতেছিস কেন হ্যাঁ 😡 । টাকা কি তুই ব্যাংকে রেখে পচাবি
আমি : ব্যাংকে টাকা রাখলে পচে যায় আগে তো শুনি নাই 🤔🤔
স্বর্ণা : তোকে আমি ( রাগ দেখিয়ে ) । বেশি কথা না বলে চল
আমি : ( মুসকি হেসে ) আচ্ছা চল
তারপর রিকশা নিয়ে দুজনে বাসায় চলে আসলাম ।
এভাবে হাসি মজা করে কেটে গেল কিছুদিন
একদিন রাতের বেলা খাওয়া শেষ করে ছাদের উপর দাঁড়িয়ে আছি । তখনি কার যেন পায়ের আওয়াজ শুনলাম
স্বর্ণা : কিরে এতো রাতে ছাদে দাঁড়িয়ে আছিস কেন
আমি : এমনি ঘুম আসছিলো না তাই । তুই
স্বর্ণা : আমার ও ঘুম আসছিল না । তাই ভাবলাম তোর রুমে যাই । গিয়ে দেখি রুম ফাঁকা । ছাদে এসে দেখি তুই দাড়িয়ে আছিস ।
আমি : ও আচ্ছা । তোকে একটা কথা বলার ছিল
স্বর্ণা : কি কথা । কথা বলতে আবার পারমিশন ( Permission ) নিতে শুরু করলি আবার কবে থেকে ।
আমি : এমনি থেকে আর কি । Permission কথা নিলাম
স্বর্ণা : আচ্ছা ঠিক আছে বল কি বলবি
আমি : ( কিছুক্ষণ ভেবে ) না থাক অন্য একদিন বলবো
স্বর্ণা : না তুই কি বলবি বল । আজকেই বল
আমি : রাগ করিবি না তো ( কাচুমাচু হয়ে )
স্বর্ণা : করবো না বল
আমি : তুই কি মনে করবি আমি জানি না তবে অনেক দিন ধরে কথাটা বলতে চাই । আমি নিজকে অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি । তাই অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলাম তোকে আমি কথাটা বলবো
স্বর্ণা : কি ব্যাপার বলত । তোকে কেন জানি অন্য রকম মনে হচ্ছে । ( কিছুটা থেমে ) আচ্ছা কি বলবি বল
আমি : আমার কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুই কোন কথা বলবি না
স্বর্ণা : ঠিক আছে বলবো না
আমি : তুই আমার ছোট বেলার খেলার সাথী ।
দুজনে একসাথে বড় হয়েছি । সব সময় তোর সাথে সময় কাটিয়েছি । তোকে সাথে যখন কথা বলি তখন মনে হয় তোর সাথে সব সময় কথা বলি যে কথার কোন শেষ নেই ।
ভালোবেসে ফেলেছি আমি তোর সাথে কথা বলা মুহূর্ত গুলো
ভালোবেসে ফেলেছি তোর সাথে দুষ্টুমি করা প্রতিটা মুহূর্ত
ভালোবেসে ফেলেছি তোর মিষ্টি মিষ্টি শাসন গুলো
আমি ভালোবাসে ফেলেছি তোর মিষ্টি মায়া হাসিটা কে
হ্যাঁ আমি ভালো বেসে ফেলেছি আমার চাচাতো বোন টা কে
খুঁজি নি কারো মন
তোর মন পাবো বলে
ধরিনি কারো হাত
তোর হাত ধরবো বলে
হাঁটি নি কারো সাথে
তোর সাথে হাঁটবো বলে
কাউকে বাসিনি ভালো
তোকে ভালবাসি বলে
হবি কি আমার জীবন সাথী
হবি কি আমার রাত জাগার সাথী
হবি কি আমার পথ চলার সাথী
হবি কি আমার ভুল গুলো ধরিয়ে দেওয়ার সাথী
খুব ভালোবেসে ফেলেছি রে তোকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি ।
I love you Sorna . I love you so much .
Do you love me Sorna .
( এক নাগাড়ে বলে ফেললাম )
স্বর্ণা : ঠাসসসস ঠাসসসস ( দুইটা থাপ্পড় মারলো ) তুই
( স্বর্ণা কিছু বলার আগেই )
আমি : সরি রে আমি বুঝতে পারি নাই ।
আসলে কি বলতো আমার মাথা কোন কাজ করছিল না । কোন টা ঠিক কোন টা ভুল কিছু বুঝতে পারছিলাম না । তবে আমি সত্যি তোকে ভালবেসে ফেলেছি । আমি আর কোন দিন তোর কাছে আমার ভালোবাসার কথা বলে বিরক্ত করবো না একটু বিশ্বাস রাখতে পারিস । আমার উপর রাগ করে দয়া করে আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিস না রে । মনে কর এখানে কিছুই হয় নাই । তুই যদি আমার সাথে কথা বলা বলা বন্ধ করে দিস তাহলে নিজেকে কোন দিন ক্ষমা করতে পারবো না রে । বেঁচে থেকেও জিন্দা লাশ হয়ে যাবো আমি । পারলে এই হতো ভাগা ভাইকে ক্ষমা করে দিস ( হাত জোর করে কাঁদতে কাঁদতে বললাম কথা গুলো )
ওখানে আর এক মুহূর্ত না থেকে
ছাদ থেকে নিচে নেমে আমার রুমে চলে গেলাম
____________________😉😉😉__________________
তো বন্ধুরা এই কি ছিল সাঈদ আর স্বর্ণার ভালোবাসা । নাকি আরো কোন কাহিনী বাকি আছে ।
তাড়াতাড়ি জানিয়ে দিন কমেন্ট করে ।
হতে পারে আপনাদের মতামত হবে পরবর্তী পর্বের কাহিনী
★
★
★★★ ( ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন ) ★★★
গল্পটা যদি ভালো লাগে । তাহলে👇👇
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
Next please
ReplyDelete