গল্প - চাচাতো বোন যখন বস
লেখক - Writers Rifat Ali Sayed
Part - 12
★★★ [ অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ ] ★★★
তারপর আমি বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম ।
!
!
!_____________________________________________
ফ্রেশ হয়ে খানিকক্ষণ পর নিচে গেলাম । নিচে গিয়ে দেখি আব্বু আর চাচ্চু বসে পেপার পড়ছে । অপর দিকে আম্মু আর ছোট আম্মু নাস্তা তৈরি করছে সাথে স্বর্ণা ও । আমি গিয়ে চাচ্চুর কাছে গিয়ে বসলাম ।
আমি : Good Morning
আব্বু & চাচ্চু : Good Morning
চাচ্চু : তা সাঈদ তোমার খবর সবর কি
আমি : আমার আবার কি খবর ছোট আব্বু
স্বর্ণা : বড় আব্বু & আব্বু তোমাদের চা
আব্বু : চুপি চুপি তো ভালোই চলতেছে ( চা নিতে নিতে নিতে )
এ কথা শুনে আমার আর স্বর্ণার তো গলা শুকিয়ে গেল । সাথে ভয় পেয়ে গেলাম কিন্তু প্রকাশ করলাম না
আমি : কিই চুপি চুপি চলতে আব্বু ( তুতলিয়ে )
চাচ্চু : তোর কি মনে হয় আমরা কি কোন খবর রাখি না । কখন কি করতেছিস সব খবর রাখি বুঝতে পারলি ।
আমি : মনে হয় পুরোপুরি ফেসে গেছি । কালকে ঘটনা মনে হয় জেনে গেছে , মনে মনে ভাবতেছি
আব্বু : কি রে কোন কথা বলছিস না কেন । ( একটু ধমক সুরে বলল)
তখনি ছোট আম্মু আসলো
ছোট আম্মু : কি হয়েছে সাঈদ কি করেছে যে । সাঈদকে এভাবে ধমক দিচ্ছেন কেন ভাইয়া ।
আব্বু : সেটা সাঈদকে জিগ্গেস করো
এদিকে স্বর্ণা তো ভয়ে কাঠ হয়ে গেছে ।
ছোট আম্মু : কি হয়েছে আব্বু । তুমি আমাকে বলো
আমি : না মানে ইয়ে মানে হয়েছে আরকি ( ভয়ে কোন কথা মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না )
চাচ্চু : আমি বলতেছি । সাঈদ গরিব ছেলেদের জন্য স্কুল এবং এতিম শিশুদের জন্য এতিমখানা তৈরি করতেছে
আমি সহ এই কথা শুনে তো সবাই অবাক ।
আমি : আমি তো কি না কি ভাবতে ছিলাম । কিন্তু ছোট আব্বু এই কথা জানতে পারলো কিভাবে , অবাক হয়ে ( মনে মনে ) ।
ছোট আম্মু : এটা তো ভালো কথা ( খুশি হয়ে ) কিন্তু তোমরা ওকে বকতেছো কেন ( রাগি ভাবে )
আম্মু : তাই তো এটা তো সু খবর ।
আব্বু : আমরা কি ওর কাজে শরীক হতে পারি না । তার চেয়ে বড় কথা হলো ও একটা ভালো কাজ করতেছে অথচ আমাদের জানানো প্রয়োজন মনে করলো না । ( একটু রেগে )
ছোট আম্মু : হুম এটা কি ভারি অন্যায় । আমাদের তো একটা কথা অন্তত বলতে পারতে ( মন খারাপ করে )
আমি : আমি তোমাদের দুই এক পর বলতে চেয়েছিলাম । আর তাছাড়া আমি তো এখন কাজ শুরু করিনি । কাজ শুরু করলে আমি অবশ্যই জানাতাম । ( কোন রকম ভাবে বাঁচতে পারলেই হয় )
চাচ্চু : সব তোর চালাকি বুদ্ধি । এখন আমাদের কাজ থেকে বাঁচতে চাইছিস তাই না ।
আমি : আরে না । আমি সত্যি বলতেছি । আর তোমরা কি ব্রেকফাস্ট করবে না । আমার তো অনেক খিদে পেয়েছে 😋 ।
আম্মু : ব্রেকফাস্ট তো রেডি করা হয়েগেছে চলো সবাই ।
আব্বু : এই বিষয় নিয়ে আমি তোর সাথে পরে কথা বলো । এখন খেতে চল
তারপর সবাই মিলে ব্রেকফাস্ট করলাম । ব্রেকফাস্ট শেষ করে আমি আমার রুমে চলে গেলাম । রুমে এসে শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপতে ছিলাম ।
কিছুক্ষণ পর স্বর্ণা আমার রুমে আসলো । রুমে এসে সোজা আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে পাশে রেখে দিলো তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরে বুকের শুয়ে পড়লো ।
আমি : কি হলো সোজা এসে শুয়ে পড়লি যে । শরীর খারাপ
স্বর্ণা : না আমি ঠিক আছি । তোকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছিল তাই ধরেছি । তোর কোন প্রব্লেম
আমি : আমার কোন প্রবলেম নেই কিন্তু কেউ যদি দেখে ফেলে তাইলে ।
স্বর্ণা : এখন কেউ আসবে না সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত ।
আমি : আচ্ছা বুঝলাম । তুই ভার্সিটিতে যাচ্ছিস না কেন ।
স্বর্ণা : আগে তুই থাকতি তাই যাইতাম । এখন তুই যাস না । তাই একা একা ভালো লাগে না
আমি : কেন তোর বান্ধবীরা তো আছে
স্বর্ণা : থাকুক কিন্তু আমার যে শুধু তোকেই চাই । আর তাছাড়া পড়ালেখা করে আর কি হবে ।
আমি : পড়ালেখা করে কি হবে মানে ( অবাক হয়ে তাকিয়ে )
স্বর্ণা : তুই অফিস দেখা শুনা করবি । আমি তো করবো না তাই না । আমি তো তোর বউ হয়ে বাড়ির সবাইকে দেখা শুনা করবো । এখন রান্না বান্না শিখেতে হবে আমাকে । আর একবছর পর বাচ্চা হলে তাকে পড়ানোর যোগ্যতা আমার আছে ।
আমি : তাই বলে তুই পড়ালেখা করবি না ।
স্বর্ণা : করবো কিন্তু প্রতিদিন ভার্সিটিতে গিয়ে ক্লাস করতে পারবো না ।
আমি : তোর দারা কিছু হবে না
স্বর্ণা : হবে তাই না
স্বর্ণা সাথে সাথে তার ঠোঁট দুটো দিয়ে আমার ঠোট দুটো চুষতে লাগলো( মানে কিস করতে লাগলো ) আমিও ওর সাথে তাল মেলাতে লাগলাম । ( কতক্ষন ছিলাম জানিনা )
কিছুক্ষণ পর
স্বর্ণা : তোকে শুধু ভালোবাসে আগলে রাখতে পারলেই হবে । আমার আর কিছু লাগবে না
আমি : তুই একটা পাগলী ( মুসকি হেসে )
স্বর্ণা : শুধু তোর পাগলি ( বুকে মাথা রেখে )
এভাবে হাসি মজা আর স্বর্ণা আর আমার ভালোবাসা নিয়ে কেটে গেল বেশ কিছু দিন । এর মধ্যে স্কুল আর এতিমখানা তৈরি হয়ে গেছে । ভালোভাবেই কেটে গেল দিন গুলো ।
কথাই আছে , যত হাসি তত কান্না । ঠিক তেমনি ভালো থাকাটা আমার কপালে বেশি দিন রইলো না ।
একদিন রাতে খাওয়ার সময়
আব্বু : তোমাদের বলেছিলাম না । আমার এক বন্ধু বিদেশ থেকে এখানে ঘুরতে আসবে
আম্মু : হা তো কি হয়েছে
আব্বু : কালকে আমার বন্ধুর মেয়ে আসতেছে বাংলাদেশে । আর ওর কিছু কাজের জন্য আটকে গেছে তাই ও কিছুদিন পর বাংলাদেশে আসবে ।
আম্মু : ও
আব্বু : কালকে সকাল ১১ টায় ফ্লাইটে আসতেছে । সাইদ তুই কালকে রিসিভ করতে যাবি
আমি : আমি তো তাকে চিনি না
আব্বু : আমি তোকে ছবি দিচ্ছি
আমি : আচ্ছা আব্বু
তারপর কিছুক্ষণ গল্প করে রুমে ঘুমাতে গেলাম ।
কেবল ঘুমাবো তখনি স্বর্ণা এসে আমার বুকের উপর শুয়ে পড়ল । স্বর্ণা অবশ্য মাঝে মাঝেই আমার রুমে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাই । দুইজনেই ঘুমিয়ে পড়লাম ।
সকালে স্বর্ণার ডাকে ঘুম ভেঙ্গে গেল
স্বর্ণা : ঐ ওঠ আজান দিয়েছে নামাজ পড়তে হবে ।
আমি : হুম ওঠতেছি ম্যাডাম ।
( আগে ফজরের নামাজ মাঝে মাঝে পড়তাম কিন্তু এখন স্বর্ণা আমাকে ডাক দিয়ে নামাজ পড়ায় । একদিন নামাজ পড়ি নাই দেখে সারাদিন আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলে নাই । সেই দিন রাত্রে ওর রুমে গিয়ে
আমি : এই তুই আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলছিস না কেন 😥 ( ছলছল চোখে )
স্বর্ণা : তুই কেন বুঝিস না আমি তোকে ছাড়া বাঁচতে পারব না । তোকে শুধু দুনিয়াতে নয় আখেরাতেও আমার প্রয়োজন । কিন্তু তুই আমাকে বুঝিস না , নামাজ পড়তে চাস না । তোকে ছাড়া আখেরাতেও থাকতে পারবো না আমি ।
সেই দিন আমাকে জড়িয়ে অনেক কান্না করেছিল । তাই সেদিন থেকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি )
সকালে ব্রেকফাস্ট শেষ করে
স্বর্ণা : সাঈদ আমাকে আজকে ভার্সিটিতে যেতে হবে । গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে ।
আমি : আচ্ছা তুই রেডি হয়ে নে আমি তোকে রেখে আসবো
স্বর্ণা : আচ্ছা ( স্বর্ণা ওর রুমে চলে গেল রেডি হতে ) ।
আমি রেডি হয়ে নিলাম । তারপর স্বর্ণা কে নিয়ে ভার্সিটিতে গেলাম ।
তারপর স্বর্ণা কে ভার্সিটিতে নেমে দিয়ে রাফি আর সুজন ওদের সাথে দেখা করতে চলে গেলাম ।
রাফি : কি মামা ভাবীর সাথে তো ভালোই প্রেম চলতেছে ।
আমি : হুম তা একটু চলতেছে
সুজন : তাহলে বিয়েটাও ফেল । অনেকদিন বিয়ে খাওয়া হইনি ।
আমি : আগে তোরা বিয়ে করবি তারপর আমি বিয়ে করবো বুঝতে পারলি । তোদের বিয়ে না খেয়ে বিয়ে করতেছি না আমি
রাফি : সে দেখাই যাক । কে আগে বিয়ে করে
তারপর তাদের সাথে কথা বলে সোজা Airport ( এ্যারপোট ) এ চলে গেলাম । ও একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আব্বুর বন্ধুর মেয়ের নাম লিমা ।
কিছুপর ফ্লাইট লেনট করলো
★
★
★★★ ( ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন ) ★★★
গল্পটা যদি ভালো লাগে । তাহলে👇👇
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
Next part kkn diben bro
ReplyDelete