গল্প - চাচাতো বোন যখন বস
লেখক - Writers Rifat Ali Sayed
Part - 13
★★★ [ অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ ] ★★★
তারপর তাদের সাথে কথা বলে সোজা Airport ( এ্যারপোট ) এ চলে গেলাম । ও একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আব্বুর বন্ধুর মেয়ের নাম লিমা ।
কিছুপর ফ্লাইট লেন্ট করলো
!
!
!___________________________________________
আমি আব্বুর বন্ধুর মেয়ে লিমার জন্য বাহিরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতেছি । কিছুক্ষণ পর
শাট প্যান্ট পড়া একটা মেয়ে আমার সামনে এসে
মেয়েটা : আপনি সাঈদ তাই না
আমি : হ্যা , কিন্তু আমাকে কিভাবে চিনলেন ( ভালো ভাবে খেয়াল করে দেখি এতো লিমা )
লিমা : আংকেল আমাকে ছবি দিয়েছিলো । আর বলেছিলো আপনি নিতে আসবেন ।
আমি : ও আচ্ছা । তো আপনি কেমন আছেন
লিমা : ভালো আছি । আপনি কেমন আছেন
আমি : আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি । চলুন এবার যাও যাক
লিমা : হ্যা চলুন
লিমা গাড়িতে উঠে বসলো । তারপর দুজনে বাসায় চলে আসলাম ।
তারপর আমরা বাসায় চলে আসলাম ।
লিমা : আসসালামুয়ালাইকুম
আম্মু & ছোট আম্মু : ওয়ালাইকুমুস সালাম । কেমন আছো মা
লিমা : ভালো আছি । আপনারা কেমন আছেন
আম্মু & ছোট আম্মু : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি । তোমার বাসায় সবাই কেমন আছে ।
লিমা : সবাই ভালো আছে । আব্বুর কিছু কাজের জন্য আটকে গেছে এজন্য আম্মু ও আসতে পারেনি । আমার অনেক বছর ধরে দেশে আসার ইচ্ছে ছিল তাই আমি জোর করে আগেই চলে আসলাম ।
আম্মু : তুমি আগে আসছো । খুব ভালো করেছো । রহিমা লিমাকে রুমটা দেখে দে তো
রহিমা : আইচ্ছা । আইসেন আপা মনি ।
আম্মু : যাও মা । অনেক দূর জার্নি করেছ । রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নেও পরে কথা হবে ।
লিমা : আচ্ছা আন্টি
তারপর লিমা রুমে চলে গেল । আর আমিও আমার রুমে চলে গেলাম ।
আমি আমার রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম । তারপর কিছুক্ষণ রেস্ট নিতেই স্বর্ণা ফোন দিলো
আমি : হ্যালো বল
স্বর্ণা : কোথায় তুই
আমি : বাসায় কেন
স্বর্ণা : আমার ক্লাস শেষ । তুই তাড়াতাড়ি আয়
আমি : আচ্ছা তুই দাড়া আমি আসতেছি
স্বর্ণা : আচ্ছা ঠিক আছে ।
ফোন রেখে দিয়ে , আমি আম্মুকে বলে ভার্সিটিতে চলে গেলাম ।
ভার্সিটিতে গিয়ে দেখি স্বর্ণা ওর বান্ধবীদের সাথে বসে কথা বলতেছে ।
আমি : স্বর্ণা এখন যাবি নাকি পরে
স্বর্ণা : এখনি যাবো চল । আমি গেলাম বায়
স্বর্ণার এক বান্ধবী : এ স্বর্ণা পাঁচটি দ্বারা একটু
স্বর্ণা : কেন কি হয়েছে
ঐ বান্ধবী : সাঈদের সাথে কিছু কথা আছে
অন্য বান্ধবীরা : সাঈদ ভাইয়ার সাথে আবার কি কথা
ঐ বান্ধবী : আপনি একটু ঐ দিকে চলুন । আপনার কিছু কথা বালার আছে
আমি : ( স্বর্ণার দিকে ইশারা করে বললাম কি হচ্ছে )
স্বর্ণা : ( তুই যা ইশারা করে বললো )
আমি : আচ্ছা চলুন
আমরা ওদের থেকে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ালাম
আমি : বলুন কি বলবেন
ঐ বান্ধবী : আসলে কিভাবে যে বলি ( সংকোচ বোধ ) । আমার নাম তুবা । স্বর্ণার ফ্রেন্ড । আমি যেদিন আপনাকে প্রথম দেখেছিলাম ( ওকে থামিয়ে দিয়ে )
আমি : আমি আর স্বর্ণা দুজন দুজনকে নিজের চাইতেও বেশী ভালোবাসি । ওর পড়াশোনা শেষ হয়ে গেলে আমরা বিয়ে করে নিবো । আশা করি সব বুঝতে পেরেছেন ।
তুবা : আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না । প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিয় না । আমি তোমাকে স্বর্ণার থেকে বেশি ভালোবাসা দিব । আমার ছোঁয়া পেলে তুমি স্বর্ণা কে ভুলে যাবে ( নোংরা মানসিকতা )
আমি : ঠাসসস ঠাসসস ( দুইটা চড় বসে দিলাম )। তোকে ভালোভাবে বললাম তুই বুঝতে পারিস নাই । আমি স্বর্ণা কে খুব ভালোবাসি । তোর মত নোংরা মানসিকতার লোক সেটা বুঝতে পারবে না । দূর হয়ে যা সামনে থেকে ।
তুবা : sorry 😭 । ( তুবা কান্না করতে করতে সেখান থেকে চলে গেল )
আমি স্বর্ণার কাছে চলে গেলাম
স্বর্ণা : তুবা কি বললো । আর ঐ বা কোথায়
আমি : ওকে কে যেন ফোন দিল তাই ও চলে গেল । ( মিথ্যা বললাম )
স্বর্ণা : ও আচ্ছা
তারপর ওর বান্ধবীদের থেকে বিদায় নিয়ে বাহিরে বের হলাম
স্বর্ণা : আমি এখন বাসায় যাবো না । আজ তোর সাথে ঘুরে বেড়াবো ।
আমি : ঠিক আছে মহারানী ।
স্বর্ণা : অনেক দিন ফুসকা খাওয়া হয়নি । চল আগে ফুসকা খাই
আমি : আচ্ছা
তারপর আমি আর স্বর্ণা ফুসকার দোকানে গেলাম ।
আমি : মামা দুই প্লেট ফুসকা দেন তো
স্বর্ণা : মামা দুই প্লেট না এক প্লেট দেন
আমি : কেন আমি খাবো না (অবাক হয়ে )
স্বর্ণা : না
কিছুক্ষণ পর এক প্লেট ফুসকা দিয়ে গেল
স্বর্ণা : নে হা কর
আমি : তুই খা আমি খাবো না
স্বর্ণা : তুই হা করবি ( রেগে )
আমি হা করলাম স্বর্ণা আমাকে খাইয়ে দিতে লাগলো । আমার আমি ছোট ছেলের মত করে খেতে লাগলাম ।
আমি : সব তো আমাকেই খাওয়ালি । মামা আরেক প্লেট দিয়ে যান । নে এবার তুই হা কর
স্বর্ণা : এগুলো আগে তুই শেষ কর
আমি : আমি আর খাবো না । তুই হা কর
স্বর্ণা হা করলো । আর আমি ওকে খাইয়ে দিতে লাগলাম । খাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে দিয়ে দিলাম ।
খানিকক্ষণ স্বর্ণা আর আমি ঘুরা ঘুরি করে দুপুরে বাসায় চলে আসলাম ।
বাসায় এসে আমার রুমে এসে গোসল করে নিলাম ।
গল্পটা যদি ভালো লাগে । তাহলে👇👇
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️